স্বাধীনতা দিবসে মাংসের দোকান বন্ধে রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র

- আপডেট : ১৩ অগাস্ট ২০২৫, বুধবার
- / 26
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দেশের একাধিক পৌরসভার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মাংসের দোকান ও পশু কসাইখানা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই নির্দেশ ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই সিদ্ধান্তকে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ এবং মৌলিক অধিকার হরণের সমান বলেও অভিযোগ তুলেছেন।
হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েসি গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (জিএইচএমসি)-এর ১৫ ও ১৬ আগস্ট, অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস এবং জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মাংসের দোকান ও কসাইখানা বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। ওয়েসি বলেন, “ভারতের বিভিন্ন পৌরসভা আগামী ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মাংসের দোকান ও পশু কষানোর স্থাপনাগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আর দুর্ভাগ্যবশত জিএইচএমসি-ও সেই একই পথে হাঁটল। এটি শুধুমাত্র বোকামি নয়, বরং সংবিধানবিরুদ্ধও বটে”।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “মাংস খাওয়ার সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের কী সম্পর্ক আছে? কোন সম্পর্কই নেই। তেলঙ্গানার ৯৯% মানুষই মাংস খায়। এই মাংস নিষেধাজ্ঞা যে মানুষের স্বাধীনতা, গোপনীয়তা, জীবিকা, সংস্কৃতি, পুষ্টি এবং ধর্মের অধিকার লঙ্ঘন করছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না”।
এমনকি এই একই সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজীনগর পৌরসভাতেও জারি করা হয়েছে, যা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তাঁর বক্তব্য, “এমন নিষেধাজ্ঞা চাপানো খুবই ভুল। বড় শহরে নানা জাতি ও ধর্মের মানুষ বাস করে। আবেগের কারণে একদিন মেনে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু মহারাষ্ট্র দিবস, স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসে এমন নিয়ম চাপানো হলে তা মেনে নেওয়া খুব কঠিন”।
মুম্বাই সংলগ্ন কালিয়ান ডোম্বিভলি পৌরসভাও অনুরূপ নির্দেশ দিয়েছে। ফলত বিরোধিতা করেছেন শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা আদিত্য ঠাকরে। তিনি বলেন, “পৌর কমিশনারকে বরখাস্ত করা উচিত। স্বাধীনতা দিবসে আমরা কী খাব, তা আমাদের ব্যক্তিগত অধিকার। নবরাত্রিতেও আমাদের প্রাসাদে চিংড়ি আর মাছ থাকে। এটাই আমাদের পরম্পরা। এইটাই আমাদের হিন্দুত্ব।
পৌরসংস্থার উচিত রাস্তার গর্তের মতো যে সমস্ত সমস্যাগুলো রয়েছে তার উপরে নজর দেওয়া”। অন্যদিকে, একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী-এর মুখপাত্র অরুণ সাওয়ান্ত জানিয়েছেন, “মহারাষ্ট্র সরকারের এই নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন নেই। বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ তুলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে”।