ইউনেসকোতে আমন্ত্রিত বাঙালি ক্যানসার গবেষক ড. হিফজুর রহমান

- আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, শনিবার
- / 15
বিশেষ প্রতিবেদকঃ সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম সারির গবেষকদের মধ্যে স্থান পেলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী– অসমের বরাক উপত্যকার সন্তান ড. হিফজুর রহমান সিদ্দিকী। সেই সূত্রেই বিশ্বের বড় প্রকাশনী সংস্থা ইউনেসকোতে আমন্ত্রিত হলেন একমাত্র ভারতীয় হিসেবে।
ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করে একের পর এক উদ্ভাবনের জন্য ড. সিদ্দিকীকে এই আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইউনেসকো। এ ধরনের কৃতিত্বের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশিষ্টজনেরা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও।
ইউনেসকো প্রতি বছর গোটা বিশ্ব থেকে মাত্র দুই বা তিনজন সফল গবেষককে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। এই ধরনের একটি সম্মানীয় অনুষ্ঠানে ভারত থেকে একমাত্র ড. হিফজুর রহমান সিদ্দিকীই আমন্ত্রিত হলেন। ক্যানসার নিয়ে একের পর এক গবেষণা করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি ইতিমধ্যে সম্মানিত হয়েছেন। তাঁর গবেষণাপত্র বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। কোনও নামী-দামি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে নয়– ড. সিদ্দিকী অসমের বরাক উপত্যকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে সমগ্র বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য রাষ্টÉীয় বিজ্ঞান আকাদেমির সম্মানীয় সদস্য হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। কিছুদিন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যয়ন করেন। লস এঞ্জেলসের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কেইগ– মাসিদা ও অন্যান্য সহযোগীকে নিয়ে গবেষণা করে ড. সিদ্দিকী ক্যানসারের কারণ আবিষ্কার করেন। ২০১০ সালে আমেরিকার সোসাইটি অফ বেসিক ইউরোলজিক রিসার্চ ইন্সটিটিউট ড. হিফজুর রহমান সিদ্দিকীকে যুব বিজ্ঞানী অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। ২০১৯ সালে ব্যাঙ্ককের সোসাইটি অফ ফার্মাসিউটিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ থেকে সেবা গবেষক অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়াও আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের সম্মানীয় রিসার্চ হাইলাইটে বিশ্বের তিনটি গবেষণাপত্রের সঙ্গে সিদ্দিকীর একটি গবেষণাপত্র মনোনীত করা হয়।
অসমের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত বছলা গ্রামের মাওলানা মইনউদ্দিন সিদ্দিকীর পুত্র ড. হিফজুর রহমান সিদ্দিকী। গ্রামের স্কুল থেকে পড়াশোনা করার পর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাশ করে দেশের সবথেকে বড় বৈজ্ঞানিক সংস্থা সিএসআইআর থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি গবেষণার জন্য আমেরিকার হারমেল ইন্সটিটিউট থেকে ডাক পেয়ে সেখানে চলে যান। এখন তিনি মারণ রোগ ক্যানসার গবেষণায় অগ্রণী বিজ্ঞানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।