১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাষা দিবসের আগে ঝাড়খণ্ডের ১১ জেলায় বাংলার জয়

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শনিবার
  • / 26

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভাষা নিয়ে চলছিল আন্দোলন। প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বোকারো (Bokaro) ও ধানবাদ (Dhanbad) জেলার আঞ্চলিক ভাষার তালিকা থেকে ভোজপুরী এবং মাগাহিকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানাল ঝাড়খণ্ড সরকার। হেমন্ত সোরেন সরকারের তরফে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে এই দুই জেলায় আঞ্চলিক ভাষা হিবেসে জায়গা পেল বাংলা (bangla)। এখানে আগে থেকেই অবশ্য নাগপুরী, উর্দু, কোরথা, কুরমালি ভাষার নাম রয়েছে।

ডিসেম্বরে জারি হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। ধানবাদ ও বোকারো জেলায় ভোজপুরী ও মাগাহীতে কথা বলা লোকের সংখ্যা খুবই কম। এই দুই জেলায় আদিবাসী এবং মূলনিবাসীদের সংখ্যাই বেশি। ফলে সরকারের নির্দেশিকায় তাঁদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন বিক্ষোভকারীরা।স্থানীয়দের অভিযোগ ১৯৬১ সাল থেকে সেখানে হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোজপুরী ও মাগাহী হল হিন্দি ভাষার অংশ। ঝাড়খণ্ডে হিন্দি ভাষার স্বীকৃতি একটি স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবেই দেখা হয়।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা কর্মসূচির পরেই কেন্দ্রের টাকা রাজ্যকে,  মিড-ডে মিলের টাকা পেল বাংলা

ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক ভাষার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ২৪ টি জেলার মধ্যে বাংলাকে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ১১ টি জেলায়। তার মধ্যে রয়েছে রাঁচি, পূর্ব সিংভূম, সরাইকেলা, দুমকা, জামতাড়া, সাহেবগঞ্জ, পাকুড়, গোড্ডা, বোকারো, ধানবাদ, দেওঘর।
তবে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে সরকারের দুই বড় দল জেএএম এবং কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও অবস্থান নেয়নি। অন্যদিকে বিজেপি উর্দুকে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছে।

আরও পড়ুন: ধানবাদে ভেঙে পড়ল গ্লাইডার প্লেন, আহত চালক সহ এক শিশু

আরও পড়ুন: ধানবাদের বহুতলে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মৃত তিন শিশু সহ মোট ১৪ জন, ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ মোদির

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভাষা দিবসের আগে ঝাড়খণ্ডের ১১ জেলায় বাংলার জয়

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ভাষা নিয়ে চলছিল আন্দোলন। প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বোকারো (Bokaro) ও ধানবাদ (Dhanbad) জেলার আঞ্চলিক ভাষার তালিকা থেকে ভোজপুরী এবং মাগাহিকে সরিয়ে নেওয়ার কথা জানাল ঝাড়খণ্ড সরকার। হেমন্ত সোরেন সরকারের তরফে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে এই দুই জেলায় আঞ্চলিক ভাষা হিবেসে জায়গা পেল বাংলা (bangla)। এখানে আগে থেকেই অবশ্য নাগপুরী, উর্দু, কোরথা, কুরমালি ভাষার নাম রয়েছে।

ডিসেম্বরে জারি হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি। ধানবাদ ও বোকারো জেলায় ভোজপুরী ও মাগাহীতে কথা বলা লোকের সংখ্যা খুবই কম। এই দুই জেলায় আদিবাসী এবং মূলনিবাসীদের সংখ্যাই বেশি। ফলে সরকারের নির্দেশিকায় তাঁদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছিলেন বিক্ষোভকারীরা।স্থানীয়দের অভিযোগ ১৯৬১ সাল থেকে সেখানে হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোজপুরী ও মাগাহী হল হিন্দি ভাষার অংশ। ঝাড়খণ্ডে হিন্দি ভাষার স্বীকৃতি একটি স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবেই দেখা হয়।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা কর্মসূচির পরেই কেন্দ্রের টাকা রাজ্যকে,  মিড-ডে মিলের টাকা পেল বাংলা

ঝাড়খণ্ড সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক ভাষার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ২৪ টি জেলার মধ্যে বাংলাকে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে ১১ টি জেলায়। তার মধ্যে রয়েছে রাঁচি, পূর্ব সিংভূম, সরাইকেলা, দুমকা, জামতাড়া, সাহেবগঞ্জ, পাকুড়, গোড্ডা, বোকারো, ধানবাদ, দেওঘর।
তবে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে সরকারের দুই বড় দল জেএএম এবং কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও অবস্থান নেয়নি। অন্যদিকে বিজেপি উর্দুকে আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছে।

আরও পড়ুন: ধানবাদে ভেঙে পড়ল গ্লাইডার প্লেন, আহত চালক সহ এক শিশু

আরও পড়ুন: ধানবাদের বহুতলে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মৃত তিন শিশু সহ মোট ১৪ জন, ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ মোদির