৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি, বঙ্গভবনে ব্যাপক বিক্ষোভ জনতার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার
  • / 21

ঢাকা, ২৩ অক্টোবরঃ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এমনই মন্তব্য করে নতুন  বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এই ঘটনার পর থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো মানুষ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাতভর বিক্ষোভ চলতে থাকে। এদিন রাতে বিক্ষোভকারীরা হঠাৎ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের উপর চার্জ করে পুলিশ। এমনকি সাউন্ড গ্রেনেড ফাটানো হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এক বিক্ষোভকারী সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের আড়াই মাস পর এসে রাষ্ট্রপতি বলছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি। তাঁর এই মন্তব্য নৈতিকভাবে রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। এমন মন্তব্যের একমাত্র সমাধান হচ্ছে সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ।

Read More: AMU: সংখ্যালঘু মর্যাদা ফেরাতে সংসদে পেশ প্রাইভেট মেম্বার বিল

বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ ভঙ্গ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিভিন্ন সংগঠনের ভিন্ন ভিন্ন ব্যানার নিয়ে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান করেন বিক্ষোভকারীরা। রাতে হঠাৎ বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের বাইরের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দিলে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

Read More: গাজা থেকে ফিরে আত্মহত্যা করছে বহু ইসরাইলি সৈন্য !

এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন প্রায় তিনশো বিক্ষোভকারী। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

সূত্রের খবর, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারী বলে অভিযোগ। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান করেন বিক্ষোভকারীরা।

Tag :

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি, বঙ্গভবনে ব্যাপক বিক্ষোভ জনতার

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার

ঢাকা, ২৩ অক্টোবরঃ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এমনই মন্তব্য করে নতুন  বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এই ঘটনার পর থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনের বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো মানুষ। মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাতভর বিক্ষোভ চলতে থাকে। এদিন রাতে বিক্ষোভকারীরা হঠাৎ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিক্ষোভকারীদের উপর চার্জ করে পুলিশ। এমনকি সাউন্ড গ্রেনেড ফাটানো হয়। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এক বিক্ষোভকারী সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের আড়াই মাস পর এসে রাষ্ট্রপতি বলছেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি। তাঁর এই মন্তব্য নৈতিকভাবে রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। এমন মন্তব্যের একমাত্র সমাধান হচ্ছে সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ।

Read More: AMU: সংখ্যালঘু মর্যাদা ফেরাতে সংসদে পেশ প্রাইভেট মেম্বার বিল

বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ ভঙ্গ করেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিভিন্ন সংগঠনের ভিন্ন ভিন্ন ব্যানার নিয়ে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান করেন বিক্ষোভকারীরা। রাতে হঠাৎ বিক্ষোভকারীরা বঙ্গভবনের বাইরের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। পুলিশ বাধা দিলে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

Read More: গাজা থেকে ফিরে আত্মহত্যা করছে বহু ইসরাইলি সৈন্য !

এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন প্রায় তিনশো বিক্ষোভকারী। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

সূত্রের খবর, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের খণ্ডযুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারী বলে অভিযোগ। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান করেন বিক্ষোভকারীরা।