১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩৫টি ওষুধের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ জারি কেন্দ্রের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 263

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ভারতের শীর্ষ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন(CDSCO)৩৫টি ওষুধ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই ৩৫টি ওষুধের উৎপাদন, বিক্রি ও বিতরণ অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই ওষুধগুলির তালিকায় রয়েছে ব্যথানাশক ওষুধ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, স্নায়বিক ব্যথা উপশমকারী ওষুধ, বন্ধ্যাত্ব নিরাময়ের ওষুধ ও পুষ্টির ওষুধ। এই ধরনের ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ(FDC)-এর অনুমোদন প্রক্রিয়া পর্যলোচনা করতে বলা হয়েছে। ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট ১৯৪০-এর নিয়মগুলিকে কঠোরভাবে লাগু করতে বলা হয়েছে। FDC ওষুধ হল সেই ওষুধ যাতে একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে দুই বা ততোধিক সক্রিয় ওষুধের উপাদানের (API)  সংমিশ্রণ থাকে। রোগীদের নিরাপত্তায় ঝুঁকি থাকায় কেন্দ্রীয় সংস্থা এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুন: প্যারাসিটামল কি আপনার জন্য নিরাপদ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি রয়েছে, জেনে নিন

১১ এপ্রিলের এক চিঠিতে CDSCO প্রধান ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) ডঃ রাজীব রঘুবংশী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত ওষুধ নিয়ন্ত্রকদের উদ্দেশে লিখেছেন, এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি। বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা দরকার।

আরও পড়ুন: ভেজাল ওষুধ নিয়ে সতর্ক রাজ্য, রুখতে নির্দেশিকা জারি

CDSCO জানিয়েছে, তারা জানতে পেরেছে যে, কিছু FDC ওষুধ নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই না করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা Drugs & Cosmetics Act 1940 এবং NDCT Rules 2019-এর পরিপন্থী।

আরও পড়ুন: জীবনদায়ী ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি: নবান্ন থেকে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার, রাজ্যজুড়ে কর্মসূচির ঘোষণা

চিঠিতে বলা হয়েছে, “এই ধরনের অনুমোদনহীন FDC ওষুধ রোগীদের জীবনের জন্য ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে। কারণ এগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ওষুধের পারস্পরিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।”

বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের নিয়মে এই ওষুধগুলোর অনুমোদন দিলেও কেন্দ্রীয় নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। ফলে এক রকম অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। ওষুধ প্রস্ততকারীদের কারণ দেখাতে নোটিস পাঠানো হলে তারা জানায় রাজ্যের লাইসেন্স নিয়েই এ কাজ করা হয়েছে। তাই কোনও আইন তারা ভাঙেননি।

DCGI সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তাদের ওষুধ অনুমোদন প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে এবং আইন ও নিয়মকানুন কঠোরভাবে মানার পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ওষুধ নিয়ন্ত্রণে সমন্বয়ের ঘাটতি দূর করার কথা নির্দেশে বলা হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কোনও রকমের আশঙ্কা তৈরি না হয়।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৩৫টি ওষুধের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ জারি কেন্দ্রের

আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ভারতের শীর্ষ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন(CDSCO)৩৫টি ওষুধ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই ৩৫টি ওষুধের উৎপাদন, বিক্রি ও বিতরণ অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই ওষুধগুলির তালিকায় রয়েছে ব্যথানাশক ওষুধ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, স্নায়বিক ব্যথা উপশমকারী ওষুধ, বন্ধ্যাত্ব নিরাময়ের ওষুধ ও পুষ্টির ওষুধ। এই ধরনের ফিক্সড ডোজ কম্বিনেশন ড্রাগ(FDC)-এর অনুমোদন প্রক্রিয়া পর্যলোচনা করতে বলা হয়েছে। ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট ১৯৪০-এর নিয়মগুলিকে কঠোরভাবে লাগু করতে বলা হয়েছে। FDC ওষুধ হল সেই ওষুধ যাতে একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে দুই বা ততোধিক সক্রিয় ওষুধের উপাদানের (API)  সংমিশ্রণ থাকে। রোগীদের নিরাপত্তায় ঝুঁকি থাকায় কেন্দ্রীয় সংস্থা এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে খবর।

আরও পড়ুন: প্যারাসিটামল কি আপনার জন্য নিরাপদ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি রয়েছে, জেনে নিন

১১ এপ্রিলের এক চিঠিতে CDSCO প্রধান ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) ডঃ রাজীব রঘুবংশী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত ওষুধ নিয়ন্ত্রকদের উদ্দেশে লিখেছেন, এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি। বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা দরকার।

আরও পড়ুন: ভেজাল ওষুধ নিয়ে সতর্ক রাজ্য, রুখতে নির্দেশিকা জারি

CDSCO জানিয়েছে, তারা জানতে পেরেছে যে, কিছু FDC ওষুধ নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই না করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা Drugs & Cosmetics Act 1940 এবং NDCT Rules 2019-এর পরিপন্থী।

আরও পড়ুন: জীবনদায়ী ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি: নবান্ন থেকে কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার, রাজ্যজুড়ে কর্মসূচির ঘোষণা

চিঠিতে বলা হয়েছে, “এই ধরনের অনুমোদনহীন FDC ওষুধ রোগীদের জীবনের জন্য ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে। কারণ এগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ওষুধের পারস্পরিক বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।”

বিভিন্ন রাজ্য নিজেদের নিয়মে এই ওষুধগুলোর অনুমোদন দিলেও কেন্দ্রীয় নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। ফলে এক রকম অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়েছে গোটা দেশে। ওষুধ প্রস্ততকারীদের কারণ দেখাতে নোটিস পাঠানো হলে তারা জানায় রাজ্যের লাইসেন্স নিয়েই এ কাজ করা হয়েছে। তাই কোনও আইন তারা ভাঙেননি।

DCGI সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তাদের ওষুধ অনুমোদন প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে এবং আইন ও নিয়মকানুন কঠোরভাবে মানার পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ওষুধ নিয়ন্ত্রণে সমন্বয়ের ঘাটতি দূর করার কথা নির্দেশে বলা হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কোনও রকমের আশঙ্কা তৈরি না হয়।