৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, বুধবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমস্তিপুরে গণপিটুনিতে নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করল সর্বভারতীয় আইনজীবী পরিষদের প্রতিনিধি দল

  • সুস্মিতা
  • আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • 45

নয়াদিল্লি: আইনজীবী শরফুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়া লায়ার্স কাউন্সিলের (এআইএলসি) একটি প্রতিনিধি দল বিহারের সমস্তিপুর জেলায় উগ্র হিন্দু জনতার হাতে নিহত তিনজন মুসলমানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তারা বলেন, মুসলিম জনসংখ্যার উপর সংঘের সাম্প্রদায়িক কৌশলের ফল এই ঘটনা। সমস্তিপুর জেলার অধরপুর এলাকায় ২১ জুন হিন্দু জনতার হাতে এক মহিলা ও দুই পুরুষ নিহত হন। সারওয়ান আহমদকে ভোরের আগে গ্রামের চা স্টলে গুলি করে হত্যা করা হয়। অধরপুর এলাকায় মুসলমানদের মাত্র সাতটি ঘর রয়েছে।
প্রতিনিধিদল জানতে পারেন জনতার হামলা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল এবং মুসলমানদের সকল বাড়িতে নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করে তারা। পুলিশের কোন হস্তক্ষেপ ছাড়াই জনতা সারা দিন ধরে হামলা অব্যাহত রেখেছিলওই হিন্দু উগ্র জনতা এবং সন্ধ্যার আগে অনুপ্রবেশকারী গুন্ডারা মুসলমানদের সাতটি বাড়িতে আগুন, লুটপাট চালায়। বাড়ি ভেঙে ফেলা হয় এবং একজন মহিলা ও ২ পুরুষকে হত্যা করে এবং এই ঘটনায় একজন প্রবীণ নাগরিক গুরুতরভাবে আহত হন।
সর্বভারতীয় আইনজীবী পরিষদের সম্পাদক শরফুদ্দিন আহমদ বলেন, এটা দুঃখজনক যে নীতিশ সরকার নিহতদের পরিবারকে কোন সহায়তা প্রদান করেনি। প্রতিনিধিদলে ছিলেন কাউন্সিলের সহ-সভাপতি সেভিলাম পার্থী (তামিলনাড়ু), সহ-সভাপতি আইনজীবী খাজা জাভেদ ইউসুফ (পশ্চিমবঙ্গ), আইনজীবী হায়দার আলী (ঝাড়খণ্ড), আইনজীবী সন্তোষ যাদব (মহারাষ্ট্র), আইনজীবী আমির খান (বিহার) এবং আইনজীবী ফিরোজ আলম।

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

ফের ট্রেন দুর্ঘটনা: উত্তরাখণ্ডে দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৬০ জন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সমস্তিপুরে গণপিটুনিতে নিহত পরিবারের সঙ্গে দেখা করল সর্বভারতীয় আইনজীবী পরিষদের প্রতিনিধি দল

আপডেট : ২ সেপ্টেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

নয়াদিল্লি: আইনজীবী শরফুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়া লায়ার্স কাউন্সিলের (এআইএলসি) একটি প্রতিনিধি দল বিহারের সমস্তিপুর জেলায় উগ্র হিন্দু জনতার হাতে নিহত তিনজন মুসলমানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তারা বলেন, মুসলিম জনসংখ্যার উপর সংঘের সাম্প্রদায়িক কৌশলের ফল এই ঘটনা। সমস্তিপুর জেলার অধরপুর এলাকায় ২১ জুন হিন্দু জনতার হাতে এক মহিলা ও দুই পুরুষ নিহত হন। সারওয়ান আহমদকে ভোরের আগে গ্রামের চা স্টলে গুলি করে হত্যা করা হয়। অধরপুর এলাকায় মুসলমানদের মাত্র সাতটি ঘর রয়েছে।
প্রতিনিধিদল জানতে পারেন জনতার হামলা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল এবং মুসলমানদের সকল বাড়িতে নির্বিচারে আক্রমণ শুরু করে তারা। পুলিশের কোন হস্তক্ষেপ ছাড়াই জনতা সারা দিন ধরে হামলা অব্যাহত রেখেছিলওই হিন্দু উগ্র জনতা এবং সন্ধ্যার আগে অনুপ্রবেশকারী গুন্ডারা মুসলমানদের সাতটি বাড়িতে আগুন, লুটপাট চালায়। বাড়ি ভেঙে ফেলা হয় এবং একজন মহিলা ও ২ পুরুষকে হত্যা করে এবং এই ঘটনায় একজন প্রবীণ নাগরিক গুরুতরভাবে আহত হন।
সর্বভারতীয় আইনজীবী পরিষদের সম্পাদক শরফুদ্দিন আহমদ বলেন, এটা দুঃখজনক যে নীতিশ সরকার নিহতদের পরিবারকে কোন সহায়তা প্রদান করেনি। প্রতিনিধিদলে ছিলেন কাউন্সিলের সহ-সভাপতি সেভিলাম পার্থী (তামিলনাড়ু), সহ-সভাপতি আইনজীবী খাজা জাভেদ ইউসুফ (পশ্চিমবঙ্গ), আইনজীবী হায়দার আলী (ঝাড়খণ্ড), আইনজীবী সন্তোষ যাদব (মহারাষ্ট্র), আইনজীবী আমির খান (বিহার) এবং আইনজীবী ফিরোজ আলম।