১২ নভেম্বর ২০২৫, বুধবার, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 258

মোল্লা জসিমউদ্দিন: পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তার ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ঠিক এই ধরনের এক মামলায় জানতে চাইলো -’দিল্লি থেকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে?’

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থান নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লির মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

আরও পড়ুন: সিএএ রশিদ SIR এ গ্রাহ্য করা হোক, নতুন মামলা হাইকোর্টে

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি এসআইআর কেন? কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

সম্প্রতি দিল্লি থেকে আটক হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক। প্রশ্ন উঠছে তাঁদের কি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে এই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লির সঙ্গে সমন্বয় রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হস্টেল বন্ধ রাখতে হবে: calcutta high court

 

মনোজকেও বলা হয়েছে যাবতীয় বিষয় জেনে সামগ্রিকভাবে আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দিতে। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে।দিল্লিতে বেশ ককয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিককে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কিছুদিন আগে।

 

তাঁদের পরিবারের দাবি, -’শ্রমিকরা সকলেই বাংলার বাসিন্দা, কিন্তু তাঁদের দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি বলে’। দিল্লিতে আটক করার পর অভিযোগ ওঠে যে পরিযায়ীদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।

 

আদালতের সামনে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে একটি পরিবার রয়েছে। সেখানে মা-বাবার সঙ্গে রয়েছে একটি আট বছরের শিশুও। শুনানি হয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে।

 

কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে এই ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে আরও একটি মামলা হাইকোর্টে উঠেছিল। পেটের টানে ভিনরাজ্যে গিয়ে কার্যত বিপাকে পড়তে হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে। ওড়িশায় তাঁরা আটকে রয়েছেন বাংলাদেশি সন্দেহে।

 

ওড়িশার মামলাটির ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে এই বিষয়ে ওড়িশার মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধান করবেন বাংলার। তাঁদের আটকে রাখার কারণ, কী অভিযোগে আটকে রাখা হয়েছে, কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা, আটক করার পরে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোথায় রাখা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কিনা এই সব প্রশ্ন মুখ্যসচিবকে করার পরামর্শ দেয় আদালত। রিপোর্ট কোর্টে দাখিল করলে, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

আপডেট : ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্তার ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা চলছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ঠিক এই ধরনের এক মামলায় জানতে চাইলো -’দিল্লি থেকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে?’

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থান নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লির মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

আরও পড়ুন: সিএএ রশিদ SIR এ গ্রাহ্য করা হোক, নতুন মামলা হাইকোর্টে

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি এসআইআর কেন? কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

সম্প্রতি দিল্লি থেকে আটক হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক। প্রশ্ন উঠছে তাঁদের কি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে এই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লির সঙ্গে সমন্বয় রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হস্টেল বন্ধ রাখতে হবে: calcutta high court

 

মনোজকেও বলা হয়েছে যাবতীয় বিষয় জেনে সামগ্রিকভাবে আদালতে একটি রিপোর্ট জমা দিতে। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে।দিল্লিতে বেশ ককয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিককে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কিছুদিন আগে।

 

তাঁদের পরিবারের দাবি, -’শ্রমিকরা সকলেই বাংলার বাসিন্দা, কিন্তু তাঁদের দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশি বলে’। দিল্লিতে আটক করার পর অভিযোগ ওঠে যে পরিযায়ীদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।

 

আদালতের সামনে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে একটি পরিবার রয়েছে। সেখানে মা-বাবার সঙ্গে রয়েছে একটি আট বছরের শিশুও। শুনানি হয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে।

 

কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে এই ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে আরও একটি মামলা হাইকোর্টে উঠেছিল। পেটের টানে ভিনরাজ্যে গিয়ে কার্যত বিপাকে পড়তে হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে। ওড়িশায় তাঁরা আটকে রয়েছেন বাংলাদেশি সন্দেহে।

 

ওড়িশার মামলাটির ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে এই বিষয়ে ওড়িশার মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধান করবেন বাংলার। তাঁদের আটকে রাখার কারণ, কী অভিযোগে আটকে রাখা হয়েছে, কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা, আটক করার পরে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোথায় রাখা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কিনা এই সব প্রশ্ন মুখ্যসচিবকে করার পরামর্শ দেয় আদালত। রিপোর্ট কোর্টে দাখিল করলে, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।