১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফতেহপুরে মাজার ভাঙচুর ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় তুমুল বিতর্ক

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 4

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় ফতেহপুরের মাজার ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সরকার ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং কার্যত অধিবেশন ব্যাহত হয়। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ঘটনার ওপর আলোচনা দাবি করে অভিযোগ তোলে যে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। বিরোধী নেতা মাতা প্রসাদ পাণ্ডে দাবি করেন, ঘটনার এক সপ্তাহ আগে শাসকদলের এক নেতা ফতেহপুরে জনসমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন, যা সহিংসতার সূত্রপাত ঘটায়।

প্রশাসনিক বিষয়ক মন্ত্রী সুরেশ খন্না সরকারের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে জানান, ঘটনায় ১০ জন চিহ্নিত ও বেশ কয়েকজন অচিহ্নিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, তআইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে। তাঁর জবাবে অসন্তুষ্ট হয়ে এসপি বিধায়কেরা স্লোগান দিতে দিতে অধিবেশনের কক্ষে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন। তবে প্রতিবাদের মাঝেই আইনসভার কাজ চলতে থাকে। স্পিকার সতীশ মহানা, প্রতিবাদের ভিডিও ধারণ করায় বিধায়ক পল্লবী পাটেলকে তিরস্কার করেন এবং তা মুছে ফেলার নির্দেশ দেন, সতর্ক করে দেন যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য যে, সোমবার ফতেহপুরে একটি কয়েকশো বছরের পুরনো মাজারের বাইরের সমাধি ভেঙে ফেলে কিছু মানুষ। তাদের দাবি, সমাধিটি একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের উপর নির্মিত হয়েছিল। তারা জেলা প্রশাসনের কাছে সেখানে পূজার অনুমতিও চেয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি মাজার ভাঙচুর করে তাতে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করছে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে। প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে, তবে এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফতেহপুরে মাজার ভাঙচুর ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় তুমুল বিতর্ক

আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় ফতেহপুরের মাজার ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সরকার ও বিরোধী শিবিরের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং কার্যত অধিবেশন ব্যাহত হয়। সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ঘটনার ওপর আলোচনা দাবি করে অভিযোগ তোলে যে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। বিরোধী নেতা মাতা প্রসাদ পাণ্ডে দাবি করেন, ঘটনার এক সপ্তাহ আগে শাসকদলের এক নেতা ফতেহপুরে জনসমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন, যা সহিংসতার সূত্রপাত ঘটায়।

প্রশাসনিক বিষয়ক মন্ত্রী সুরেশ খন্না সরকারের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে জানান, ঘটনায় ১০ জন চিহ্নিত ও বেশ কয়েকজন অচিহ্নিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তিনি বলেন, তআইন ভঙ্গকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে। তাঁর জবাবে অসন্তুষ্ট হয়ে এসপি বিধায়কেরা স্লোগান দিতে দিতে অধিবেশনের কক্ষে অবস্থান ধর্মঘটে বসেন। তবে প্রতিবাদের মাঝেই আইনসভার কাজ চলতে থাকে। স্পিকার সতীশ মহানা, প্রতিবাদের ভিডিও ধারণ করায় বিধায়ক পল্লবী পাটেলকে তিরস্কার করেন এবং তা মুছে ফেলার নির্দেশ দেন, সতর্ক করে দেন যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য যে, সোমবার ফতেহপুরে একটি কয়েকশো বছরের পুরনো মাজারের বাইরের সমাধি ভেঙে ফেলে কিছু মানুষ। তাদের দাবি, সমাধিটি একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের উপর নির্মিত হয়েছিল। তারা জেলা প্রশাসনের কাছে সেখানে পূজার অনুমতিও চেয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি মাজার ভাঙচুর করে তাতে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করছে। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে। প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করছে, তবে এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।