০২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগটুই গ্রাম সিবিআই, চলছে তথ্য সংগ্রহ, করা হচ্ছে ভিডিওগ্রাফি, আনা হয়েছে থ্রি-ডি স্ক্যানার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার
  • / 25

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ হাইকোর্টের নির্দেশমতো গতকালই বগটুই কাণ্ডের ভার নিয়েছে সিবিআই। কাল তারা সিট-এর আধিকারিকদের কাছ থেকে সব তদন্তভার বুঝে নেন। এর পরেই পুরোদমে বগটুই গ্রামে গিয়ে ঘটনার দিন কি হয়েছিল সেই বিস্তারির তদন্ত করতে ব্যস্ত সিবিআই আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে সিবিআই আধিকারিকরা ছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দল, রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।  ঘটনাস্থল থেকে রক্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি থেকেই নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।  করা হচ্ছে ভিডিগ্রাফি।  এক একটি বাড়িতে ঢুকে ছাদ, ওপর, নীচ, বাড়ির সামনে, পিছনে একাধিক বার ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছেন তারা। মূলত মিহিরলাল শেখ, বাণীরুল শেখ, সোনা শেখের বাড়ি বার বার ঘুরে দেখছেন তারা।

বাড়ির সামনে একটি সিড়ি রয়েছে। সেই সিড়িতে রয়েছে কিছু ড্রাম। সেখানে রয়েছে তরল পদার্থ। সেটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পর্দার রড পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া রান্নাঘরে যে গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে, সেটির খোঁজ মিলছে না। তবে রেগুলেটর পাইপ সব রয়েছে। সেই সমস্ত বিষয় ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। রামপুরহাট থানার দুই পুলিশ অফিসারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। পুরো ঘটনারই ভিডিওগ্রাফির কাজ চলছে।

ব্যবহার করা হবে থ্রি-ডি স্ক্যানার। এই থ্রি-ডি স্ক্যানারঘটনার দিন কিভাবে আগুন লাগল, আগুন বাইরে থেকে লাগানো হয়েছিল, নাকি বোম ছুড়ে আগুন হয়েছিল কিনা,  এই সবই খতিয়ে দেখা হবে। বলা যায়, ঘটনার দিন ঠিক কি হয়েছিল তা খুঁজতে উন্নত মানের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সিবিআই।

আজ ধৃতদের কাজ থেকে বয়ান নিতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।  দুটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রতি মুহূর্তে  আধিকারিকরা সমস্ত ঘটনার আপডেট জানাচ্ছেন দিল্লিতে। ফোনে তারা দিল্লির ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন। বগটুই গ্রাম থেকে তারা কিভাবে কাজ করছেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাচ্ছেন তারা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ডিআইজি-সিবিআই অখিলেশ সিংহ।

সিবিআই আধিকারিকের একটি দল এদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতে যান। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী তারা সেখানে জানান, এই তদন্ত ভার তারা নিয়েছেন। ধৃত ২২ জনকে এবার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবেন তারা।

গোটা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছ সিআইএসএফ-এর জওয়ানরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বগটুই গ্রাম সিবিআই, চলছে তথ্য সংগ্রহ, করা হচ্ছে ভিডিওগ্রাফি, আনা হয়েছে থ্রি-ডি স্ক্যানার

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ হাইকোর্টের নির্দেশমতো গতকালই বগটুই কাণ্ডের ভার নিয়েছে সিবিআই। কাল তারা সিট-এর আধিকারিকদের কাছ থেকে সব তদন্তভার বুঝে নেন। এর পরেই পুরোদমে বগটুই গ্রামে গিয়ে ঘটনার দিন কি হয়েছিল সেই বিস্তারির তদন্ত করতে ব্যস্ত সিবিআই আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে সিবিআই আধিকারিকরা ছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দল, রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।  ঘটনাস্থল থেকে রক্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি থেকেই নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।  করা হচ্ছে ভিডিগ্রাফি।  এক একটি বাড়িতে ঢুকে ছাদ, ওপর, নীচ, বাড়ির সামনে, পিছনে একাধিক বার ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছেন তারা। মূলত মিহিরলাল শেখ, বাণীরুল শেখ, সোনা শেখের বাড়ি বার বার ঘুরে দেখছেন তারা।

বাড়ির সামনে একটি সিড়ি রয়েছে। সেই সিড়িতে রয়েছে কিছু ড্রাম। সেখানে রয়েছে তরল পদার্থ। সেটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পর্দার রড পরীক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া রান্নাঘরে যে গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে, সেটির খোঁজ মিলছে না। তবে রেগুলেটর পাইপ সব রয়েছে। সেই সমস্ত বিষয় ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে। রামপুরহাট থানার দুই পুলিশ অফিসারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। পুরো ঘটনারই ভিডিওগ্রাফির কাজ চলছে।

ব্যবহার করা হবে থ্রি-ডি স্ক্যানার। এই থ্রি-ডি স্ক্যানারঘটনার দিন কিভাবে আগুন লাগল, আগুন বাইরে থেকে লাগানো হয়েছিল, নাকি বোম ছুড়ে আগুন হয়েছিল কিনা,  এই সবই খতিয়ে দেখা হবে। বলা যায়, ঘটনার দিন ঠিক কি হয়েছিল তা খুঁজতে উন্নত মানের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সিবিআই।

আজ ধৃতদের কাজ থেকে বয়ান নিতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা।  দুটি দলে ভাগ হয়ে কাজ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রতি মুহূর্তে  আধিকারিকরা সমস্ত ঘটনার আপডেট জানাচ্ছেন দিল্লিতে। ফোনে তারা দিল্লির ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন। বগটুই গ্রাম থেকে তারা কিভাবে কাজ করছেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাচ্ছেন তারা। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ডিআইজি-সিবিআই অখিলেশ সিংহ।

সিবিআই আধিকারিকের একটি দল এদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতে যান। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী তারা সেখানে জানান, এই তদন্ত ভার তারা নিয়েছেন। ধৃত ২২ জনকে এবার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবেন তারা।

গোটা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছ সিআইএসএফ-এর জওয়ানরা।