চট্টগ্রামে গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল হারুন-অর-রশিদের দেহ

- আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২৫, সোমবার
- / 4
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত জেনারেল এম হারুন-অর-রশিদ (৭৭)-এর নিথর দেহ উদ্ধার হল চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউস থেকে। রবিবার বিকেলে ডেসটিনি গ্রুপের একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে চট্টগ্রামে এসে তিনি ৩০৮ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন। ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে করলেও, ময়নাতদন্তের পরই প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
২০০০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল হারুন। ১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া এই মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ‘বীর প্রতীক’ উপাধিতে ভূষিত হন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ২০০৬ সালে ‘ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ সোসাইটি’-তে যোগ দেন এবং পরে সংস্থার প্রেসিডেন্ট হন। ২০১২ সালে ডেসটিনির বিরুদ্ধে বড়সড় আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। গ্রাহকের টাকা নয়ছয়-সহ বেআইনি লভ্যাংশ বিতরণের অভিযোগের জেরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়, যদিও পরে জামিনে মুক্তি পান।
দীর্ঘদিনের এই মামলায় ২০২২ সালের ১২ মে বিচারিক আদালত জেনারেল হারুন-অর-রশিদকে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র প্রাক্তন সেনাপ্রধান যাঁকে কোনও মামলায় সাজার মুখে পড়তে হয়েছিল। ডেসটিনির সভাপতি শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গেস্ট হাউসে খোঁজ করতে গিয়েই তাঁর মৃত্যু সংবাদ সামনে আসে। জাতীয় ও রাজনৈতিক অঙ্গনে এই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের আকস্মিক মৃত্যুতে নানা প্রশ্ন উঠলেও, চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে করছেন।