২৬ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘৫০০ বছর ধরে জ্বলতে থাকা যজ্ঞের আজ সমাপ্তি হলো’, অযোধ্যায় ধ্বজারোহণে প্রধানমন্ত্রী মোদি

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 124

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অযোধ্যার রামমন্দিরের সর্বোচ্চ চূড়ায় সোমবার সগর্বে উড়ল ‘ধর্মধ্বজ’। ধ্বজা উত্তোলনের মুহূর্তে দৃশ্যত আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানালেন, “শতাব্দীপ্রাচীন ক্ষত আজ জুড়ে গেল। বহু শতকের যন্ত্রণার অবসান হলো।”

বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ শুরু হয় ধ্বজারোহণের অনুষ্ঠান। নিচ থেকে ধীরে ধীরে উঠে যায় ন্যায়ের প্রতীক এই ধ্বজা। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জুড়ে মোদি হাতজোড় করে তাকিয়ে ছিলেন তার দিকে। ধ্বজা উত্তোলন শেষে তিনি ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ফুল অর্পণ করেন।

আরও পড়ুন: অযোধ্যায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক, মোদিকে নিশানা কংগ্রেসের

পরবর্তী ভাষণে মোদি বলেন, “৫০০ বছর ধরে জ্বলতে থাকা যজ্ঞের আজ সমাপ্তি হলো। আজ সমগ্র ভারত ও বিশ্ব রামনামে ভাসছে। প্রতিটি ভক্তের মনে সীমাহীন আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা।’’

আরও পড়ুন: দিল্লির বিস্ফোরণে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ দেখছেন মোদি, ‘জড়িতদের কঠোর শাস্তি হবে’ হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

তিনি আরও জানান, অযোধ্যা এবার আধ্যাত্মবাদ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগলযাত্রার সাক্ষী থাকবে। তাঁর কথায়, “‘ধর্মধ্বজ’ বারবার মনে করিয়ে দেবে—প্রাণ যায়, বচন যায় না; আর সমাজ গরিবের পাশে দাঁড়াবে।”

আরও পড়ুন: দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করছে গেরুয়া শিবির, রেলের অনুষ্ঠানে সংঘের গান নিয়ে তোপ বিজয়নের

প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হলেও তখনো মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়নি। প্রায় দুই বছর পর নির্মাণ শেষ হওয়ায় পুরোহিতদের একাংশ এই ধ্বজারোহণকে দ্বিতীয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা বলেও উল্লেখ করেছেন। ধ্বজা উত্তোলনের পর মন্দিরের ৪৪টি দরজা ধর্মীয় আচারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘৫০০ বছর ধরে জ্বলতে থাকা যজ্ঞের আজ সমাপ্তি হলো’, অযোধ্যায় ধ্বজারোহণে প্রধানমন্ত্রী মোদি

আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অযোধ্যার রামমন্দিরের সর্বোচ্চ চূড়ায় সোমবার সগর্বে উড়ল ‘ধর্মধ্বজ’। ধ্বজা উত্তোলনের মুহূর্তে দৃশ্যত আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানালেন, “শতাব্দীপ্রাচীন ক্ষত আজ জুড়ে গেল। বহু শতকের যন্ত্রণার অবসান হলো।”

বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ শুরু হয় ধ্বজারোহণের অনুষ্ঠান। নিচ থেকে ধীরে ধীরে উঠে যায় ন্যায়ের প্রতীক এই ধ্বজা। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া জুড়ে মোদি হাতজোড় করে তাকিয়ে ছিলেন তার দিকে। ধ্বজা উত্তোলন শেষে তিনি ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ফুল অর্পণ করেন।

আরও পড়ুন: অযোধ্যায় গেরুয়া পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক, মোদিকে নিশানা কংগ্রেসের

পরবর্তী ভাষণে মোদি বলেন, “৫০০ বছর ধরে জ্বলতে থাকা যজ্ঞের আজ সমাপ্তি হলো। আজ সমগ্র ভারত ও বিশ্ব রামনামে ভাসছে। প্রতিটি ভক্তের মনে সীমাহীন আনন্দ ও কৃতজ্ঞতা।’’

আরও পড়ুন: দিল্লির বিস্ফোরণে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ দেখছেন মোদি, ‘জড়িতদের কঠোর শাস্তি হবে’ হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর

তিনি আরও জানান, অযোধ্যা এবার আধ্যাত্মবাদ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগলযাত্রার সাক্ষী থাকবে। তাঁর কথায়, “‘ধর্মধ্বজ’ বারবার মনে করিয়ে দেবে—প্রাণ যায়, বচন যায় না; আর সমাজ গরিবের পাশে দাঁড়াবে।”

আরও পড়ুন: দেশে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধ্বংস করছে গেরুয়া শিবির, রেলের অনুষ্ঠানে সংঘের গান নিয়ে তোপ বিজয়নের

প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হলেও তখনো মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়নি। প্রায় দুই বছর পর নির্মাণ শেষ হওয়ায় পুরোহিতদের একাংশ এই ধ্বজারোহণকে দ্বিতীয় প্রাণপ্রতিষ্ঠা বলেও উল্লেখ করেছেন। ধ্বজা উত্তোলনের পর মন্দিরের ৪৪টি দরজা ধর্মীয় আচারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।