১৯ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর বাতাসে ক্রমশ বাড়ছে দূষণ, চারশোর গণ্ডি পেরোল দিল্লির একিউআই

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার
  • / 69

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শীতকাল আসতে না আসতেই দূষণের ছোবলে জেরবার হয় জনজীবন। এবছরই তার ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর দূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। দিওয়ালির আগেই তা ছাড়িয়ে গিয়েছে চারশোর গণ্ডি! রাজধানীর বাতাসে ক্রমশ বাড়ছে দূষণ।

শনিবার থেকে দিল্লির বাতাসে গুনগত মানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সিপিসিবি-র তথ্য সূত্রে খবর, আনন্দ বিহারে তা ৪১৮। পাশাপাশি বারাপুলায় তা ২৯০। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে জলকামান দাগা হয়েছে। সেখানে রবিবাসরীয় সকালে দূষণের মাত্রা ছিল ২৬৯। দীপাবলির আগে বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকায় আতঙ্কও বাড়ছে।

আরও পড়ুন: ভারত মানে নোংরা-খারাপ রাস্তা, দূষণ- দুর্নীতি’ নারায়াণমূর্তির মন্তব্যে খুব্ধ নেটনাগরিকরা

জানা গিয়েছে, সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে দৃশ্যমানতা কমেছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে রাস্তা। স্বাভাবিক ভাবেই এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দূষণের এই ছবি দেখে। সবচেয়ে ভয়ানক অবস্থা অক্ষরধামের। সেখানে বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই পৌঁছেছে ৪২৬-এ। অর্থাৎ ‘ভয়ানক’ মাত্রায়।

আরও পড়ুন: শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দূষণ বাড়ছে কলকাতায়

সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের কাছে একিউআই ছিল ২৫২। বিশেষ করে আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৩৯০, উজিরপুরে ৩৫১ এবং জাহাঙ্গিরপুরীতে ৩৪২, যা ‘খারাপ’ মান বিভাগের অধীনে পড়ে। সকাল ৮টায়, দিল্লির গড় একিউআই ছিল ২২৫-এর উপরে।

আরও পড়ুন: মাত্রা ছাড়া দূষণের কবলে দিল্লি, নিষেধাজ্ঞা নির্মাণকাজে

এনসিআরের অন্যান্য শহরে নয়ডায় একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ২৮৮, গুরুগ্রামে ২৬৬, গ্রেটার নয়ডায় ২৭২ এবং গাজিয়াবাদে ৩০৬। বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্জাব-হরিয়ানায় খড় পোড়ানো, রাস্তায় যানবাহনের ধোঁয়া এবং বাতাসের ধীর গতি একসঙ্গে এই গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। জিআরএপি (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান) প্রথম ধাপ ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে, কিন্তু বায়ুর মানের কোনও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি এবং আগামী দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজধানী দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারত যে ভয়ংকর পরিবেশ দূষণের মুখোমুখি হয়, তার অন্যতম কারণ শস্যের গোড়া পোড়ানো। দিল্লির আবহাওয়ার অবস্থাও কয়েকদিন ধরে একই রকম। দিনের তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১ ডিগ্রি কম। রাতের তাপমাত্রাও কয়েকদিন ধরেই ১৯ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। মেঘমুক্ত আকাশে রাজধানীতে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ফলে দূষণও আরও বাড়বে। দৃশ্যমানতাও উল্লেখযোগ্যভাবে কম থাকবে। এখনই ভোরের দিকে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে দিল্লি। এর পরে আরও ঠান্ডা বাড়লে ধোঁয়াশা আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে দিল্লিতে। ফলে সব মিলিয়ে দিল্লির আবহাওয়া চিন্তা বাড়াচ্ছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজধানীর বাতাসে ক্রমশ বাড়ছে দূষণ, চারশোর গণ্ডি পেরোল দিল্লির একিউআই

আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শীতকাল আসতে না আসতেই দূষণের ছোবলে জেরবার হয় জনজীবন। এবছরই তার ব্যতিক্রম নয়। গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর দূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। দিওয়ালির আগেই তা ছাড়িয়ে গিয়েছে চারশোর গণ্ডি! রাজধানীর বাতাসে ক্রমশ বাড়ছে দূষণ।

শনিবার থেকে দিল্লির বাতাসে গুনগত মানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সিপিসিবি-র তথ্য সূত্রে খবর, আনন্দ বিহারে তা ৪১৮। পাশাপাশি বারাপুলায় তা ২৯০। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে জলকামান দাগা হয়েছে। সেখানে রবিবাসরীয় সকালে দূষণের মাত্রা ছিল ২৬৯। দীপাবলির আগে বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকায় আতঙ্কও বাড়ছে।

আরও পড়ুন: ভারত মানে নোংরা-খারাপ রাস্তা, দূষণ- দুর্নীতি’ নারায়াণমূর্তির মন্তব্যে খুব্ধ নেটনাগরিকরা

জানা গিয়েছে, সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে দৃশ্যমানতা কমেছে। কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে রাস্তা। স্বাভাবিক ভাবেই এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দূষণের এই ছবি দেখে। সবচেয়ে ভয়ানক অবস্থা অক্ষরধামের। সেখানে বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই পৌঁছেছে ৪২৬-এ। অর্থাৎ ‘ভয়ানক’ মাত্রায়।

আরও পড়ুন: শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দূষণ বাড়ছে কলকাতায়

সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের কাছে একিউআই ছিল ২৫২। বিশেষ করে আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ৩৯০, উজিরপুরে ৩৫১ এবং জাহাঙ্গিরপুরীতে ৩৪২, যা ‘খারাপ’ মান বিভাগের অধীনে পড়ে। সকাল ৮টায়, দিল্লির গড় একিউআই ছিল ২২৫-এর উপরে।

আরও পড়ুন: মাত্রা ছাড়া দূষণের কবলে দিল্লি, নিষেধাজ্ঞা নির্মাণকাজে

এনসিআরের অন্যান্য শহরে নয়ডায় একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ২৮৮, গুরুগ্রামে ২৬৬, গ্রেটার নয়ডায় ২৭২ এবং গাজিয়াবাদে ৩০৬। বিশেষজ্ঞদের মতে, পঞ্জাব-হরিয়ানায় খড় পোড়ানো, রাস্তায় যানবাহনের ধোঁয়া এবং বাতাসের ধীর গতি একসঙ্গে এই গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। জিআরএপি (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান) প্রথম ধাপ ইতিমধ্যেই কার্যকর হয়েছে, কিন্তু বায়ুর মানের কোনও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি এবং আগামী দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজধানী দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারত যে ভয়ংকর পরিবেশ দূষণের মুখোমুখি হয়, তার অন্যতম কারণ শস্যের গোড়া পোড়ানো। দিল্লির আবহাওয়ার অবস্থাও কয়েকদিন ধরে একই রকম। দিনের তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১ ডিগ্রি কম। রাতের তাপমাত্রাও কয়েকদিন ধরেই ১৯ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। মেঘমুক্ত আকাশে রাজধানীতে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ফলে দূষণও আরও বাড়বে। দৃশ্যমানতাও উল্লেখযোগ্যভাবে কম থাকবে। এখনই ভোরের দিকে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে দিল্লি। এর পরে আরও ঠান্ডা বাড়লে ধোঁয়াশা আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে দিল্লিতে। ফলে সব মিলিয়ে দিল্লির আবহাওয়া চিন্তা বাড়াচ্ছে।