পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভেনেজুয়েলায় সরকারি হেফাজতে থাকা অবস্থায় বিরোধী রাজনৈতিক নেতা আলফ্রেদো দিয়াজের মৃত্যু ঘিরে তীব্র আন্তর্জাতিক আলোড়ন তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা ও বিরোধী দলগুলোর দাবি, কারাকাসের বিখ্যাত এল হেলিকোইদে কারাগারের সেলে এক বছরেরও বেশি সময় আটক থাকার পর সেখানেই মারা যান তিনি। ভেনেজুয়েলা সরকার জানায়, হার্ট অ্যাটাক–সদৃশ উপসর্গ দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
দিয়াজের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি মাদুরো সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেছে—এ ঘটনা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের “জঘন্য চরিত্রের আরেকটি উদাহরণ”। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, দিয়াজকে ইচ্ছামতো আটক করে এমন একটি কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল, যাকে তারা “নির্যাতন কেন্দ্র” বলে অভিহিত করেছে।
২০২৪ সালের নির্বাচনের ফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন নুয়েভা এসপার্টা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর দিয়াজ। বিরোধীদের দাবি, তাদের নিজস্ব গণনায় বিরোধী প্রার্থী জিতলেও সরকার-নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন কমিশন মাদুরোকে বিজয়ী ঘোষণা করে। সেই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলও প্রশ্ন তোলে।
মানবাধিকার সংস্থা ফোরো পেনাল জানিয়েছে, দেশের রাজনৈতিক বন্দিদের অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটছে। সংস্থার প্রধান আলফ্রেদো রোমেরো জানান, পুরো বন্দিত্বের সময় মাত্র একবার মেয়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছিলেন দিয়াজ। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৭ জন রাজনৈতিক বন্দির মৃত্যু হয়েছে ভেনেজুয়েলার কারাগারে।
দিয়াজের মৃত্যু নিয়ে উত্তেজনা এখন নতুন করে ওয়াশিংটন–কারাকাস সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে।


































