২১ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলতি বছরের দাদা সাহেব ফালকে পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হলেন বলিউডের প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী আশা পারেখ

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 44

 

 

মুম্বই, ২৭ সেপ্টেম্বর: চলতি বছরের দাদা সাহেব  ফালকে পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হলেন বলিউডের বর্ষীয়াণ অভিনেত্রী আশা পারেখ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর মঙ্গলবার জানিয়েছেন ২০২২ সালের দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কারের জন্য মনোনীত  করা হয়েছে প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী আশা পারেখকে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর  এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে তাঁর হাতে। এর আগে পদ্মশ্রী সন্মানেও ভূষিত হন তিনি।

 

একাধিক সাক্ষাৎকারে এই প্রবীণ অভিনেত্রী বলেন তিনি হতে চেয়েছিলেন ডাক্তার। কিন্তু রক্ত দেখলে বরাবর ভয় পেতেন। তাই শেষ পর্যন্ত আর ডাক্তার ওঠা হয়ে ওঠেনি। ১৯৫৯ সালে আশা, শাম্মী কাপুরের বিপরীতে দিল দেকে দেখো ছবির মাধ্যমে একজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। এর আগে বেবি আশা নামেই তাঁর রুপোলী পর্দার জগতে পা রাখা। ছোট্ট আশার নাচ মুগ্ধ করেছিল বিখ্যাত চিত্রপরিচালক বিমল রায়  কে। তিনিই আশাকে প্রথম ব্রেক দেন। দশ বছর বয়সেই তাঁকে ‘মা’ (১৯৫২ ) চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ করে দেন  এই প্রখ্যাত পরিচালক। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৫৪ সালে বেবি আশার দ্বিতীয় ছবি ‘বাপবেটী’। তবে নায়িকা হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ দিল দেকে দেখো ছবিতেই। নাসির হুসেন ছিলেন এই মুভির পরিচালক।   জব পেয়ার কিসি সে হোতা হ্যায় (১৯৬১), তিসরি মঞ্জিল এবং  দো বদন (১৯৬৬), কাটি পাতং (১৯৭০), ক্যারাভান (১৯৭১),  এবং মে তুলসি তেরে আঙ্গন কি (১৯৭৮)প্রফেসর কি পড়োসান এবং ভাগ্যবান (১৯৯৩), ঘর কি ইজ্জাত (১৯৯৪) এবং আন্দোলন (১৯৯৫) প্রভৃতিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। তিনি অভিনয় জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর,  গুজরাতি  সিরিয়াল জ্যোতি দিয়ে টেলিভিশন পরিচালক হিসেবে নতুন ইনিংস শুরু করেন। তার প্রযোজনা সংস্থার, আকৃতি, আশা পলাশ কে ফুল, বাজে পায়েল, কোরা কাগজ এবং ডাল মে কালা-এর মতো সিরিয়াল তৈরি করে।  ২০০৮  সালে, তিনি ৯X-এ রিয়ালিটি শো তিওহার ধামাকা-এর বিচারক ছিলেন। সারা জীবন অবিবাহিত থেকে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন আমার মনে হয় বিয়ে করা আমার ভাগ্যে ছিল না। সত্যি কথা বলতে কি, আমি বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণ করতে ইচ্ছুক ছিলাম।  কিন্তু কোন এক কারণে তা হয়ে ওঠেনি। যাইহোক, আমার একেবারেই কোন অনুশোচনা নেই।” দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার হল চলচ্চিত্রের  ক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার। এটি দাদাসাহেব ফালকে’র স্মরণে দেওয়া হয়, যাকে ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক’ হিসেবে গণ্য করা হয়,  প্রথম হিন্দি সিনেমা রাজা হরিশচন্দ্র তৈরি করেছিলেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চলতি বছরের দাদা সাহেব ফালকে পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হলেন বলিউডের প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী আশা পারেখ

আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

 

 

মুম্বই, ২৭ সেপ্টেম্বর: চলতি বছরের দাদা সাহেব  ফালকে পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হলেন বলিউডের বর্ষীয়াণ অভিনেত্রী আশা পারেখ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর মঙ্গলবার জানিয়েছেন ২০২২ সালের দাদাসাহেব ফালকে পুরষ্কারের জন্য মনোনীত  করা হয়েছে প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী আশা পারেখকে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর  এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে তাঁর হাতে। এর আগে পদ্মশ্রী সন্মানেও ভূষিত হন তিনি।

 

একাধিক সাক্ষাৎকারে এই প্রবীণ অভিনেত্রী বলেন তিনি হতে চেয়েছিলেন ডাক্তার। কিন্তু রক্ত দেখলে বরাবর ভয় পেতেন। তাই শেষ পর্যন্ত আর ডাক্তার ওঠা হয়ে ওঠেনি। ১৯৫৯ সালে আশা, শাম্মী কাপুরের বিপরীতে দিল দেকে দেখো ছবির মাধ্যমে একজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। এর আগে বেবি আশা নামেই তাঁর রুপোলী পর্দার জগতে পা রাখা। ছোট্ট আশার নাচ মুগ্ধ করেছিল বিখ্যাত চিত্রপরিচালক বিমল রায়  কে। তিনিই আশাকে প্রথম ব্রেক দেন। দশ বছর বয়সেই তাঁকে ‘মা’ (১৯৫২ ) চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ করে দেন  এই প্রখ্যাত পরিচালক। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ১৯৫৪ সালে বেবি আশার দ্বিতীয় ছবি ‘বাপবেটী’। তবে নায়িকা হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ দিল দেকে দেখো ছবিতেই। নাসির হুসেন ছিলেন এই মুভির পরিচালক।   জব পেয়ার কিসি সে হোতা হ্যায় (১৯৬১), তিসরি মঞ্জিল এবং  দো বদন (১৯৬৬), কাটি পাতং (১৯৭০), ক্যারাভান (১৯৭১),  এবং মে তুলসি তেরে আঙ্গন কি (১৯৭৮)প্রফেসর কি পড়োসান এবং ভাগ্যবান (১৯৯৩), ঘর কি ইজ্জাত (১৯৯৪) এবং আন্দোলন (১৯৯৫) প্রভৃতিতে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। তিনি অভিনয় জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর,  গুজরাতি  সিরিয়াল জ্যোতি দিয়ে টেলিভিশন পরিচালক হিসেবে নতুন ইনিংস শুরু করেন। তার প্রযোজনা সংস্থার, আকৃতি, আশা পলাশ কে ফুল, বাজে পায়েল, কোরা কাগজ এবং ডাল মে কালা-এর মতো সিরিয়াল তৈরি করে।  ২০০৮  সালে, তিনি ৯X-এ রিয়ালিটি শো তিওহার ধামাকা-এর বিচারক ছিলেন। সারা জীবন অবিবাহিত থেকে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন আমার মনে হয় বিয়ে করা আমার ভাগ্যে ছিল না। সত্যি কথা বলতে কি, আমি বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণ করতে ইচ্ছুক ছিলাম।  কিন্তু কোন এক কারণে তা হয়ে ওঠেনি। যাইহোক, আমার একেবারেই কোন অনুশোচনা নেই।” দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার হল চলচ্চিত্রের  ক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার। এটি দাদাসাহেব ফালকে’র স্মরণে দেওয়া হয়, যাকে ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক’ হিসেবে গণ্য করা হয়,  প্রথম হিন্দি সিনেমা রাজা হরিশচন্দ্র তৈরি করেছিলেন।