১৯ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জন্মহার বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ চিনের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার
  • / 77

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: চিনে জন্মহার ধীরে ধীরে এতটাই কমে এসেছে যে বিষয়টি এখন রাষ্ট্রীয় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকট থেকে বেরোতেই এবার শি জিনপিং সরকারের বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার পরে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুর জন্য পরিবার পাবে বার্ষিক ৩,৬০০ ইউয়ান, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৫ হাজার টাকার সমান। এই অনুদান মিলবে পরপর তিন বছর ধরে, অর্থাৎ শিশুর তিন বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত।

চিনে দীর্ঘদিন ধরে ‘এক সন্তান’ নীতি চালু ছিল। ২০১৬ সালে সেই নিয়ম শিথিল হলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আশানুরূপ বাড়েনি। বরং উল্টে জন্মের হার আরও কমেছে। ২০১৬ সালে চিনে জন্ম নিয়েছিল প্রায় ১.৮৮ কোটি শিশু, ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৯৫ লক্ষে। ফলে কর্মক্ষম যুবসমাজের সংখ্যা কমছে এবং বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে। যা ভবিষ্যতের জন্য চিনের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

২০২৩ সালে চিন বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশের তকমা হারায় ভারতের কাছে। আর এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তবে ২০৫০ সালের মধ্যে চিনের জনসংখ্যা নেমে আসতে পারে ১৩০ কোটিতে। অর্থনৈতিকভাবে সুসংহত ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন সরকার এবার পরিবার গঠনে উৎসাহ দিতে চাইছে।

এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হল সন্তান প্রতিপালনের খরচ কিছুটা লাঘব করে দম্পতিদের উৎসাহিত করা, যাতে তাঁরা একটি নয়, একাধিক সন্তান নেওয়ার কথা ভাবেন। জনসংখ্যা কমার প্রবণতা রোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে শ্রমবাজারে ঘাটতি, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর উপর অতিরিক্ত স্বাস্থ্য খরচ এবং আর্থিক বোঝা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জন্মহার বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ চিনের

আপডেট : ৪ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: চিনে জন্মহার ধীরে ধীরে এতটাই কমে এসেছে যে বিষয়টি এখন রাষ্ট্রীয় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সংকট থেকে বেরোতেই এবার শি জিনপিং সরকারের বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার পরে জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুর জন্য পরিবার পাবে বার্ষিক ৩,৬০০ ইউয়ান, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪৫ হাজার টাকার সমান। এই অনুদান মিলবে পরপর তিন বছর ধরে, অর্থাৎ শিশুর তিন বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত।

চিনে দীর্ঘদিন ধরে ‘এক সন্তান’ নীতি চালু ছিল। ২০১৬ সালে সেই নিয়ম শিথিল হলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আশানুরূপ বাড়েনি। বরং উল্টে জন্মের হার আরও কমেছে। ২০১৬ সালে চিনে জন্ম নিয়েছিল প্রায় ১.৮৮ কোটি শিশু, ২০২৪ সালে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৯৫ লক্ষে। ফলে কর্মক্ষম যুবসমাজের সংখ্যা কমছে এবং বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে। যা ভবিষ্যতের জন্য চিনের অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

২০২৩ সালে চিন বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশের তকমা হারায় ভারতের কাছে। আর এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তবে ২০৫০ সালের মধ্যে চিনের জনসংখ্যা নেমে আসতে পারে ১৩০ কোটিতে। অর্থনৈতিকভাবে সুসংহত ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন সরকার এবার পরিবার গঠনে উৎসাহ দিতে চাইছে।

এই নীতির মূল উদ্দেশ্য হল সন্তান প্রতিপালনের খরচ কিছুটা লাঘব করে দম্পতিদের উৎসাহিত করা, যাতে তাঁরা একটি নয়, একাধিক সন্তান নেওয়ার কথা ভাবেন। জনসংখ্যা কমার প্রবণতা রোধ করতে না পারলে ভবিষ্যতে শ্রমবাজারে ঘাটতি, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর উপর অতিরিক্ত স্বাস্থ্য খরচ এবং আর্থিক বোঝা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।