১৮ নভেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের শহরের দু’প্রান্তে বিধ্বংসী আগুন

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২ জুন ২০২৫, সোমবার
  • / 252

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বড়বাজারের মেছুয়াবাজারের আগুনের স্মৃতি এখনও টাটকা। ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল হোটেলে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে। শহরে আবারও দেখা গেল বড়বাজারের সেই ছবিই। ফের শহরের এক হোটেলে ভয়াবহ আগুন লাগল। বড়বাজারের হোটেলের পর এবার আগুন দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বোস রোডের একটি হোটেলে।

৪৪ এ শরৎ বোস রোডে পাঁচতলা এক হোটেলে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১টা নাগাদ হোটেলের ওপর তলায় কনফারেন্স রুমে আগুন লাগে। সেই সময় হোটেলের একাধিক রুমে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: Fire: আনন্দপুরের গুলশান কলোনীতে আগুন

আগুন লাগার খবর পেয়েই হোটেল রুম থেকে সবাইকে নিরাপদে বাইরে বের করা হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন কাজ শুরু করে। কিন্তু যত সময় পার হয়, ততই আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আরও ৩টি ইঞ্জিন আসে। মোট ৫টি ইঞ্জিন মিলে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিপদ এড়াতে ডিএমজি তরফে কনফারেন্স রুমে সব জানলার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় হোটেলে ৫০জনের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকলেও, হতাহত কোনও খবর নেই। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, কনফারেন্স রুমের এসি থেকে শর্ট সার্কিট হয়েই আগুন লেগেছে।

আরও পড়ুন: হুগলির উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ স্থানে অগ্নিকাণ্ড

অন্যদিকে, তপসিয়াতে একটি বিল্ডিংয়ে আচমকা ধোঁয়া দেখতে পেয়েই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। সঙ্গে সঙ্গে দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তড়িঘড়ি করে শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছেছে এবং পুরোদমে কাজ চলছে। তপসিয়ার ক্যালডেরা বিল্ডিং-এর দুই তলাতে আগুন।

আরও পড়ুন: বেকবাগানে বহুতলে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন

দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছোনোর পর আপতত আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।  আগুন ছড়ানোর আর কোনও আশঙ্কা নেই। মূলত শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলে প্রাথমিক অনুমান। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আগুন লাগে বলে জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। ফার্স্ট ফ্লোরে একটি ডেকোরেটরের অফিস ছিল, সেখানেই আগুল লাগে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। বাকি ফ্লোরে যেতে দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের। ফায়ার অ্যালার্ম কাজ করায় বাকি ফ্লোরের অফিস কর্মীদের বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। বলেছেন গৌতম দাস, ফায়ার অফিসার প্রগতি ময়দান ফায়ার।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের শহরের দু’প্রান্তে বিধ্বংসী আগুন

আপডেট : ২ জুন ২০২৫, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বড়বাজারের মেছুয়াবাজারের আগুনের স্মৃতি এখনও টাটকা। ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল হোটেলে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে। শহরে আবারও দেখা গেল বড়বাজারের সেই ছবিই। ফের শহরের এক হোটেলে ভয়াবহ আগুন লাগল। বড়বাজারের হোটেলের পর এবার আগুন দক্ষিণ কলকাতার শরৎ বোস রোডের একটি হোটেলে।

৪৪ এ শরৎ বোস রোডে পাঁচতলা এক হোটেলে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১টা নাগাদ হোটেলের ওপর তলায় কনফারেন্স রুমে আগুন লাগে। সেই সময় হোটেলের একাধিক রুমে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: Fire: আনন্দপুরের গুলশান কলোনীতে আগুন

আগুন লাগার খবর পেয়েই হোটেল রুম থেকে সবাইকে নিরাপদে বাইরে বের করা হয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন কাজ শুরু করে। কিন্তু যত সময় পার হয়, ততই আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আরও ৩টি ইঞ্জিন আসে। মোট ৫টি ইঞ্জিন মিলে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিপদ এড়াতে ডিএমজি তরফে কনফারেন্স রুমে সব জানলার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় হোটেলে ৫০জনের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকলেও, হতাহত কোনও খবর নেই। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, কনফারেন্স রুমের এসি থেকে শর্ট সার্কিট হয়েই আগুন লেগেছে।

আরও পড়ুন: হুগলির উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ স্থানে অগ্নিকাণ্ড

অন্যদিকে, তপসিয়াতে একটি বিল্ডিংয়ে আচমকা ধোঁয়া দেখতে পেয়েই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দমকলে। সঙ্গে সঙ্গে দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তড়িঘড়ি করে শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। ঘটনাস্থলে দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছেছে এবং পুরোদমে কাজ চলছে। তপসিয়ার ক্যালডেরা বিল্ডিং-এর দুই তলাতে আগুন।

আরও পড়ুন: বেকবাগানে বহুতলে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন

দমকলের চারটি ইঞ্জিন পৌঁছোনোর পর আপতত আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।  আগুন ছড়ানোর আর কোনও আশঙ্কা নেই। মূলত শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলে প্রাথমিক অনুমান। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আগুন লাগে বলে জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। ফার্স্ট ফ্লোরে একটি ডেকোরেটরের অফিস ছিল, সেখানেই আগুল লাগে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। বাকি ফ্লোরে যেতে দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের। ফায়ার অ্যালার্ম কাজ করায় বাকি ফ্লোরের অফিস কর্মীদের বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। বলেছেন গৌতম দাস, ফায়ার অফিসার প্রগতি ময়দান ফায়ার।