১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ভারতীয় গণতন্ত্রে সংবিধানই সর্বোচ্চ’, ধনকর-দুবেকে বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১০ মে ২০২৫, শনিবার
  • / 76

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ভারতীয় গণতন্ত্রে সংবিধানই সর্বোচ্চ, জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে তিরস্কার শীর্ষ আদালতের। আদালত এবং ভারতের প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে করা মন্তব্যের জন্য তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের। তাঁর মন্তব্য অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, হাস্যকর এবং অযৌক্তিক বলে অভিহিত করা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখার অভিযোগ। সেই রাজ্যের রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। এই বিতর্কের আবহে রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। আর তা থেকেই দানা বাঁধে বিতর্কের। বিচারবিভাগ ‘সুপার পার্লামেন্টে’র মতো আচরণ করছে বলে অভিযোগ তোলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। অ্যাক্টের নানা সংস্থানের উপর সুপ্রিম কোর্ট যে ভাবে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর দাবি ‘সংসদই সর্বোচ্চ। সংবিধান পার্লামেন্টের উপর কাউকে কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা দেয়নি।’ শুধু তাই নয়, ওয়াকফ আইনে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর অভিযোগ, ভারতে সাম্প্রদায়িক যুদ্ধের জন্য দায়ী প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না! দুবের এই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।

আরও পড়ুন: রাজনীতি নিয়ে বিশেষ দৃষ্টিকোণ নেই: হবু প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই

সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের বক্তব্য, ‘গণতন্ত্রে আইনসভা, প্রশাসন এবং বিচারবিভাগ আলাদা আলাদা তিনটি শাখা। এই তিনটি শাখাই সাংবিধানিক পরিকাঠামোর মধ্যে কাজ করে। সব কিছুর উপরে সংবিধান। সংবিধানই এই তিনটি শাখার ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিচারবিভাগকে পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা সংবিধানই দিয়েছে। আইনের সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখার অধিকারও বিচারবিভাগকে দিয়েছে সংবিধান, সেখানে বিচারবিভাগীয় ব্যাখ্যার সুযোগও রয়েছে। সাংবিধানিক আদালত বিচারবিভাগীয় পুনর্বিবেচনার কাজ করলে সেটা সংবিধানের আওতায় থেকেই করা হয়।’

আরও পড়ুন: ঘৃণা ভাষণ ও বিদ্বেষ কড়া হাতে দমন করুন: সুপ্রিম কোর্ট

এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, ‘আমাদের বিশ্বাস,  জনসাধারণ গণতন্ত্রের এই তিনটি শাখার পৃথক পৃথক কাজ ও ভূমিকার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। বিচারবিভাগের কী কাজ, সেটাও জনসাধারণ জানেন। তাঁরা বোঝেন, গণতন্ত্রের অন্যান্য শাখার কাজের মূল্যায়ন এবং সেই সব শাখা সংবিধান মেনে কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার অধিকার বিচারবিভাগের রয়েছে।’

আরও পড়ুন: নয়া ওয়াকফ আইনে গরিব মুসলিমরা অনেক সুবিধা পাবে: মোদি

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘ভারতীয় গণতন্ত্রে সংবিধানই সর্বোচ্চ’, ধনকর-দুবেকে বার্তা সুপ্রিম কোর্টের

আপডেট : ১০ মে ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  ভারতীয় গণতন্ত্রে সংবিধানই সর্বোচ্চ, জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে তিরস্কার শীর্ষ আদালতের। আদালত এবং ভারতের প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে করা মন্তব্যের জন্য তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের। তাঁর মন্তব্য অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন, হাস্যকর এবং অযৌক্তিক বলে অভিহিত করা হয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।

বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখার অভিযোগ। সেই রাজ্যের রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। এই বিতর্কের আবহে রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেয় শীর্ষ আদালত। আর তা থেকেই দানা বাঁধে বিতর্কের। বিচারবিভাগ ‘সুপার পার্লামেন্টে’র মতো আচরণ করছে বলে অভিযোগ তোলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। সংশোধিত ওয়াকফ আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। অ্যাক্টের নানা সংস্থানের উপর সুপ্রিম কোর্ট যে ভাবে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর দাবি ‘সংসদই সর্বোচ্চ। সংবিধান পার্লামেন্টের উপর কাউকে কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা দেয়নি।’ শুধু তাই নয়, ওয়াকফ আইনে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর অভিযোগ, ভারতে সাম্প্রদায়িক যুদ্ধের জন্য দায়ী প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না! দুবের এই মন্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।

আরও পড়ুন: রাজনীতি নিয়ে বিশেষ দৃষ্টিকোণ নেই: হবু প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই

সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের বক্তব্য, ‘গণতন্ত্রে আইনসভা, প্রশাসন এবং বিচারবিভাগ আলাদা আলাদা তিনটি শাখা। এই তিনটি শাখাই সাংবিধানিক পরিকাঠামোর মধ্যে কাজ করে। সব কিছুর উপরে সংবিধান। সংবিধানই এই তিনটি শাখার ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। বিচারবিভাগকে পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা সংবিধানই দিয়েছে। আইনের সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখার অধিকারও বিচারবিভাগকে দিয়েছে সংবিধান, সেখানে বিচারবিভাগীয় ব্যাখ্যার সুযোগও রয়েছে। সাংবিধানিক আদালত বিচারবিভাগীয় পুনর্বিবেচনার কাজ করলে সেটা সংবিধানের আওতায় থেকেই করা হয়।’

আরও পড়ুন: ঘৃণা ভাষণ ও বিদ্বেষ কড়া হাতে দমন করুন: সুপ্রিম কোর্ট

এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, ‘আমাদের বিশ্বাস,  জনসাধারণ গণতন্ত্রের এই তিনটি শাখার পৃথক পৃথক কাজ ও ভূমিকার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। বিচারবিভাগের কী কাজ, সেটাও জনসাধারণ জানেন। তাঁরা বোঝেন, গণতন্ত্রের অন্যান্য শাখার কাজের মূল্যায়ন এবং সেই সব শাখা সংবিধান মেনে কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার অধিকার বিচারবিভাগের রয়েছে।’

আরও পড়ুন: নয়া ওয়াকফ আইনে গরিব মুসলিমরা অনেক সুবিধা পাবে: মোদি