একটি মরু গোলাপ গাছের দাম ১২ লক্ষ

- আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার
- / 124
বাহারি ফুল ফুটিয়ে তাক লাগাচ্ছেন দক্ষিণের কৃষক
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: প্রায় ২০ বছর ধরে লাভ না করলেও, জলন্ধরের মরুভূমির গোলাপ বিক্রেতা এখন নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতি বছর ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। চেন্নাইয়ের কাছে তিরুভাল্লুরে এমন অসাধ্য সাধন করেছেন মরুভূমির গোলাপ গাছ বিক্রেতা জলন্ধর। তিনি চমকে দিয়েছেন বহু মানুষকে।
তিরুভাল্লুর জেলায়র উথুক্কোত্তাই তালুকের অধীনে ঈশানম কুপ্পম নামে একটি এলাকা রয়েছে। গত ৪০ বছর ধরে জলন্ধর সেখানে প্রায় ১৫ একর জমিতে মরুভূমির গোলাপ গাছ (অ্যাডেনিয়াম) চাষ করছেন এবং বিক্রি করে আসছেন।
জলন্ধরের সুন্দর মরুভূমির গোলাপ বাগানের কাছে গ্রীষ্মের প্রখর রোদেও উজ্জ্বল হয়ে ফুটেছিল গোলাপগুলি। দেখে মনে হচ্ছিল কারও আগমনের প্রত্যাশায় যেন তারা রয়েছে। চারিদিকে শত শত মরুভূমির গোলাপ গাছ। তেমনটা সচরাচর দেখা যায় না। গাছগুলোর গোড়া বেশ শক্তপোক্ত।
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে গেল মহিলা সম্মান সেভিংস স্কিম
গোলাপচাষী জলন্ধর জানালেন তিনি বাগান শুরু করেছিলেন ১৯৮৬ সালে। তিনি বলেন, এখানে কেবল মরুভূমির গোলাপ বিক্রি হয়। তিনি শুধুমাত্র মরুভূমির গোলাপ গাছ বিক্রি করেন। তার বাগানে মোট ৪৫০টি গাছের প্রজাতি রয়েছে, যার মধ্যে প্রতিটি মরুভূমির গোলাপ গাছে তিনটি ভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে ।

জলন্ধর বলেন, ছোট শিকড়যুক্ত গাছের দাম ১৫০ টাকা থেকে শুরু হয়, আর ঘন শিকড়যুক্ত গাছের দাম ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয় । এই মরুভূমির গোলাপ গাছগুলি বিশ্বের মাত্র তিনটি জায়গায় পাওয়া যায় – চেন্নাই, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডে। তিনি আরও জানান এই গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা সহজ। সপ্তাহে মাত্র দু’বার জল দিতে হয় এবং কোনও সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয় নাই গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করা সহজ: সপ্তাহে মাত্র দুবার জল দিতে হয় এবং কোনও সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। তিনি আরও বলেন যে এই গাছগুলি তুষারাবৃত অঞ্চল ছাড়া অন্য যেকোনো জায়গায় জন্মাতে পারে। এই গাছগুলি দ্রুত শুকিয়ে যায় না এবং খুব বেশি জলের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্থানগুলির ৫০০ মিটার পর্যন্ত মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ
২০ বছর ধরে সেইভাবে লেভার মুখে দেখেননি জলন্ধর।কিন্তু এখন তিনি আয় করতে শুরু করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন লাভ পেতে সময় লাগে। কলম করার ফলে একটি গাছে বহু রঙের ফুল ফোটে, যা দাম কিছুটা বাড়িয়ে দেয়। তার এই গাছপালা কেরল,গুজরাত এবং দিল্লির মতো রাজ্যে এবং এমনকি বিদেশে, বিশেষ করে দুবাইয়ের মতো আরব দেশগুলিতে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়। জলন্ধর বলেন ,আমি এখন বছরে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা আয় করি।