১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাশ্মীরি পন্ডিতদের ওপর লাগাতার হামলা, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে শাহ

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 46

 

 

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা তিপ্রা মোথার বিধায়কের

 

আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ রুখতে অমিত শাহকে চিঠি মমতার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বুধবার সকালেই নিরাপত্তারক্ষীদের  সঙ্গে গুলির লড়াইতে নিহত হয়েছে চার সন্ত্রাসী। এরপরেই দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক  করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড় দু’দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওবাদী নিধনে নয়া কৌশল নিতে বৈঠক শাহর

বুধবারের ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ, সিআরপিএফ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি এবং গুপ্তচর সংস্থার ‘র’-এর উচ্চপদস্থ কর্তারাও।

উল্লেখ্য স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত রাজ্যে পরিনত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে কেন্দ্রের দাবি ছিল বদলে যাবে উপত্যকার বাসিন্দাদের সামগ্রীক আর্থ- সামাজিক পরিকাঠামোই। কিন্ত কোথায় কি এখনও চলছে বেলাগাম সন্ত্রাস। কখনও জওয়ানরা আবার কখনও  উপত্যকার ভূমিপুত্র কাশ্মীরি পন্ডিতদের ওপর  নেমে আসছে আঘাত। নিজেদের ঘরবাড়ি, চাষবাস ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন পন্ডিতরা।

শাহের বৈঠকে উঠে এসেছে উপত্যকায় কাশ্মীরি পন্ডিতদের নির্বিচারে হত্যার প্রসঙ্গ। এখন জম্মু-কাশ্মীরের জনজীবন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই তাদের ভালোমন্দের দায়িত্বও কেন্দ্রের।

বিরোধীরা এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন বারংবার। এইবার খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘনীরবতা ভেঙে জানতে চাইলেন কেন উপতক্যায় পণ্ডিতদের মৃত্যু মিছিল দেখা যাচ্ছে। এর  পাশাপাশি, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসী  অনুপ্রবেশ এবং ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাঠানোর ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য বর্ষবরণের আগেই উপত্যকায় বানচাল হয়  বড়সড় নাশকতার ছক। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইতে খতম হয়েছে চার সন্ত্রাসী। বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে একটি ট্রাকে করে জম্মু থেকে কাশ্মীরে যাচ্ছিল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ওই ট্রাকটিকে ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরা। এরপরেই শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই।

 

গুলিতে চারজন  সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তারা কোন  গোষ্ঠীর সদস্য ছিল তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৭টি একে-৪৭ উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে ৩টি পিস্তল-সহ আরও আগ্নেয়াস্ত্র। নতুন বছরের আগে ওই  সন্ত্রাসী কোনও নাশকতার ছক কষছিল বলেই অনুমান।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাশ্মীরি পন্ডিতদের ওপর লাগাতার হামলা, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে শাহ

আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

 

 

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা তিপ্রা মোথার বিধায়কের

 

আরও পড়ুন: সাইবার অপরাধ রুখতে অমিত শাহকে চিঠি মমতার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বুধবার সকালেই নিরাপত্তারক্ষীদের  সঙ্গে গুলির লড়াইতে নিহত হয়েছে চার সন্ত্রাসী। এরপরেই দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক  করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

আরও পড়ুন: ছত্তিশগড় দু’দিনের সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওবাদী নিধনে নয়া কৌশল নিতে বৈঠক শাহর

বুধবারের ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ, সিআরপিএফ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আইবি এবং গুপ্তচর সংস্থার ‘র’-এর উচ্চপদস্থ কর্তারাও।

উল্লেখ্য স্বাধীন রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত রাজ্যে পরিনত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা বিলোপের পরে কেন্দ্রের দাবি ছিল বদলে যাবে উপত্যকার বাসিন্দাদের সামগ্রীক আর্থ- সামাজিক পরিকাঠামোই। কিন্ত কোথায় কি এখনও চলছে বেলাগাম সন্ত্রাস। কখনও জওয়ানরা আবার কখনও  উপত্যকার ভূমিপুত্র কাশ্মীরি পন্ডিতদের ওপর  নেমে আসছে আঘাত। নিজেদের ঘরবাড়ি, চাষবাস ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন পন্ডিতরা।

শাহের বৈঠকে উঠে এসেছে উপত্যকায় কাশ্মীরি পন্ডিতদের নির্বিচারে হত্যার প্রসঙ্গ। এখন জম্মু-কাশ্মীরের জনজীবন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন। তাই তাদের ভালোমন্দের দায়িত্বও কেন্দ্রের।

বিরোধীরা এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন বারংবার। এইবার খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘনীরবতা ভেঙে জানতে চাইলেন কেন উপতক্যায় পণ্ডিতদের মৃত্যু মিছিল দেখা যাচ্ছে। এর  পাশাপাশি, পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসী  অনুপ্রবেশ এবং ড্রোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাঠানোর ঘটনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

উল্লেখ্য বর্ষবরণের আগেই উপত্যকায় বানচাল হয়  বড়সড় নাশকতার ছক। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইতে খতম হয়েছে চার সন্ত্রাসী। বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।

জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে একটি ট্রাকে করে জম্মু থেকে কাশ্মীরে যাচ্ছিল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে ওই ট্রাকটিকে ঘিরে ফেলেন নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ানরা। এরপরেই শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই।

 

গুলিতে চারজন  সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তারা কোন  গোষ্ঠীর সদস্য ছিল তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৭টি একে-৪৭ উদ্ধার করা হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে ৩টি পিস্তল-সহ আরও আগ্নেয়াস্ত্র। নতুন বছরের আগে ওই  সন্ত্রাসী কোনও নাশকতার ছক কষছিল বলেই অনুমান।