১০ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চিনের ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার
  • / 546

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আধুনিকীকরণ ও জাতীয় আকাশরক্ষা শক্তিশালী করতে চিনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বিমানগুলো কেনা, প্রশিক্ষণ ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় মিলিয়ে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২২০ কোটি ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রা প্রায় ২৭,০৬০ কোটি টাকার সমমান। চুক্তিটি সরাসরি ক্রয় (জি টু জি) পদ্ধতিতে চিন সরকারের সঙ্গে করা হতে পারে এবং এটি বাস্তবায়ন শুরু হবে চলতি ২০২৫-২৬ ও ২০২৬-২৭ অর্থবছরে।

প্রস্তাবিত প্রতিটি জে-১০ সিই ফাইটার জেটের মূল্য আনুমানিক ৬ কোটি ডলার ধরে ২০টি বিমান মোট ১২০ কোটি ডলারের (প্রায় ১৪,৭৬০ কোটি টাকা) হবে। এর সঙ্গে স্থানীয় ও বিদেশি প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও পরিবহন খরচ যোগ করে আরও প্রায় ৮২ কোটি ডলার (প্রায় ১০,০৮৬ কোটি টাকা) ধরা হয়েছে। বীমা, ভ্যাট, এজেন্ট কমিশন, পূর্ত কাজ ও অন্যান্য অপ্রত্যক্ষ ব্যয় যোগ করলে মোট খরচ ২২০ কোটি ডলারে পৌঁছায়। গণমাধ্যমে পাওয়া খসড়া নথিপত্র অনুযায়ী, এই অর্থটি ১০ বছরের মধ্যে ২০৩৫-২০৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত কিস্তিতে পরিশোধের শর্ত রাখা হতে পারে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের মেয়েদের বিদায়

জে-১০ সিই হল চিনের নিজেদের জে-১০সি মডেলের রফতানিসংস্করণ; সাম্প্রতিক সময়ে এই বিমান আন্তর্জাতিকভাবে নজরে আসে বিভিন্ন অঞ্চলের সংঘাতদায়ক দাবি ও প্রদর্শনের কারণে। চলতি বছরের মার্চে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চিন সফরে এর প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল এবং এতে চিন ইতিবাচক সাড়া দেখিয়েছিল। পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সুবিধা-অসুবিধা নিরূপণের জন্য বিমানবাহিনী প্রধানকে সভাপতি করে একটি ১১ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা খসড়া চুক্তিপত্র পর্যালোচনা ও দর কষাকষি সম্পন্ন করবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনে যেই ক্ষমতায় আসুক, তার সঙ্গেই কাজ করবে দিল্লি: বিক্রম মিশ্রি

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ-এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) এ.এন.এম. মনিরুজ্জামান জানান, বহুদিন ধরেই বিমানবাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ফাইটার জেটের চাহিদা ছিল। তবে তিনি ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব ও পরিণতি বিবেচনা করে সোচ্চার হতে বলেছেন, বিশেষত বড় পাওয়ারদের মধ্যে উত্তেজনা থাকা অবস্থায়। জে-১০ সিরিজ যুক্ত হলে বিএএফের আধুনিকীকরণে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরও পড়ুন: ১৩ দিনে ভারতে ১৪৫ টন ইলিশ পাঠাল বাংলাদেশ

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চিনের ২০টি যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আধুনিকীকরণ ও জাতীয় আকাশরক্ষা শক্তিশালী করতে চিনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বিমানগুলো কেনা, প্রশিক্ষণ ও আনুষাঙ্গিক ব্যয় মিলিয়ে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২২০ কোটি ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রা প্রায় ২৭,০৬০ কোটি টাকার সমমান। চুক্তিটি সরাসরি ক্রয় (জি টু জি) পদ্ধতিতে চিন সরকারের সঙ্গে করা হতে পারে এবং এটি বাস্তবায়ন শুরু হবে চলতি ২০২৫-২৬ ও ২০২৬-২৭ অর্থবছরে।

প্রস্তাবিত প্রতিটি জে-১০ সিই ফাইটার জেটের মূল্য আনুমানিক ৬ কোটি ডলার ধরে ২০টি বিমান মোট ১২০ কোটি ডলারের (প্রায় ১৪,৭৬০ কোটি টাকা) হবে। এর সঙ্গে স্থানীয় ও বিদেশি প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও পরিবহন খরচ যোগ করে আরও প্রায় ৮২ কোটি ডলার (প্রায় ১০,০৮৬ কোটি টাকা) ধরা হয়েছে। বীমা, ভ্যাট, এজেন্ট কমিশন, পূর্ত কাজ ও অন্যান্য অপ্রত্যক্ষ ব্যয় যোগ করলে মোট খরচ ২২০ কোটি ডলারে পৌঁছায়। গণমাধ্যমে পাওয়া খসড়া নথিপত্র অনুযায়ী, এই অর্থটি ১০ বছরের মধ্যে ২০৩৫-২০৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত কিস্তিতে পরিশোধের শর্ত রাখা হতে পারে।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের মেয়েদের বিদায়

জে-১০ সিই হল চিনের নিজেদের জে-১০সি মডেলের রফতানিসংস্করণ; সাম্প্রতিক সময়ে এই বিমান আন্তর্জাতিকভাবে নজরে আসে বিভিন্ন অঞ্চলের সংঘাতদায়ক দাবি ও প্রদর্শনের কারণে। চলতি বছরের মার্চে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চিন সফরে এর প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল এবং এতে চিন ইতিবাচক সাড়া দেখিয়েছিল। পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সুবিধা-অসুবিধা নিরূপণের জন্য বিমানবাহিনী প্রধানকে সভাপতি করে একটি ১১ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা খসড়া চুক্তিপত্র পর্যালোচনা ও দর কষাকষি সম্পন্ন করবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নির্বাচনে যেই ক্ষমতায় আসুক, তার সঙ্গেই কাজ করবে দিল্লি: বিক্রম মিশ্রি

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ-এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) এ.এন.এম. মনিরুজ্জামান জানান, বহুদিন ধরেই বিমানবাহিনীর প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে ফাইটার জেটের চাহিদা ছিল। তবে তিনি ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব ও পরিণতি বিবেচনা করে সোচ্চার হতে বলেছেন, বিশেষত বড় পাওয়ারদের মধ্যে উত্তেজনা থাকা অবস্থায়। জে-১০ সিরিজ যুক্ত হলে বিএএফের আধুনিকীকরণে তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

আরও পড়ুন: ১৩ দিনে ভারতে ১৪৫ টন ইলিশ পাঠাল বাংলাদেশ