১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউপিএসসিতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে বাংলা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার
  • / 32

পুবের কলম প্রতিবেদক: ইউপিএসসি’র ফলাফলে ফের জয়জয়কার বাংলার। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে দুই বঙ্গসন্তান। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয় যে দুজন হয়েছে তারা দুজনেই বাংলার বাসিন্দা। প্রথম হয়েছেন আসানসোলের সিঞ্চনস্নিগ্ধ অধিকারী। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন আউশগ্রামের বিল্টু মাজি। তাঁদের এই সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

সিঞ্চন রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন ছাত্র। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের এই ছাত্র কলকাতার আইএসআই থেকে স্ট্যাটিস্টিক্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর বাবা মাইন্স বোর্ড অব হেলথের কর্মী, মা সুজাতাদেবী গৃহবধূ। অপরদিকে, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী বিল্টু মাজির বাবা পেশায় কৃষক। সে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্যাটিস্টিক্সে স্নাতক হয়েই আর্থিক চাপে রোজগারে নেমে পড়ে। পোস্ট অফিসে একটি কাজ করতে করতেই ডব্লিউবিসিএস ও ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে থাকে সে। চতুর্থবারে হাতের মুঠোয় আসে সাফল্য।

বিল্টু বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত হাল ছেড়ো না। তাঁর বাণী অনুসরণ করেছি। প্রথম স্থানাধিকারী সিঞ্চন বলেন, ইউপিএসসিতে পাশ করা স্বপ্ন ছিল। তবে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করব ভাবিনি। খুব ভালো লাগছে। শুধু পরীক্ষায় প্রথম নয়, প্রশাসক হিসাবেও যেন এক নম্বর হই, এটাই চাইব। এই দুই যুবকের সাফল্য বাংলার গর্বের মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করল।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউপিএসসিতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে বাংলা

আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ইউপিএসসি’র ফলাফলে ফের জয়জয়কার বাংলার। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে দুই বঙ্গসন্তান। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম এবং দ্বিতীয় যে দুজন হয়েছে তারা দুজনেই বাংলার বাসিন্দা। প্রথম হয়েছেন আসানসোলের সিঞ্চনস্নিগ্ধ অধিকারী। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন আউশগ্রামের বিল্টু মাজি। তাঁদের এই সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

সিঞ্চন রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন ছাত্র। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের এই ছাত্র কলকাতার আইএসআই থেকে স্ট্যাটিস্টিক্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তাঁর বাবা মাইন্স বোর্ড অব হেলথের কর্মী, মা সুজাতাদেবী গৃহবধূ। অপরদিকে, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী বিল্টু মাজির বাবা পেশায় কৃষক। সে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্যাটিস্টিক্সে স্নাতক হয়েই আর্থিক চাপে রোজগারে নেমে পড়ে। পোস্ট অফিসে একটি কাজ করতে করতেই ডব্লিউবিসিএস ও ইউপিএসসি পরীক্ষা দিতে থাকে সে। চতুর্থবারে হাতের মুঠোয় আসে সাফল্য।

বিল্টু বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন লক্ষ্যে না পৌঁছনো পর্যন্ত হাল ছেড়ো না। তাঁর বাণী অনুসরণ করেছি। প্রথম স্থানাধিকারী সিঞ্চন বলেন, ইউপিএসসিতে পাশ করা স্বপ্ন ছিল। তবে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করব ভাবিনি। খুব ভালো লাগছে। শুধু পরীক্ষায় প্রথম নয়, প্রশাসক হিসাবেও যেন এক নম্বর হই, এটাই চাইব। এই দুই যুবকের সাফল্য বাংলার গর্বের মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করল।