১৫ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবাস যোজনায় আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ মুখ্যসচিবের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 87

পুবের কলম প্রতিবেদক: আবাস যোজনার সার্ভে নিয়ে গ্রাম বাংলায় চলছে বিক্ষোভ। আর এই বিক্ষোভের  আঁচ এসে পড়ছে আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের উপর।

আবাস যোজনার উপভোক্তাদের তালিকা থেকে নাম বাদ করা এবং নাম ঢোকানোর অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকেই আবাস যোজনা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, আবাসের বাড়ি বানাবে রাজ্যই, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা যে সমস্ত অঞ্চলে সমস্যার মুখে পড়ছেন,  সেখানে সিনিয়র কোনও আধিকারিককে যেতে হবে।

আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষ হচ্ছে ডিজি-মুখ্যসচিবের, রাজ্যের শীর্ষ পদে বড় রদবদলের সম্ভাবনা

এছাড়াও, নবান্নের নির্দেশ যে জায়গাগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা হতে পারে সেই জায়গাগুলিতে আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে। প্রয়োজনে জেলার এসপি-কেও কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব

হুমকির মুখে পড়ে এক আশাকর্মীর আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ ওঠার পরে বিষয়টি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে প্রশাসন। তাই এবার তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যই পুলিশকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল বলে সূত্রের খবর।

এছাড়াও উপভোক্তাদের প্রাপকদের তালিকার মধ্যে যদি কারোর পাকা বাড়ি থাকে, তাহলে তাদের কোনওভাবেই সেই তালিকায় রাখা যাবে না বলেও এদিন কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। এর আগেও আবাস যোজনা নিয়ে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং দফতরের জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকে পুলিশকে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও একাধিক জায়গায় আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা হুমকি মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে,  জেলাগুলিকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে। তা না হলে, রাজ্যের কোটা হাতছাড়া হতে পারে। সম্প্রতি চিঠি দিয়ে রাজ্যকে সে কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়নমন্ত্রক। সেই চিঠি পাওয়ার পরেই জেলাশাসকদের সতর্ক করেছেন খোদ মুখ্যসচিব।

জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব বলেছেন কেন্দ্রের স্থির করে দেওয়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে। কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে এ-ও জানানো হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে যেসব রাজ্য তাদের তালিকার লক্ষ্যমাত্র পূরণ করতে পারবে না, তাদের জন্য বাকি বরাদ্দ অন্য রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আবাস যোজনায় আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের পুলিশি নিরাপত্তার নির্দেশ মুখ্যসচিবের

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: আবাস যোজনার সার্ভে নিয়ে গ্রাম বাংলায় চলছে বিক্ষোভ। আর এই বিক্ষোভের  আঁচ এসে পড়ছে আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের উপর।

আবাস যোজনার উপভোক্তাদের তালিকা থেকে নাম বাদ করা এবং নাম ঢোকানোর অভিযোগ নিয়ে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এই সমস্ত বিষয় নিয়েই মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকেই আবাস যোজনা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, আবাসের বাড়ি বানাবে রাজ্যই, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বৈঠকে মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা যে সমস্ত অঞ্চলে সমস্যার মুখে পড়ছেন,  সেখানে সিনিয়র কোনও আধিকারিককে যেতে হবে।

আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষ হচ্ছে ডিজি-মুখ্যসচিবের, রাজ্যের শীর্ষ পদে বড় রদবদলের সম্ভাবনা

এছাড়াও, নবান্নের নির্দেশ যে জায়গাগুলিতে অশান্তির আশঙ্কা হতে পারে সেই জায়গাগুলিতে আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে হবে পুলিশকে। প্রয়োজনে জেলার এসপি-কেও কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব

হুমকির মুখে পড়ে এক আশাকর্মীর আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ ওঠার পরে বিষয়টি নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে প্রশাসন। তাই এবার তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যই পুলিশকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল বলে সূত্রের খবর।

এছাড়াও উপভোক্তাদের প্রাপকদের তালিকার মধ্যে যদি কারোর পাকা বাড়ি থাকে, তাহলে তাদের কোনওভাবেই সেই তালিকায় রাখা যাবে না বলেও এদিন কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। এর আগেও আবাস যোজনা নিয়ে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং দফতরের জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকে পুলিশকে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও একাধিক জায়গায় আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা হুমকি মুখে পড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অন্যদিকে,  জেলাগুলিকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকায় ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে। তা না হলে, রাজ্যের কোটা হাতছাড়া হতে পারে। সম্প্রতি চিঠি দিয়ে রাজ্যকে সে কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়নমন্ত্রক। সেই চিঠি পাওয়ার পরেই জেলাশাসকদের সতর্ক করেছেন খোদ মুখ্যসচিব।

জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব বলেছেন কেন্দ্রের স্থির করে দেওয়া ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ করতে হবে। কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে এ-ও জানানো হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে যেসব রাজ্য তাদের তালিকার লক্ষ্যমাত্র পূরণ করতে পারবে না, তাদের জন্য বাকি বরাদ্দ অন্য রাজ্যকে দিয়ে দেওয়া হবে।