২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেরুসালেমে দূতাবাস সরানোর পরিকল্পনা নেই ব্রিটেনের: ঋষি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 31

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইসরাইলে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাস তেল আবিব থেকে অধিকৃত জেরুসালেমে স্থানান্তরের কোনও পরিকল্পনা নেই লন্ডনের। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মুখপাত্র বলেন; দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অতীতের পরিকল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে পারে ১৬ ফেব্রুয়ারি

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মুখপাত্রের কাছে দূতাবাস স্থানান্তরের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। প্রশ্নের জবাবে ঋষির মুখপাত্র বলেন; ‘সরকারের এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।’

আরও পড়ুন: ই-বাইক  ও ই-স্কুটার উৎপাদনে বাংলার ব্রিটেন মউ

 

আরও পড়ুন: ব্রিটেনে শুরু হচ্ছে হালাল খাবার প্রদর্শনী

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাস ক্ষমতায় আসার পর তেল আবিব থেকে ব্রিটিশ দূতাবাস জেরুসালেমে দ্রুত স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন। কিন্তু ব্রিটেনের অভ্যন্তরীন ইস্যুতে চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

 

এরপরই দায়িত্ব পান কনজারভেটিভ পার্টির ঋষি সুনাক। উল্লেখ্য; ২০১৭ সালে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়ে বিতর্ক উসকে দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর একবছর পর তা বাস্তবায়ন হয়। এ নিয়ে ফিলিস্তিনের পাশাপাশি পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকা এবং পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলের গুলিতে নিহত হন অর্ধশত ফিলিস্তিনি।

 

আমেরিকার পর অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও একই কাজ করেছিলেন। তবে চলতি বছরের অক্টোবরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় নয়া অজি সরকার।

 

অন্যদিকে; ইসরাইলের সঙ্গে অন্য যেসব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে সেসব দেশের দূতাবাস তেল আবিবেই অবস্থিত।

 

ইসরাইল জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী দাবি করলেও ব্রিটেনসহ অনেক দেশ তেল আবিবে তাদের দূতাবাসের কার্যক্রম চালায়। এ দেশগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই দ্বি-রাষ্ট্র সমাানের ওপর জোর দেয় ও ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষে কথা বলে।

 

উল্লেখ্য; ১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধে জিতে ইসরাইল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয় এবং পুরো জেরুসালেম শহরকে ইসরাইলি রাষ্ট্রের অংশ ঘোষণা করে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জেরুসালেমে দূতাবাস সরানোর পরিকল্পনা নেই ব্রিটেনের: ঋষি

আপডেট : ৪ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইসরাইলে অবস্থিত ব্রিটিশ দূতাবাস তেল আবিব থেকে অধিকৃত জেরুসালেমে স্থানান্তরের কোনও পরিকল্পনা নেই লন্ডনের। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মুখপাত্র বলেন; দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অতীতের পরিকল্পনাকে খারিজ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হতে পারে ১৬ ফেব্রুয়ারি

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মুখপাত্রের কাছে দূতাবাস স্থানান্তরের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। প্রশ্নের জবাবে ঋষির মুখপাত্র বলেন; ‘সরকারের এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।’

আরও পড়ুন: ই-বাইক  ও ই-স্কুটার উৎপাদনে বাংলার ব্রিটেন মউ

 

আরও পড়ুন: ব্রিটেনে শুরু হচ্ছে হালাল খাবার প্রদর্শনী

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লিজ ট্রাস ক্ষমতায় আসার পর তেল আবিব থেকে ব্রিটিশ দূতাবাস জেরুসালেমে দ্রুত স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন। কিন্তু ব্রিটেনের অভ্যন্তরীন ইস্যুতে চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

 

এরপরই দায়িত্ব পান কনজারভেটিভ পার্টির ঋষি সুনাক। উল্লেখ্য; ২০১৭ সালে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়ে বিতর্ক উসকে দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর একবছর পর তা বাস্তবায়ন হয়। এ নিয়ে ফিলিস্তিনের পাশাপাশি পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকা এবং পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলের গুলিতে নিহত হন অর্ধশত ফিলিস্তিনি।

 

আমেরিকার পর অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও একই কাজ করেছিলেন। তবে চলতি বছরের অক্টোবরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় নয়া অজি সরকার।

 

অন্যদিকে; ইসরাইলের সঙ্গে অন্য যেসব দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে সেসব দেশের দূতাবাস তেল আবিবেই অবস্থিত।

 

ইসরাইল জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী দাবি করলেও ব্রিটেনসহ অনেক দেশ তেল আবিবে তাদের দূতাবাসের কার্যক্রম চালায়। এ দেশগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই দ্বি-রাষ্ট্র সমাানের ওপর জোর দেয় ও ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষে কথা বলে।

 

উল্লেখ্য; ১৯৬৭ সালে আরবদের সঙ্গে যুদ্ধে জিতে ইসরাইল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয় এবং পুরো জেরুসালেম শহরকে ইসরাইলি রাষ্ট্রের অংশ ঘোষণা করে।