দিল্লিতে রাহুল-মহুয়াদের হেনস্থা, প্রতিবাদে রাজভবন অভিযান কংগ্রেসের

- আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 16
পুবের কলম প্রতিবেদক : ভোটার তালিকায় গলদ আছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। শুধু তাই নয়, সোমবার কমিশন অভিযানে নামে রাহুল গান্ধি ও বিরোধীদলের একাধিক সাংসদ। তাদের হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এরই বিরুদ্ধে প্রদেশ কংগ্রেসের রাজভবন অভিযান। মঙ্গলবার এই কর্মসূচি ঘিরে শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ঘটে গেল ধুন্ধুমার কাণ্ড। পুলিশ ও কংগ্রেসীদের ধস্তাধস্তি হয়। বিক্ষোভকারীদের প্রিজন-ভ্যানে তোলে পুলিশ। আটক হন পশ্চিমবঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও।
এ দিন দুপুরে মিছিল রাজভবনের সামনে যেতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে কংগ্রেস নেতৃত্বের। ব্যারিকেড টপকে রাজভবনের সামনে চলে যান এক কর্মী। তাঁকে আটক করে পুলিশ। তারপরই রাজভবনের গেটের সামনে ধরনায় বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর ও অন্যান্যরা। সবাই দাবি করেন, তাঁদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে। কিছুক্ষণ পরই শুভঙ্কর-সহ অন্যান্য নেতৃত্বকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ।
এ দিনের মিছিল ও রাজভবন অভিযান নিয়ে শুভঙ্কর জানান, রাহুল গান্ধি ভোট চুরি ধরে ফেলেছেন। বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে সঙ্গে নিয়ে ভোট চুরি করেছে। দিল্লিতে বিরোধী সাংসদদের হেনস্থা করা হয়েছে। তার প্রতিবাদে কংগ্রেসের এই রাজভবন অভিযান। তিনি আরও জানান, সোমবার এসআইআর ও বিজেপির ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলে দিল্লিতে ইলেকশন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি করে ‘ইন্ডিয়া জোট’।
সেখানে দিল্লি পুলিশের হাতে ‘আক্রান্ত’ হন বিরোধী দলের সাংসদরা। অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও মিতালী বাগ। আটক করা হয় রাহুল-সহ বিরোধী সাংসদদের। সেই ঘটনার প্রতিবাদ ও এসআইআরের বিরুদ্ধে রাজভবন অভিযান। কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না বলেও অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা।