পাহালগাম হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সামরিক শক্তির তুলনামূলক বিশ্লেষণ।

- আপডেট : ৩ মে ২০২৫, শনিবার
- / 172
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এই ঘটনার পর উভয় দেশই সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করেছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করেছে। এই প্রেক্ষাপটে, দুই দেশের সামরিক শক্তির তুলনামূলক বিশ্লেষণ যার সমস্ত তথ্য ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়েছে।
১. সেনাবাহিনীর সংখ্যা ও শক্তি
ভারত
সক্রিয় সেনা: ~১৪ লক্ষ (বিশ্বের ২য় বৃহত্তম)
রিজার্ভ বাহিনী: ~১১ লক্ষ
ট্যাংক: ৪,৬০০+ (T-90, Arjun Mk-1 সহ)
আর্টিলারি সিস্টেম: ১১,০০০+
পাকিস্তান
সক্রিয় সেনা: ~৬.৫ লক্ষ
রিজার্ভ বাহিনী: ~৫ লক্ষ
ট্যাংক: ২,৮০০+ (Al-Khalid, Type 85-III সহ)
আর্টিলারি সিস্টেম: ৫,০০০+
ভারতের সেনাবাহিনীর আকার ও যুদ্ধসরঞ্জাম পাকিস্তানের তুলনায় অনেক বেশি।
২. বিমানবাহিনীর শক্তি
ভারত
যুদ্ধবিমান: ১,৭০০+ (রাফাল, সু-৩০MKI, মিগ-২৯)
ড্রোন: হরপ, Rustom-2
এয়ার ডিফেন্স: S-400, আকাশ মিসাইল
পাকিস্তান
যুদ্ধবিমান: ৯০০+ (JF-17 থান্ডার, F-16)
ড্রোন: শাহপার, বুর্ক
এয়ার ডিফেন্স: HQ-9, SPADA 2000
ভারতের বিমানবাহিনী সংখ্যা ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে। তবে পাকিস্তানের F-16 ও JF-17 যুদ্ধবিমানগুলি আধুনিক।
৩. নৌশক্তি
ভারত
এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার: ১ (INS বিক্রমাদিত্য)
ডেস্ট্রয়ার/ফ্রিগেট: ৩০+
সাবমেরিন: ১৫+ (স্কর্পিন শ্রেণি সহ)
পাকিস্তান
ডেস্ট্রয়ার/ফ্রিগেট: ১০+
সাবমেরিন: ৮ (চীনের তৈরি Type 041)
ভারতের নৌবাহিনী পাকিস্তানের তুলনায় অনেক শক্তিশালী, বিশেষ করে এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ও পারমাণবিক সাবমেরিনের ক্ষেত্রে।
৪. পারমাণবিক শক্তি
ভারত
পরমাণু অস্ত্র: ১৭২
ডেলিভারি সিস্টেম: অগ্নি মিসাইল (৫,০০০ কিমি রেঞ্জ), K-4 সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল
পাকিস্তান
পরমাণু অস্ত্র: ১৭০
ডেলিভারি সিস্টেম: শাহিন মিসাইল (২,৭৫০ কিমি), বাবুর ক্রুজ মিসাইল
পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র সংখ্যায় প্রায় সমান হলেও ভারতের মিসাইলগুলির রেঞ্জ ও প্রযুক্তি উন্নত।
৫. সাইবার ও অপ্রথাগত যুদ্ধ
ভারত: সাইবার কমান্ড গঠন করেছে, ডিজিটাল যুদ্ধে দক্ষতা বৃদ্ধি করছে।
পাকিস্তান: সাইবার হামলার জন্য পরিচিত, বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যুতে।
ভারত সরকার পাহালগাম হামলার পর বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে:
-
পাকিস্তান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা।
-
ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করা।
-
ইন্দাস ওয়াটারস চুক্তি স্থগিত করা।
-
পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা।
- নিজেদের আকাশসীমা পাকিস্তানের বিমানের জন্য বন্ধ করেছে।
পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে:
-
ভারতীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে।
-
নিজেদের আকাশসীমা ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ করেছে।
-
সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করেছে।