১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেউচা কয়লা প্রকল্পে সফলভাবে সম্পন্ন গাছ প্রতিস্থাপনের কাজ

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, রবিবার
  • / 86

কৌশিক সালুই, বীরভূম: ডেউচা পাঁচামী কয়লা প্রকল্পে গাছ প্রতিস্থাপনের কাজ মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে শেষ হল। ডেউচা পাঁচামি কয়লা প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে শুরু হয়েছে উপরিûস্তরের কালো পাথর তোলার কাজ। চাঁদা মৌজায় সরকারি ১২ একর জমিতে সেই কাজ শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। আর এখানেই ৯৮০টির মধ্যে বেশিরভাগ ছিল মহুয়া গাছ। এ ছাড়াও ছিল অর্জুন, শিরিষ এবং মুরগা গাছ।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সেই সমস্ত গাছ প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। প্রকল্পের কাজ যেখানে শুরু হয়েছে সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে সেই গাছগুলির পুনর্বাসন দেওয়া হল। খড়গপুর আইআইটির অনুমোদিত বিশেষজ্ঞ সংস্থা এই পুনর্বাসনের কাজ করেছে।  ভারতবর্ষের ইতিহাসে এত বেশি সংখ্যক গাছ পুনর্বাসন একমাত্র এই প্রকল্পেই হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসক ভূমি অধিগ্রহণ বাবুলাল মাহাতো প্রথম থেকেই নিজে গাছ প্রতিস্থাপনের কাজে প্রতিদিন তদারকি করে চলেছেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এত সংখ্যক গাছকে সফলভাবে প্রতিস্থাপন দেওয়ার নজির নেই। বিশেষ করে মহুয়া গাছকে প্রথমবার সফলভাবে প্রতিস্থাপিত করা হল। সমস্ত গাছে এবং ফুল ও ফল ধরতেও শুরু করেছে’।

জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘প্রকল্প করতে গিয়ে যাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্যের কোনও ক্ষতি না হয় তার জন্য ব্যাসল্ট যেখানে তোলা হচ্ছে সেই এলাকার সরকারি জমির উপর থাকা গাছকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়ায় সরানো সম্পন্ন হল। সেই স্থান থেকে এক কিলোমিটার দূরে গাছগুলিকে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে সফলভাবে’।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডেউচা কয়লা প্রকল্পে সফলভাবে সম্পন্ন গাছ প্রতিস্থাপনের কাজ

আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, রবিবার

কৌশিক সালুই, বীরভূম: ডেউচা পাঁচামী কয়লা প্রকল্পে গাছ প্রতিস্থাপনের কাজ মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে শেষ হল। ডেউচা পাঁচামি কয়লা প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে শুরু হয়েছে উপরিûস্তরের কালো পাথর তোলার কাজ। চাঁদা মৌজায় সরকারি ১২ একর জমিতে সেই কাজ শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। আর এখানেই ৯৮০টির মধ্যে বেশিরভাগ ছিল মহুয়া গাছ। এ ছাড়াও ছিল অর্জুন, শিরিষ এবং মুরগা গাছ।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সেই সমস্ত গাছ প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। প্রকল্পের কাজ যেখানে শুরু হয়েছে সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে সেই গাছগুলির পুনর্বাসন দেওয়া হল। খড়গপুর আইআইটির অনুমোদিত বিশেষজ্ঞ সংস্থা এই পুনর্বাসনের কাজ করেছে।  ভারতবর্ষের ইতিহাসে এত বেশি সংখ্যক গাছ পুনর্বাসন একমাত্র এই প্রকল্পেই হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসক ভূমি অধিগ্রহণ বাবুলাল মাহাতো প্রথম থেকেই নিজে গাছ প্রতিস্থাপনের কাজে প্রতিদিন তদারকি করে চলেছেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এত সংখ্যক গাছকে সফলভাবে প্রতিস্থাপন দেওয়ার নজির নেই। বিশেষ করে মহুয়া গাছকে প্রথমবার সফলভাবে প্রতিস্থাপিত করা হল। সমস্ত গাছে এবং ফুল ও ফল ধরতেও শুরু করেছে’।

জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘প্রকল্প করতে গিয়ে যাতে প্রাকৃতিক ভারসাম্যের কোনও ক্ষতি না হয় তার জন্য ব্যাসল্ট যেখানে তোলা হচ্ছে সেই এলাকার সরকারি জমির উপর থাকা গাছকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়ায় সরানো সম্পন্ন হল। সেই স্থান থেকে এক কিলোমিটার দূরে গাছগুলিকে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে সফলভাবে’।