০৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলা কথা বলায় থানায় ডেকে মারধর হরিয়ানা পুলিশের , বাড়ি ফিরেও আতঙ্কে বাঙালি বাবা-ছেলে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার
  • / 29

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বাংলাতে কথা বলায় ফের হরিয়ানার গুরুগ্রামে কাজে গিয়ে পুলিশি হেনস্থার শিকার বনগার বাবা-ছেলে। কোনওভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে রাজ্যে ফিরে এলেন তারা। গায়ে রয়েছে মারের কালশিটে দাগ । রাজ্যে ফিরেও কাটেনি আতঙ্ক।

সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বনগাঁর বাসিন্দা সাধন দাস জানান, বাংলাভাষায় কথা বলার ‘অপরাধে’ তাঁদের থানায় ডেকে বেধড়ক মারধর করে হরিয়ানা পুলিশ।  সরাসরি বাংলাদেশী তকমা দিয়ে দেয়। ভারতীয় বলে চিৎকার করলেও রেহাই মেলেনি। উল্টে বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য হেনস্থা ও মারধর করা হয় তাঁদের।

আরও পড়ুন: বাংলা ভাষাকে চূড়ান্ত অপমান কেন্দ্রের, মোদি-শাহকে তুলোধোনা সাংসদ মহুয়ার

বনগাঁর গোপালনগর থানার  দিঘারী গ্রাম পঞ্চায়েতের কনকপুরের বাসিন্দা সাধন দাস, বছর চারেক আগে কর্মসূত্রে হরিয়ানায় যান। পরবর্তীতে তিনি, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, পুত্রবধূ নিয়ে সেখানে বসবাস করতে শুরু করেন। এতদিন সেই অর্থে সমস্যা না হলেও বিগত কয়েকদিন ধরে তাঁদের ভাড়াবাড়িতে লাগাতার হানা দেয় পুলিশ। হরিয়ানর গুরুগ্রামে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তাঁরা। জুলাই মাসের ২৭ তারিখ কাজে গিয়েছিলেন সাধন। সেই সময় রাস্তায় তাঁদের পথ আটকায় হরিয়ানা পুলিশ । কোথায় যাচ্ছে জানতে চায় পুলিশ। বাংলায় কথা বলতেই মারধর করে। সাধন দাস বলেন, “বাংলায় কথা বলতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে। স্টিলের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারে। দ্রুত এলাকা ছাড়তে বলে। কোনওপ্রকার পরিবার নিয়ে গ্রামে ফিরে আসি।  বাড়ি ফিরলেও চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ, সাধনবাবুর শরীরে রয়েছে কালশিটের দাগ।

আরও পড়ুন: বাংলা ভাষার জন্য যে কোনওরকম লড়াই করব: প্রসেনজিৎ

 

আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশের চিঠিতে বাংলা ভাষার অপমান, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ ট্যুইটে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলা কথা বলায় থানায় ডেকে মারধর হরিয়ানা পুলিশের , বাড়ি ফিরেও আতঙ্কে বাঙালি বাবা-ছেলে

আপডেট : ৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বাংলাতে কথা বলায় ফের হরিয়ানার গুরুগ্রামে কাজে গিয়ে পুলিশি হেনস্থার শিকার বনগার বাবা-ছেলে। কোনওভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে রাজ্যে ফিরে এলেন তারা। গায়ে রয়েছে মারের কালশিটে দাগ । রাজ্যে ফিরেও কাটেনি আতঙ্ক।

সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বনগাঁর বাসিন্দা সাধন দাস জানান, বাংলাভাষায় কথা বলার ‘অপরাধে’ তাঁদের থানায় ডেকে বেধড়ক মারধর করে হরিয়ানা পুলিশ।  সরাসরি বাংলাদেশী তকমা দিয়ে দেয়। ভারতীয় বলে চিৎকার করলেও রেহাই মেলেনি। উল্টে বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য হেনস্থা ও মারধর করা হয় তাঁদের।

আরও পড়ুন: বাংলা ভাষাকে চূড়ান্ত অপমান কেন্দ্রের, মোদি-শাহকে তুলোধোনা সাংসদ মহুয়ার

বনগাঁর গোপালনগর থানার  দিঘারী গ্রাম পঞ্চায়েতের কনকপুরের বাসিন্দা সাধন দাস, বছর চারেক আগে কর্মসূত্রে হরিয়ানায় যান। পরবর্তীতে তিনি, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, পুত্রবধূ নিয়ে সেখানে বসবাস করতে শুরু করেন। এতদিন সেই অর্থে সমস্যা না হলেও বিগত কয়েকদিন ধরে তাঁদের ভাড়াবাড়িতে লাগাতার হানা দেয় পুলিশ। হরিয়ানর গুরুগ্রামে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তাঁরা। জুলাই মাসের ২৭ তারিখ কাজে গিয়েছিলেন সাধন। সেই সময় রাস্তায় তাঁদের পথ আটকায় হরিয়ানা পুলিশ । কোথায় যাচ্ছে জানতে চায় পুলিশ। বাংলায় কথা বলতেই মারধর করে। সাধন দাস বলেন, “বাংলায় কথা বলতেই পুলিশ বেধড়ক লাঠিপেটা করে। স্টিলের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারে। দ্রুত এলাকা ছাড়তে বলে। কোনওপ্রকার পরিবার নিয়ে গ্রামে ফিরে আসি।  বাড়ি ফিরলেও চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ, সাধনবাবুর শরীরে রয়েছে কালশিটের দাগ।

আরও পড়ুন: বাংলা ভাষার জন্য যে কোনওরকম লড়াই করব: প্রসেনজিৎ

 

আরও পড়ুন: দিল্লি পুলিশের চিঠিতে বাংলা ভাষার অপমান, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ ট্যুইটে