৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতীয় পশু হওয়া উচিত গরু, তাদের থাকা দরকার মৌলিক অধিকার: ইলাহাবাদ হাইকোর্ট

  • সুস্মিতা
  • আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • 49

প্রয়াগরাজ: গরু ভারতীয় সংস্কৃতির ‘অঙ্গাঙ্গী অংশ’ আর তাই গরুকে জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করা উচিত বলে বুধবার মন্তব্য করল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। কোন প্রসঙ্গে এমন কথা বলল আদালত? উত্তরপ্রদেশে জাভেদ নামে এক ব্যক্তিকে গো-হত্যা প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করে হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের একক বেঞ্চ আরও বলে যে, গরুদের মৌলিক অধিকার দিতে সংসদে বিল পাশ করানো উচিত সরকারের। বলা হয়, গোরক্ষা কেবলমাত্র কোনও একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাজ নয়, বরং গরুই ভারতের সংস্কৃতি এবং সেই সংস্কৃতিকে রক্ষা করা ধর্ম নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাজ। আদালতের রায়ে এও বলা হয়েছে যে, যখন গরুর কল্যাণ হবে তখনই দেশের কল্যাণ হবে।
আদালতের আরও বক্তব্য, ভারতই হল বিশ্বের এমন একটি দেশ যেখানে নানা ধর্মের মানুষ বাস করে। তাদের উপাসনা পদ্ধতি আলাদা হতে পারে কিন্তু ‘দেশের জন্য তাদের ভাবনা অভিন্ন’। জাভেদের জামিনের আবেদন খারিজ করতে গিয়ে আদালত এরই সঙ্গে বলে, এই পরিস্থতিতে যখন ভারতকে সবাই ঐক্যবদ্ধ করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং দেশের ধর্মবিশ্বাসকে সমর্থন করছে তখন কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের ধর্মবিশ্বাস একেবারেই দেশের স্বার্থের সঙ্গে মেলে না। তারাই এই ধরনের কথা বলে দেশকে দুর্বল করে দিচ্ছে। তাই আবেদনকারীর অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। পাশাপাশি বলা হয়েছে, আদালত যদি এই ব্যক্তির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে তাহলে বৃহত্তর ক্ষেত্রে এটি সমাজের সম্প্রীতিতে ‘বিঘ্ন’ ঘটাতে পারে। উত্তরপ্রদেশের গোশালা নিয়ে আদালত জানায়, সরকার গোশালা বানাচ্ছে, কিন্তু যাদের গরুকে দেখভাল করার কথা তারা তা করছে না। মানুষের জীবনের চেয়ে গরুর জীবনের মূল্য ভারতে অনেক বেশি? প্রশ্ন অনেকের।

সর্বধিক পাঠিত

ফের ট্রেন দুর্ঘটনা: উত্তরাখণ্ডে দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৬০ জন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জাতীয় পশু হওয়া উচিত গরু, তাদের থাকা দরকার মৌলিক অধিকার: ইলাহাবাদ হাইকোর্ট

আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

প্রয়াগরাজ: গরু ভারতীয় সংস্কৃতির ‘অঙ্গাঙ্গী অংশ’ আর তাই গরুকে জাতীয় পশু হিসাবে ঘোষণা করা উচিত বলে বুধবার মন্তব্য করল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। কোন প্রসঙ্গে এমন কথা বলল আদালত? উত্তরপ্রদেশে জাভেদ নামে এক ব্যক্তিকে গো-হত্যা প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করতে গিয়ে এমন মন্তব্য করে হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখর কুমার যাদবের একক বেঞ্চ আরও বলে যে, গরুদের মৌলিক অধিকার দিতে সংসদে বিল পাশ করানো উচিত সরকারের। বলা হয়, গোরক্ষা কেবলমাত্র কোনও একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাজ নয়, বরং গরুই ভারতের সংস্কৃতি এবং সেই সংস্কৃতিকে রক্ষা করা ধর্ম নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাজ। আদালতের রায়ে এও বলা হয়েছে যে, যখন গরুর কল্যাণ হবে তখনই দেশের কল্যাণ হবে।
আদালতের আরও বক্তব্য, ভারতই হল বিশ্বের এমন একটি দেশ যেখানে নানা ধর্মের মানুষ বাস করে। তাদের উপাসনা পদ্ধতি আলাদা হতে পারে কিন্তু ‘দেশের জন্য তাদের ভাবনা অভিন্ন’। জাভেদের জামিনের আবেদন খারিজ করতে গিয়ে আদালত এরই সঙ্গে বলে, এই পরিস্থতিতে যখন ভারতকে সবাই ঐক্যবদ্ধ করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং দেশের ধর্মবিশ্বাসকে সমর্থন করছে তখন কিছু মানুষ রয়েছেন যাদের ধর্মবিশ্বাস একেবারেই দেশের স্বার্থের সঙ্গে মেলে না। তারাই এই ধরনের কথা বলে দেশকে দুর্বল করে দিচ্ছে। তাই আবেদনকারীর অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত। পাশাপাশি বলা হয়েছে, আদালত যদি এই ব্যক্তির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে তাহলে বৃহত্তর ক্ষেত্রে এটি সমাজের সম্প্রীতিতে ‘বিঘ্ন’ ঘটাতে পারে। উত্তরপ্রদেশের গোশালা নিয়ে আদালত জানায়, সরকার গোশালা বানাচ্ছে, কিন্তু যাদের গরুকে দেখভাল করার কথা তারা তা করছে না। মানুষের জীবনের চেয়ে গরুর জীবনের মূল্য ভারতে অনেক বেশি? প্রশ্ন অনেকের।