২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজস্থান বিধানসভায় ধর্মান্তর বিরোধী বিল পেশ বিজেপি সরকারের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার
  • / 76

জয়পুর, ৩ ফেব্রুয়ারি: রাজস্থান সরকার জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। সোমবার রাজস্থান বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে, ভজনলাল শর্মার সরকার ধর্মান্তরকরণ সংক্রান্ত বহুল আলোচিত এই বিলটি পেশ করেছে। ২০২৩ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে এবং ভজনলাল শর্মা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই শাসক দলে দাবি উঠতে শুরু করে যে ধর্মান্তর বিরোধী আইন প্রয়োগ করা উচিত। জোর করে ধর্মান্তর করা হলে কড়া শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে এই বিলে। সেক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

READ MORE: নদীতে ফেলা হয়েছে পদপিষ্টদের মৃতদেহ , বিস্ফোরক জয়া বচ্চন

আরও পড়ুন: আসন বদল নিয়ে ঝামেলা, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এক যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে

 

আরও পড়ুন: ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দায় সরব জামায়াতে ইসলামি হিন্দ, মুসলিম বিশ্ব ও ভারত সরকারের কাছে পদক্ষেপের আহ্বান

উল্লেখ্য যে, ১৬ বছর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের শাসনামলে, এই বিল দুবার পাশ হয়েছিল (২০০৬ এবং ২০০৭)। কিন্তু সে সময় ধর্মান্তর বিরোধী বিলটি কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কারণে আটকে যায় এবং তা কার্যকর করা যায়নি। নতুন বিলে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ঠেকাতে আগের চেয়ে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও তৎকালীন বিদ্যমান বিলে অন্তর্ভুক্ত বিধানগুলোও নতুন বিলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কর্নাটকে আবাসনে মুসলিম কোটা ১৫ শতাংশ, বিজেপি বেজায় ক্ষুব্ধ

রাজস্থানের সংসদীয় বিষয়ক ও আইনমন্ত্রী জোগারাম প্যাটেল বলেছেন যে,” রাজস্থানের জন্য একটি ধর্মান্তর বিরোধী বিলের খুব প্রয়োজন। প্রলোভন দেখিয়ে বা কোনও প্রতারণামূলক উপায়ে বা কোনও বিবাহের মাধ্যমে এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে পরিবর্তন করা আটকাতেই এই বিল আনা হয়েছে।”

এই বিলটি ছাড়াও রাজস্থানের ভজনলাল শর্মা সরকার লিভ-ইন সম্পর্কে বসবাসকারী যুগলদের বিরুদ্ধে একটি নতুন আইনি বিধান যুক্ত করতে পারে। রাজস্থানেও লিভ-ইন সম্পর্কের জন্য তাদেরকে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজস্থান বিধানসভায় ধর্মান্তর বিরোধী বিল পেশ বিজেপি সরকারের

আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার

জয়পুর, ৩ ফেব্রুয়ারি: রাজস্থান সরকার জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে। সোমবার রাজস্থান বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে, ভজনলাল শর্মার সরকার ধর্মান্তরকরণ সংক্রান্ত বহুল আলোচিত এই বিলটি পেশ করেছে। ২০২৩ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে এবং ভজনলাল শর্মা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই শাসক দলে দাবি উঠতে শুরু করে যে ধর্মান্তর বিরোধী আইন প্রয়োগ করা উচিত। জোর করে ধর্মান্তর করা হলে কড়া শাস্তির কথা উল্লেখ রয়েছে এই বিলে। সেক্ষেত্রে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

READ MORE: নদীতে ফেলা হয়েছে পদপিষ্টদের মৃতদেহ , বিস্ফোরক জয়া বচ্চন

আরও পড়ুন: আসন বদল নিয়ে ঝামেলা, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের এক যাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে

 

আরও পড়ুন: ইরানে মার্কিন হামলার নিন্দায় সরব জামায়াতে ইসলামি হিন্দ, মুসলিম বিশ্ব ও ভারত সরকারের কাছে পদক্ষেপের আহ্বান

উল্লেখ্য যে, ১৬ বছর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের শাসনামলে, এই বিল দুবার পাশ হয়েছিল (২০০৬ এবং ২০০৭)। কিন্তু সে সময় ধর্মান্তর বিরোধী বিলটি কেন্দ্রীয় সরকারের আপত্তির কারণে আটকে যায় এবং তা কার্যকর করা যায়নি। নতুন বিলে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ঠেকাতে আগের চেয়ে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়াও তৎকালীন বিদ্যমান বিলে অন্তর্ভুক্ত বিধানগুলোও নতুন বিলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কর্নাটকে আবাসনে মুসলিম কোটা ১৫ শতাংশ, বিজেপি বেজায় ক্ষুব্ধ

রাজস্থানের সংসদীয় বিষয়ক ও আইনমন্ত্রী জোগারাম প্যাটেল বলেছেন যে,” রাজস্থানের জন্য একটি ধর্মান্তর বিরোধী বিলের খুব প্রয়োজন। প্রলোভন দেখিয়ে বা কোনও প্রতারণামূলক উপায়ে বা কোনও বিবাহের মাধ্যমে এক ধর্ম থেকে অন্য ধর্মে পরিবর্তন করা আটকাতেই এই বিল আনা হয়েছে।”

এই বিলটি ছাড়াও রাজস্থানের ভজনলাল শর্মা সরকার লিভ-ইন সম্পর্কে বসবাসকারী যুগলদের বিরুদ্ধে একটি নতুন আইনি বিধান যুক্ত করতে পারে। রাজস্থানেও লিভ-ইন সম্পর্কের জন্য তাদেরকে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।