০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পবিত্র কুরআন অবমাননা হল‘যায়নবাদী বর্বরতা’

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার
  • / 20

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ফিলিস্তিনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের হেব্রনে কয়েকজন চরমপন্থী ইহুদি দ্বারা পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়। প্রখ্যাত এই ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ঘটনাকে ‘যায়নবাদী বর্বরতা; সন্ত্রাসবাদ ও বর্ণবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে যায়নবাদী সমর্থকদের দ্বারা কুরআন পোড়ানো; ছিঁড়ে ফেলা ও পবিত্র এই কিতাবকে ভাগাড়ে ফেলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরব ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানায় আল-আযহার।

হেব্রনে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর এহেন অত্যাচার ও মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থের অবমাননায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা অগ্রহযোগ্য বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।

বিবৃতিতে বলা হয়; জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

বিবৃতিতে আল-আযহার আরও জানায়; পবিত্র কুরআন মুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থ। তা মানবজাতিকে পথ দেখায় এবং মূল্যবোধ শেখায়। কিন্তু যায়নবাদীদের এই কাজ সহিংসতাকে উসকে দেয়।

এ ঘটনায় আরব ও মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মিশরের বিশ্ববিদ্যালয়টি।

ফিলিস্তিনি মিডিয়া সূত্রে জানা যায়; গত সোমবার হেব্রন শহরের ইব্রাহিমি মসজিদের কাছে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা পবিত্র কুরআনের সাতটি প্রতিলিপি ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেয় এবং একটি প্রতিলিপি জ্বালিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পবিত্র কুরআন অবমাননা হল‘যায়নবাদী বর্বরতা’

আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ফিলিস্তিনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের হেব্রনে কয়েকজন চরমপন্থী ইহুদি দ্বারা পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়। প্রখ্যাত এই ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ঘটনাকে ‘যায়নবাদী বর্বরতা; সন্ত্রাসবাদ ও বর্ণবাদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে যায়নবাদী সমর্থকদের দ্বারা কুরআন পোড়ানো; ছিঁড়ে ফেলা ও পবিত্র এই কিতাবকে ভাগাড়ে ফেলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরব ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানায় আল-আযহার।

হেব্রনে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর এহেন অত্যাচার ও মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থের অবমাননায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতা অগ্রহযোগ্য বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।

বিবৃতিতে বলা হয়; জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

বিবৃতিতে আল-আযহার আরও জানায়; পবিত্র কুরআন মুসলিমদের ধর্মীয় গ্রন্থ। তা মানবজাতিকে পথ দেখায় এবং মূল্যবোধ শেখায়। কিন্তু যায়নবাদীদের এই কাজ সহিংসতাকে উসকে দেয়।

এ ঘটনায় আরব ও মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মিশরের বিশ্ববিদ্যালয়টি।

ফিলিস্তিনি মিডিয়া সূত্রে জানা যায়; গত সোমবার হেব্রন শহরের ইব্রাহিমি মসজিদের কাছে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা পবিত্র কুরআনের সাতটি প্রতিলিপি ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে দেয় এবং একটি প্রতিলিপি জ্বালিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।