ভোটাধিকার হারাবেন ৩ কোটি ভোটার!
নির্বাচন কমিশনের এসআইআর বন্ধের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা

- আপডেট : ৬ জুলাই ২০২৫, রবিবার
- / 83
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এসআইআর (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন)নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার দেশের শীর্ষ আদালতে দায়ের হল মামলা। কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)।
চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ভোটার তালিকা সংশোধন করতে নির্দেশ জারি করে কমিশন। ভুয়ো ভোটার ছাঁটাই করতে ২৪ জুন এক নির্দেশিকা জারি করে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়, ভুয়ো ভোটার ছাঁটাই করে যোগ্যদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নিশ্চিত করতে বিহারে এসআইআর (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন) দ্রুত শুরু করতে হবে। কমিশনের এই ফরমানের পরই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এদিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এডিআর দাবি করে, ভোটার তালিকায় এই নিবিড় সংশোধনীর কাজ বন্ধ না করলে ৩ কোটি বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে।
বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধন কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন। যদিও কমিশনের এসআইআর করার নির্দেশিকা সংবিধানের ১৪, ১৯, ২১, ৩২৫ এবং ৩২৬ অনুচ্ছেদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০ এবং নির্বাচক নিবন্ধন বিধিমালা, ১৯৬০-এর বিধি ২১এ লঙ্ঘন করে বলে দাবি করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস। মামলাকারী আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, কমিশনের নির্দেশ ‘স্বেচ্ছাচারীভাবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই’ লক্ষ লক্ষ ভোটারকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে। এমনকি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে ব্যাহত করতে পারে। প্রশান্ত ভূষণের কথায়, “নির্দেশের নথিপত্রের প্রয়োজনীয়তা, যথাযথ প্রক্রিয়ার অভাবের পাশাপাশি বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের জন্য অযৌক্তিকভাবে সংক্ষিপ্ত সময়সীমা এই প্রক্রিয়াটিকে আরও বাধ্য করে তোলে। যার ফলে লক্ষ লক্ষ প্রকৃত ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। এর যার ফলে বহু মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে এ জাতীয় সংশোধনের কাজ করা হয়েছিল বিহারে। কমিশনের এই ভোটার তালিকা সংশোধনীকে ঘুরপথে এনআরসি করার চেষ্টা বলেই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, এর ফলে বহু বৈধ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। আরজেডি মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় তিওয়ারি বলছেন, “এই উদ্যোগ মূলত যুবক, দরিদ্র, দলিত এবং তেজস্বী যাদবের ভোটারদের বাদ দিতে করা হচ্ছে। এত কম সময়, তাও বর্ষার সময়, মানুষ কীভাবে শহর ছেড়ে গ্রামে এসে ফর্ম জমা দেবে?”