০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কলেজের অধ্যাপকরাও বঞ্চিত,  বিধায়ক চিরঞ্জিতের উপস্থিতিতে সরকারের কাছে দাবি জানালেন 

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 21

ইনামুল হক, বারাসত: আংশিক সময়ের কলেজের অধ্যাপকরা আজও বঞ্চিত। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এখনও এই রাজ্যের আংশিক সময়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা চরমতম অবস্থার মধ্যে দিন যাপন করছেন।

এদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট অ্যাডেড কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক অরুণ কুমার পাল জানান, “এখনও তাঁদের জন্য কোনও সাম্মানিক প্রদানের ক্ষেত্রে কোনও স্কেল নেই। পিএফ নেই। পেনশন নেই। ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরির সীমা নেই। নেই কোনও সুসংহত আদেশনামা। অথচ কলেজগুলোতে বছরের পর বছর এঁরা অধ্যাপনা করে যাচ্ছেন। কলেজের অধ্যাপকদের এমন করুন অবস্থা নিয়ে সরকারিভাবে তেমন কিছুই ভাবা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

সম্প্রতি বারাসতে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সংগঠনের মাধ্যমে ‘উচ্চশিক্ষা ও রাজ্য সরকার: বর্তমানের আয়না ‘  শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই আলোচনায় বিভিন্ন বক্তারা বর্তমান আংশিক সময়ের অধ্যাপকদের বিভিন্ন করুন কাহিন তুলে ধরেন। রাজ্যে উচ্চশিক্ষা কোন দিকে এগোচ্ছে সেটাও আলোচনা হয়।

এই সভায় উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা জগতের বর্ষীয়ান অধ্যাপক অধ্যাপিকারা, বারাসতের বিধায়ক ও প্রখ্যাত অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তার উপস্থিতিতে সরকারের কাছে ন্যায্য দাবি জানালেন আংশিক সময়ের অধ্যাপকরা।

বারাসত কলেজের অডিটরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, একজন  বিধায়ক হিসেবে এটা আমার  একতিয়ার এর মধ্যে পড়ে না। তবে উচ্চশিক্ষা দফতরের ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আমি আলোচনা করব। কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকরা যথাযোগ্য সম্মান পাওয়া উচিত  বলে আমিও মনে করি।

উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আহ্বায়ক রিঙ্কু ঘোষ, সংগঠ নের সদস্য তাপস মণ্ডল,বিধান সরকার, ড. সেলিম উদ্দিন, বিশ্বনাথ সাহা, ডোরা মিত্র, সূর্যেন্দু দাস। সভাপতিত্ব করেন রাজ্য কমিটির সভাপতি অরুণ কুমার পাল ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কলেজের অধ্যাপকরাও বঞ্চিত,  বিধায়ক চিরঞ্জিতের উপস্থিতিতে সরকারের কাছে দাবি জানালেন 

আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, সোমবার

ইনামুল হক, বারাসত: আংশিক সময়ের কলেজের অধ্যাপকরা আজও বঞ্চিত। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এখনও এই রাজ্যের আংশিক সময়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা চরমতম অবস্থার মধ্যে দিন যাপন করছেন।

এদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট অ্যাডেড কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক অরুণ কুমার পাল জানান, “এখনও তাঁদের জন্য কোনও সাম্মানিক প্রদানের ক্ষেত্রে কোনও স্কেল নেই। পিএফ নেই। পেনশন নেই। ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরির সীমা নেই। নেই কোনও সুসংহত আদেশনামা। অথচ কলেজগুলোতে বছরের পর বছর এঁরা অধ্যাপনা করে যাচ্ছেন। কলেজের অধ্যাপকদের এমন করুন অবস্থা নিয়ে সরকারিভাবে তেমন কিছুই ভাবা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

সম্প্রতি বারাসতে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের সংগঠনের মাধ্যমে ‘উচ্চশিক্ষা ও রাজ্য সরকার: বর্তমানের আয়না ‘  শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই আলোচনায় বিভিন্ন বক্তারা বর্তমান আংশিক সময়ের অধ্যাপকদের বিভিন্ন করুন কাহিন তুলে ধরেন। রাজ্যে উচ্চশিক্ষা কোন দিকে এগোচ্ছে সেটাও আলোচনা হয়।

এই সভায় উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা জগতের বর্ষীয়ান অধ্যাপক অধ্যাপিকারা, বারাসতের বিধায়ক ও প্রখ্যাত অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তার উপস্থিতিতে সরকারের কাছে ন্যায্য দাবি জানালেন আংশিক সময়ের অধ্যাপকরা।

বারাসত কলেজের অডিটরিয়ামে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, একজন  বিধায়ক হিসেবে এটা আমার  একতিয়ার এর মধ্যে পড়ে না। তবে উচ্চশিক্ষা দফতরের ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আমি আলোচনা করব। কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকরা যথাযোগ্য সম্মান পাওয়া উচিত  বলে আমিও মনে করি।

উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা আহ্বায়ক রিঙ্কু ঘোষ, সংগঠ নের সদস্য তাপস মণ্ডল,বিধান সরকার, ড. সেলিম উদ্দিন, বিশ্বনাথ সাহা, ডোরা মিত্র, সূর্যেন্দু দাস। সভাপতিত্ব করেন রাজ্য কমিটির সভাপতি অরুণ কুমার পাল ।