বাঘের কামড়ে মৃত মৎস্যজীবীর পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বিডিও

- আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২২, সোমবার
- / 14
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলিঃ এবার বাঘের কামড়ে মৃত মৎস্যজীবি পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন খোদ বিডিও।গত শুক্রবার সুন্দরবনের বেনোফেলির বালির চরে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের কামড়ে মৃত্যু ঘটে কুলতলির কাঁটামারি দিলীপ সরদার নামে এক মৎস্যজীবির।মৃতের পরিবার বলতে তাঁর বৃদ্ধা মা,স্ত্রী ও ২ টি নাবালক ছেলে মেয়ে। তাঁর এই মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবার। একমাএ উপার্জনকারী আজ নেই। কি করবে তাঁরা সে নিয়ে চিন্তায় তাদের ঘুম চলে গেছে। এদিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বাঘের কামড়ে মৃত মৎস্যজীবির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে হয় সরকারি খরচে। অথচ শনিবার দিলীপ সরদারের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয় বলে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ করেন মৃতার স্ত্রী শেফালী সরদার। আর এই সব অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেবার কাজ করে চলেছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর সংস্থা। তাদের জয়নগর শাখার সম্পাদক মিঠুন মন্ডল মৃতার স্ত্রীর কাছ থেকে সব কিছু শুনে তৎক্ষনাৎ যোগাযোগ করেন কুলতলির বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারীর কাছে। তিনি সব কিছু শুনে তৎক্ষনাৎ সাহায্য এর প্রতিশ্রুতি দেন। আর সেই মতো সোমবার মৃত মৎস্যজীবির স্ত্রীর হাতে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া সাড়ে ৫ হাজার টাকার মধ্যে চার হাজার টাকা ফেরত দেন এবং কৃষান ক্রেডিট কার্ডের দুলক্ষ টাকা পাইয়ে দেওয়া ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।একজন প্রশাসনিক আধিকারিকের এহেন মানবিক কাজে খুশি মৃত মৎস্য জীবির পরিবার।আর এব্যাপারে এপিডিআরের জয়নগর শাখা সম্পাদক মিঠুন মন্ডল বলেন,বিডিও সাহেবের এহেন মানবিক পরিচয় দেখে আমাদের ভালো লাগলো।এরকম গরীব মানুষদের পাশে ওনার মতন মানুষের দরকার আছে। তবে আমরা চাইবো আগামী দিনে কোন মৎস্য জীবির বাঘের কামড়ে মৃত্যু ঘটলে তাদের অসহায় পরিবারদের কাছ থেকে ময়নাতদন্তের জন্য কোনো আর্থিক কিছু যেন নেওয়া না হয়। বিডিও বীরেন্দ্র অধিকারী বলেন,মানুষের পাশে থেকে তাদের সহায়তা করাই আমাদের কাজ। আমি সেটাই করেছি মাএ।