ইসরাইল বিরোধী পোস্টার, হোর্ডিং খুলল দিল্লি পুলিশ

- আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বুধবার
- / 33
নয়াদিল্লি: প্রতিবাদের ভাষা কি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে? যেভাবে ইসরাইল বিরোধী, আরএসএস বিরোধী, বিজেপি বিরোধী পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিং খুলে নিল দিল্লি পুলিশ তা নিয়ে এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশকে দিয়েই মানুষেষর কণ্ঠরোধ করতে চাইছে মোদি সরকার?
সোমবার ছিল ট্রেড ইউনিয়নগুলির সম্মেলন। সেখানে বিজেপি বিরোধী, আরএসএস বিরোধী স্লোগান সংবলিত একাধিক পোস্টার ছিল। সেখানে সংঘ পরিবার ও বিজেপির বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রতিবাদ করা হয়েছিল। একাধিক পোস্টার ছিল ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যার বিরুদ্ধেও। ‘অল ইন্ডিয়া সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ট্রেড ইউনিয়ন’-এর সম্মেলনে এই পোস্টারগুলি রাখা ছিল। তালকাটোরা স্টেডিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানস্থলের ভিতরে শ্রমিকদের অধিকার ও দাবি সংবলিত ব্যানার প্রদর্শন করেন আয়োজকরা। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার নিন্দা করা হয়। দেশজুড়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আরএসএস-বিজেপি যেভাবে ঘৃণা ছড়াচ্ছে তার নি¨া করা হয়। ট্রেড ইউনিয়নের সহ-সভাপতি সুচতা দে বলেন, সম্মেলন শুরু হওয়ার সময় পুলিশ হলের ভেতরে প্রবেশ করে এবং অনেকগুলি ব্যানার খুলে দেয়, যদিও এই সম্মেলনের জন্য পুলিশের থেকে সমস্ত অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৫-৬ জন পুলিশ সম্মেলন কক্ষে ঢুকে কোনও কারণ না জানিয়েই এই পোস্টারগুলি খুলে নেয়। পুলিশের এই ভূমিকা দেখে আমরা হতবাক হয়ে যাই। ফিলিস্তিনের জনগণের উপর ইসরাইলের আগ্রাসন এবং ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের বিদ্বেষ ছড়ানোর নীতির বিরোধিতা করা হয়েছে এমন ব্যানারগুলিই তারা বেছে বেছে খুলে নিয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি সেমিনার করার চেষ্টা হয়েছিল। সেটাও বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। মিড-ডে মিল, ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস এবং জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের মতো সরকারি প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নে নিযুক্ত কর্মীদের খুব কম বেতন দেওয়া হয়। এই জাতীয় প্রকল্পের কয়েকশ কর্মী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের অভিযোগগুলি তুলে ধরেছিলেন। তিনি আরও বলেন, যেভাবে দেশজুড়ে জাতপাত-ধর্ম-বর্ণ নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাজকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। সম্মেলনে উপস্থিত আর এক নেতা বলেন, কেন্দ্রের মোদি সরকার সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ রুখে দিতে চাইছে। তারা কোনও সমালোচনা শুনতে রাজি নয়। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।