০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উটের পিঠে স্বাস্থ্যকেন্দ্র!

পুবের কলম
  • আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার
  • / 20

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ উটের পিঠে ওষুধের পোঁটলা নিয়ে চলেছেন হলুদ টি-শার্ট পরা সাত পুরুষ এবং তিনজন নার্স। পোঁটলাগুলিতে আছে ওষুধ, ব্যান্ডেজ আর পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত সামগ্রী। উটের পিঠে চলমান মোবাইল ক্লিনিকগুলি গন্তব্যে পৌঁছানোর পর চারপাশ থেকে ছুটে আসতে শুরু করে মানুষ। অস্থায়ী তাঁবু গেঁড়ে শুরু হয় চিকিৎসা প্রদান। দুর্বল অর্থনীতির দেশ কেনিয়ার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় এখন এভাবেই মানুষের চিকিৎসা চলছে।
প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি জনসংখ্যার দেশটি ঘিরে রয়েছে বিস্তীর্ণ সমতল মরুপ্রান্তর আর উপত্যকা। ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৮১ বর্গমাইলের দেশটিতে যোগাযোগ-অবকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। রাজধানী নাইরোবির সঙ্গে অন্য প্রদেশগুলির বিচ্ছিন্নতা তখনই ধরা পড়ে, যখন দেখা যায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মারা যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।


শুধু তাই নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্বলতার দরুন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবার আওতাতেও আসতে পারছেন না প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব মানুষ। এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে উটের পিঠে থাকা এই স্বাস্থ্য পরিষেবা। সাধারণ যেকোনও রোগ নির্মূলে নির্ভরতার প্রতীক এই উট ক্লিনিকগুলো।
কেনিয়ার লোকিজি অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ইওয়াসো। নানিউকি শহর থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে নানিউকি নদীর মধ্যবর্তী প্রতিকূল পরিবেশেই বাস করেন পেরিসিয়া। এতদিন এলাকাটিতে স্বাস্থ্যসেবা বলে কিছু ছিল না।


সম্প্রতি এখানকার কমিউনিটির জন্য স্বাস্থ্যসেবার আয়োজন করেছে কমিউনিটি হেলথ আফ্রিকা ট্রাস্ট। প্রতিষ্ঠানটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে উটকে পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করে দিচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। গত তিন বছরে এই প্রতিষ্ঠানটি কেনিয়ার ১৪টি কাউন্টির এক লক্ষেরও বেশি মানুষের কাছে পরিবার পরিকল্পনার ওপর ফোকাস করে টিবি, এইচআইভি এবং কোভিড প্রতিরোধ পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। তাদের প্রচেষ্টাতেই প্রায় ৩৭ হাজার নারী দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত খাদ্য, জ্বালানি কাঠ, পানি এবং জীবিকা অর্জনের অভাবে থাকা মানুষগুলোর বক্তব্য, প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে কী হবে, যদি পেটে ভাতই না থাকে?

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উটের পিঠে স্বাস্থ্যকেন্দ্র!

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ উটের পিঠে ওষুধের পোঁটলা নিয়ে চলেছেন হলুদ টি-শার্ট পরা সাত পুরুষ এবং তিনজন নার্স। পোঁটলাগুলিতে আছে ওষুধ, ব্যান্ডেজ আর পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত সামগ্রী। উটের পিঠে চলমান মোবাইল ক্লিনিকগুলি গন্তব্যে পৌঁছানোর পর চারপাশ থেকে ছুটে আসতে শুরু করে মানুষ। অস্থায়ী তাঁবু গেঁড়ে শুরু হয় চিকিৎসা প্রদান। দুর্বল অর্থনীতির দেশ কেনিয়ার বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় এখন এভাবেই মানুষের চিকিৎসা চলছে।
প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি জনসংখ্যার দেশটি ঘিরে রয়েছে বিস্তীর্ণ সমতল মরুপ্রান্তর আর উপত্যকা। ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৮১ বর্গমাইলের দেশটিতে যোগাযোগ-অবকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। রাজধানী নাইরোবির সঙ্গে অন্য প্রদেশগুলির বিচ্ছিন্নতা তখনই ধরা পড়ে, যখন দেখা যায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবার অভাবে মারা যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।


শুধু তাই নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্বলতার দরুন বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবার আওতাতেও আসতে পারছেন না প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব মানুষ। এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে উটের পিঠে থাকা এই স্বাস্থ্য পরিষেবা। সাধারণ যেকোনও রোগ নির্মূলে নির্ভরতার প্রতীক এই উট ক্লিনিকগুলো।
কেনিয়ার লোকিজি অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ইওয়াসো। নানিউকি শহর থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে নানিউকি নদীর মধ্যবর্তী প্রতিকূল পরিবেশেই বাস করেন পেরিসিয়া। এতদিন এলাকাটিতে স্বাস্থ্যসেবা বলে কিছু ছিল না।


সম্প্রতি এখানকার কমিউনিটির জন্য স্বাস্থ্যসেবার আয়োজন করেছে কমিউনিটি হেলথ আফ্রিকা ট্রাস্ট। প্রতিষ্ঠানটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে উটকে পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করে দিচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। গত তিন বছরে এই প্রতিষ্ঠানটি কেনিয়ার ১৪টি কাউন্টির এক লক্ষেরও বেশি মানুষের কাছে পরিবার পরিকল্পনার ওপর ফোকাস করে টিবি, এইচআইভি এবং কোভিড প্রতিরোধ পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। তাদের প্রচেষ্টাতেই প্রায় ৩৭ হাজার নারী দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত খাদ্য, জ্বালানি কাঠ, পানি এবং জীবিকা অর্জনের অভাবে থাকা মানুষগুলোর বক্তব্য, প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে কী হবে, যদি পেটে ভাতই না থাকে?