লিভ-ইন-সঙ্গীকে খুন যুবকের
মুখে সেলোটেপ লাগিয়ে প্রেমিকা ও ৬ মাসের এক শিশুকে খুন প্রেমিকের

- আপডেট : ১০ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 112
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ফের লিভ-ইন-সঙ্গীকে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে। দিল্লির মজনু কা টিলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। শুধু তাই নয়, প্রেমিকার সঙ্গে সঙ্গে একটি ছয় মাসের শিশুকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। শিশুটি সম্পর্কে মৃত তরুণীর বান্ধবীর সন্তান । এদিন ব্লেড দিয়ে গলা কেটে উভয়কে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। কেন এই হত্যাকাণ্ড?
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তরুণীর নাম সোনাল। বয়স ২২। অভিযুক্তের নাম নিখিল। বয়স ২৪। উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সে। ২০২৩ সালে হলদোয়ানিতে সোনালের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল তার। আলাপচারিতা ধীরে ধীরে প্রণয়ের সম্পর্কে রুপ নেই। এক সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তারা। ওই বছরই অন্তঃসত্ত্বা হন সোনাল। অবিবাহিত হওয়ায় এবং আর্থিক সমস্যায় সন্তান হোক চায়নি দুজনেই। গর্ভপাত করায়। এর পরেও ২০২৪ শুরুতে সোনাল-নিখিলের সন্তান হয়। দম্পতি শিশুটিকে আলোমোরার এক ব্যক্তির কাছে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। এর পর শহর বদল করে তারা। পরে আসে মজনু কা টিলায়। এই সময় সোনালের সঙ্গে রেশমির বন্ধুত্ব হয়। একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত শুরু হয়। রেশমির স্বামী দুর্গেশের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন সোনাল বলে সন্দেহ হয় নিখিলের।
এই সন্দেহকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে প্রায়দিনই ঝামেলা-বিবাদ লেগে থাকত। দুর্গেশ-সোনালের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নিখিল। এই সময় ফের অন্তঃসত্ত্বা হন সোনাল। এবার নিজের সন্তান চান নিখিল নিজেও। তবে রাজি হয়নি সোনাল। ফলে গর্ভপাত করান। নিখিলের দাবি, দুর্গেশই জোর করে গর্ভপাত করায়। হত্যাকাণ্ডের আগে গত ২০-২৫ দিন রেশমির বাড়িতে থাকছিলেন সোনাল।
গত বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ রেশমির বাড়িতে উপস্থিত হয় সে। সেই সময় সোনাল ছাড়া বাড়িতে ছিল রেশমির ছয় মাস বয়সি মেয়ে। অন্য আর এক মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিল রেশমি ও তাঁর স্বামী। সেখানে আবার উভয়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়। একপর্যায়ে সোনালকে ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন নিখিল। এর পরেই তাঁর চোখ যায় শিশুটির দিকে। সোনালের গর্ভপাতের বদলা নিতে শিশুটিকেও গলা কেটে হত্যা করেন নিখিল। আওয়াজ যাতে বাইরে না যায়, তার জন্য হত্যার আগে দু’জনের মুখে সেলোটেপ লাগান। ইতিমধ্যেই নিখিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে সে।