২৮ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় : তছনছ হতে পারে ভারত ও  পাক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ জুন ২০২৩, রবিবার
  • / 145

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বিপর্যয়’। বর্তমানে পূর্ব ও মধ্য আরব সাগরে ফুঁসছে এই ঘূর্ণিঝড়। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করেছে। এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। ইতিমধ্যেই আরব সাগরের উপকূলবর্তী সমস্ত অঞ্চলে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

আইএমডি’র সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী , অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় বর্তমানে গুজরাতের  পোরবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। দ্বারকা থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে, নালিয়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এটি আগামী ১৫ জুন পাকিস্তান এবং গুজরাতের মধ্যবর্তী মান্ডবি এলাকায় আছড়ে পড়বে।

ক্রমেই উত্তর মুখে অগ্রসর হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের উপকূলের আরও কাছে চলে আসবে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে এ ঘূর্ণিঝড় ‘অতি শক্তিশালী’ ঝড়ে পরিণত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। করাচি বন্দরের তরফে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কেরলের তিরুঅনন্তপুরম, কোল্লাম, পাথানামথিট্টা, আলাপ্পুজহা, কোট্টায়াম, ইদ্দুকি ও কোঝিকোড়ে হলুদ সতর্কতা জারি ছিল।কর্নাটক , গোয়া, মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে। আরব সাগরের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। দমকা হাওয়ার বেগ ১৯৫ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলছে মাঝে মাঝে। ঘূর্ণিঝড় তাউটের পর এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে আরব সাগরের ইতিহাসে।

আইএমডি জানিয়েছে, নিম্নচাপ থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপর্যয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর গতিবেগ ৫৫ কিলোমিটার থেকে ১২১ কিমিতে পৌঁছে যায়। আর এখন এটি অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় : তছনছ হতে পারে ভারত ও  পাক

আপডেট : ১১ জুন ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বিপর্যয়’। বর্তমানে পূর্ব ও মধ্য আরব সাগরে ফুঁসছে এই ঘূর্ণিঝড়। রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় ভয়ঙ্কর রুপ ধারণ করেছে। এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। ইতিমধ্যেই আরব সাগরের উপকূলবর্তী সমস্ত অঞ্চলে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

আইএমডি’র সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী , অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় বর্তমানে গুজরাতের  পোরবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। দ্বারকা থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে, নালিয়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এটি আগামী ১৫ জুন পাকিস্তান এবং গুজরাতের মধ্যবর্তী মান্ডবি এলাকায় আছড়ে পড়বে।

ক্রমেই উত্তর মুখে অগ্রসর হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের উপকূলের আরও কাছে চলে আসবে এই ঘূর্ণিঝড়। ইতিমধ্যেই শক্তি বাড়িয়ে এ ঘূর্ণিঝড় ‘অতি শক্তিশালী’ ঝড়ে পরিণত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। করাচি বন্দরের তরফে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কেরলের তিরুঅনন্তপুরম, কোল্লাম, পাথানামথিট্টা, আলাপ্পুজহা, কোট্টায়াম, ইদ্দুকি ও কোঝিকোড়ে হলুদ সতর্কতা জারি ছিল।কর্নাটক , গোয়া, মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এ ঘূর্ণিঝড়ের জেরে। আরব সাগরের উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে। দমকা হাওয়ার বেগ ১৯৫ কিলোমিটার ছুঁয়ে ফেলছে মাঝে মাঝে। ঘূর্ণিঝড় তাউটের পর এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে চলেছে আরব সাগরের ইতিহাসে।

আইএমডি জানিয়েছে, নিম্নচাপ থেকে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপর্যয় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর গতিবেগ ৫৫ কিলোমিটার থেকে ১২১ কিমিতে পৌঁছে যায়। আর এখন এটি অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে দমকা হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলছে।