পুবের কলম, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের সেনাকে সাহায্যের বার্তা দিল আমেরিকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন সেনার প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল জোয়েল পি ভাওয়েল। ওই সময়ে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে বুধবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে ওই বৈঠক প্রসঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের সামরিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’পক্ষের। পাশাপাশি যে সব ক্ষেত্রে আমেরিকা সাহায্য করতে পারে, সেগুলি নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের। ঘটনাচক্রে বুধবারই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চিন সফরে গিয়েছেন। একই দিনে বাংলাদেশ সেনাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে মার্কিন দূতাবাসও বিবৃতি প্রকাশ করেছে।

ঢাকায় আমেরিকার দূতাবাস জানিয়েছেন, মার্কিন সেনা জেনারেল ভাওয়েল বাংলাদেশের সেনার সঙ্গে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। নিরাপত্তাজনিত ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনার ভূমিকারও প্রশংসা করেছে আমেরিকা। আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মার্কিন দূতাবাস।

মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশ সফরের সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল ভাওয়েল বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিনের দৃঢ় সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং পারস্পরিক নিরাপত্তা স্বার্থ ও চলমান সহযোগিতার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। দেশীয় নিরাপত্তা রক্ষায়, বিশেষত দুর্যোগ মোকাবিলা ও অন্যান্য জটিল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের অব্যাহত ভূমিকার স্বীকৃতি তাদের আলোচনায় স্থান পায়।

জানা গিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের উৎপাদিত সমরাস্ত্র বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করতে আগ্রহী। পারস্পরিক কার্যক্ষমতা ও সামগ্রিক সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক সরঞ্জামের বিষয়টি সামনে এনেছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি ভাওয়েল যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন, সেগুলোর মধ্যে সমরাস্ত্র বিক্রির প্রসঙ্গটিও ছিল। দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও যৌথ কার্যক্রমের সামর্থ্য বাড়াতে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত সরঞ্জাম সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে।