১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোদির শাসনে সবচেয়ে বেশি সংবিধানের ওপরই আঘাত: খাড়গে

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৯ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 121

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মোদি আমলে দেশের আমূল পরিবর্তন ও উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করে থাকেন পদ্ম নেতারা। মোদির আমলে উন্নতি নয়, বরং দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলেই আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।

সোমবার কেন্দ্রকে নিশানা করে তিনি বলেন, গত ১১ বছরে মোদি সরকার দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি এবং সামাজিক কাঠামোতে গভীর আঘাত করেছে। কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, “সরকার এই ১১ বছরে সংবিধানের প্রতিটি পৃষ্ঠায় কেবল একনায়কতন্ত্রের কালি লেপিয়ে দিয়েছে। বিজেপি-আরএসএস প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করেছে এবং তাদের স্বায়ত্তশাসনের ওপর আঘাত হেনেছে।”

আরও পড়ুন: লাভ জিহাদ আইন সংবিধান বিরোধী, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর আক্রমণ: আবু আজমি

একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিতে প্রতিনিয়ত ফন্দি এটেছে গেরুয়া শিবির। এমনকি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ও সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। সবমিলিয়ে গেরুয়া নেতারা সংবিধানকে উপেক্ষা করে দেশের ওপর আঘাত হানছে বলে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।

আরও পড়ুন: কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বাতিল হবে ‘অগ্নিপথ’ : খাড়গে

খাড়গের বক্তব্য, “জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে সরকার ফেলে দেওয়া থেকে জোর করে একদলীয় একনায়কত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলির অধিকার উপেক্ষা করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: স্কুলে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ বাধ্যতামূলক করল রাজস্থান

দেশজুড়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, আক্রমণ ও নির্যাতন নিয়েও মুখ খুলেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। তাঁর মতে, দেশে ক্রমাগত ঘৃণা, হুমকি ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দলিত, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া, সংখ্যালঘু ও দুর্বল অংশের উপর শোষণ ক্রমাগত বেড়েছে। তাদের সংরক্ষণ ও সমানাধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। মণিপুরে লাগাতার হিংসা বিজেপির প্রশাসনিক ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

কংগ্রেস সভাপতির দাবি, দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫-৬ শতাংশে রাখতে বিজেপি-আরএসএস অভ্যাসে পরিণত করেছে। যদিও যা ইউপিএ আমলে গড়ে ৮ শতাংশ ছিল। কর্মসংস্থান নিয়ে মোদি সরকারকে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণের পরিবর্তে যুবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মূ

ল্যস্ফীতির কারণে সরকারি সঞ্চয় ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য ১০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। নোটবন্দি, ভুল জিএসটি, অপরিকল্পিত লকডাউন এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রকে হাতুড়ি মেরে কোটি কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়া, স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, নমামি গঙ্গে এবং ১০০টি স্মার্ট সিটির মতো কর্মসূচিগুলি সবই ব্যর্থ হয়েছে বলে তোপ দেগেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর কথায়,দেশের রেলওয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু কংগ্রেস-ইউপিএ সরকারের পরিশ্রম করে তৈরি করা পরিকাঠামোর ফিতে কেটেছে তারা।

 

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মোদির শাসনে সবচেয়ে বেশি সংবিধানের ওপরই আঘাত: খাড়গে

আপডেট : ৯ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মোদি আমলে দেশের আমূল পরিবর্তন ও উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করে থাকেন পদ্ম নেতারা। মোদির আমলে উন্নতি নয়, বরং দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলেই আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।

সোমবার কেন্দ্রকে নিশানা করে তিনি বলেন, গত ১১ বছরে মোদি সরকার দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি এবং সামাজিক কাঠামোতে গভীর আঘাত করেছে। কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, “সরকার এই ১১ বছরে সংবিধানের প্রতিটি পৃষ্ঠায় কেবল একনায়কতন্ত্রের কালি লেপিয়ে দিয়েছে। বিজেপি-আরএসএস প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করেছে এবং তাদের স্বায়ত্তশাসনের ওপর আঘাত হেনেছে।”

আরও পড়ুন: লাভ জিহাদ আইন সংবিধান বিরোধী, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার উপর আক্রমণ: আবু আজমি

একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দিতে প্রতিনিয়ত ফন্দি এটেছে গেরুয়া শিবির। এমনকি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ও সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। সবমিলিয়ে গেরুয়া নেতারা সংবিধানকে উপেক্ষা করে দেশের ওপর আঘাত হানছে বলে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।

আরও পড়ুন: কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বাতিল হবে ‘অগ্নিপথ’ : খাড়গে

খাড়গের বক্তব্য, “জনমতের বিরুদ্ধে গিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে সরকার ফেলে দেওয়া থেকে জোর করে একদলীয় একনায়কত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলির অধিকার উপেক্ষা করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: স্কুলে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ বাধ্যতামূলক করল রাজস্থান

দেশজুড়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, আক্রমণ ও নির্যাতন নিয়েও মুখ খুলেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। তাঁর মতে, দেশে ক্রমাগত ঘৃণা, হুমকি ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। দলিত, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া, সংখ্যালঘু ও দুর্বল অংশের উপর শোষণ ক্রমাগত বেড়েছে। তাদের সংরক্ষণ ও সমানাধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। মণিপুরে লাগাতার হিংসা বিজেপির প্রশাসনিক ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

কংগ্রেস সভাপতির দাবি, দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫-৬ শতাংশে রাখতে বিজেপি-আরএসএস অভ্যাসে পরিণত করেছে। যদিও যা ইউপিএ আমলে গড়ে ৮ শতাংশ ছিল। কর্মসংস্থান নিয়ে মোদি সরকারকে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, বছরে ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণের পরিবর্তে যুবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মূ

ল্যস্ফীতির কারণে সরকারি সঞ্চয় ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য ১০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। নোটবন্দি, ভুল জিএসটি, অপরিকল্পিত লকডাউন এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রকে হাতুড়ি মেরে কোটি কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়া, স্টার্টআপ ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, নমামি গঙ্গে এবং ১০০টি স্মার্ট সিটির মতো কর্মসূচিগুলি সবই ব্যর্থ হয়েছে বলে তোপ দেগেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁর কথায়,দেশের রেলওয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু কংগ্রেস-ইউপিএ সরকারের পরিশ্রম করে তৈরি করা পরিকাঠামোর ফিতে কেটেছে তারা।