১৩ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

Waqf Amendment Bill: উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
  • / 131

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদ ঘিরে সোমবার অশান্ত হল জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা। ফলে বিধানসভা কিছু সময়ের জন্য মুলতবি করা হয়েছিল। সোমবার এনসি, কংগ্রেস, নির্দল বিধায়করা ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এদিন জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার মধ্যে এনসি বিধায়ক হিলাল লোন এবং সালমান সাগর ওয়াকফ আইনের কপি ছিঁড়ে ফেলার পর সংসদে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এরপর বিধায়ক আধুল মাজিদ লারমি প্রতিবাদে তার জ্যাকেট মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে দেন। এনসি, কংগ্রেসের নয় জন সদস্য এবং কিছু স্বতন্ত্র সদস্য আলোচনার জন্য স্পিকারকে নোটিশ দিয়েছিলেন। বিজেপি বিধায়কেরা আপত্তি তোলেন তাতে। তাঁদের যুক্তি, ওয়াকফ বিলের (Waqf Amendment Bill) উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। তাই বিচারাধীন বিষয় বিধানসভায় আলোচনায় তালিকাভুক্ত করা যাবে না।

কয়েক দফা মুলতুবির পরে শেষ পর্যন্ত শাসক ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়কদের প্রবল হইহট্টগোলের কারণে দিনের মতো বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। প্রসঙ্গত, বাজেট অধিবেশের দ্বিতীয় পর্বে সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়া ওয়াকফ বিলে শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করায় তা আইনে পরিণত হয়েছে। স্পিকার রহিম সোমবার বলেন, ‘‘পরিষদীয় বিধির ৫৮ নম্বর ধারার উপধারা ৭-এ বলা হয়েছে আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আইনসভায় আলোচনা চলতে পারে না।’’ ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill) নিয়ে বিধানসভায় হট্টগোলের বিষয়ে জেকেএনসি বিধায়ক তানভীর সাদিক বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য এটি একটি অত্যন্ত আবেগপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বিষয়। এটি একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য। আমরা সংসদের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করছি না কিন্তু আমরা আমাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে চাই। যদি আমরা আমাদের বক্তব্য বিধানসভায় না রাখি, তাহলে আমরা তা কোথায় রাখব? আইন অনুসারে আমরা একটি স্থগিতাদেশ প্রস্তাব চেয়েছিলাম এবং যতক্ষণ না স্পিকার আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং আলোচনার অনুমতি দেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাতে অটল থাকব।’

Tag :

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

Waqf Amendment Bill: উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা

আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে প্রতিবাদ ঘিরে সোমবার অশান্ত হল জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা। ফলে বিধানসভা কিছু সময়ের জন্য মুলতবি করা হয়েছিল। সোমবার এনসি, কংগ্রেস, নির্দল বিধায়করা ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন নিয়ে আলোচনার দাবি জানালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এদিন জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার মধ্যে এনসি বিধায়ক হিলাল লোন এবং সালমান সাগর ওয়াকফ আইনের কপি ছিঁড়ে ফেলার পর সংসদে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এরপর বিধায়ক আধুল মাজিদ লারমি প্রতিবাদে তার জ্যাকেট মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে দেন। এনসি, কংগ্রেসের নয় জন সদস্য এবং কিছু স্বতন্ত্র সদস্য আলোচনার জন্য স্পিকারকে নোটিশ দিয়েছিলেন। বিজেপি বিধায়কেরা আপত্তি তোলেন তাতে। তাঁদের যুক্তি, ওয়াকফ বিলের (Waqf Amendment Bill) উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। তাই বিচারাধীন বিষয় বিধানসভায় আলোচনায় তালিকাভুক্ত করা যাবে না।

কয়েক দফা মুলতুবির পরে শেষ পর্যন্ত শাসক ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়কদের প্রবল হইহট্টগোলের কারণে দিনের মতো বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। প্রসঙ্গত, বাজেট অধিবেশের দ্বিতীয় পর্বে সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়া ওয়াকফ বিলে শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু স্বাক্ষর করায় তা আইনে পরিণত হয়েছে। স্পিকার রহিম সোমবার বলেন, ‘‘পরিষদীয় বিধির ৫৮ নম্বর ধারার উপধারা ৭-এ বলা হয়েছে আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আইনসভায় আলোচনা চলতে পারে না।’’ ওয়াকফ সংশোধনী বিল (Waqf Amendment Bill) নিয়ে বিধানসভায় হট্টগোলের বিষয়ে জেকেএনসি বিধায়ক তানভীর সাদিক বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য এটি একটি অত্যন্ত আবেগপূর্ণ এবং সংবেদনশীল বিষয়। এটি একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য। আমরা সংসদের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করছি না কিন্তু আমরা আমাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে চাই। যদি আমরা আমাদের বক্তব্য বিধানসভায় না রাখি, তাহলে আমরা তা কোথায় রাখব? আইন অনুসারে আমরা একটি স্থগিতাদেশ প্রস্তাব চেয়েছিলাম এবং যতক্ষণ না স্পিকার আমাদের প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং আলোচনার অনুমতি দেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাতে অটল থাকব।’