হোটেলের গাফিলতিতেই বিধ্বংসী আগুন, কড়া অ্যাকশনের হুঁশিয়ারি দমকল মন্ত্রীর

- আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
- / 165
পুবের কলম প্রতিবেদক: বিধ্বংসী আগুন উত্তর কলকাতার মেছুয়া বাজারে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছিল বড়বাজারের মেছুয়াবাজারের একটি হোটেল। বিধ্বংসী আগুনে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বড়বাজারের মদন মোহন মেছুয়াবাজার ফলপট্টির একটি হোটেলে আগুন লাগে। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও দমকল কর্মীরা। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করে। ঘিঞ্জি এলাকায় ওই হোটেল হওয়ায় প্রথম দিকে সমস্যায় পড়েছিলেন দমকল কর্মীরা। প্রতিকূলতার মধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। যদিও অনেক রাত পর্যন্ত সেই আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি। পরে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫। আহত হয়েছেন ১৩ জন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ১২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ অন্যান্যরা।
কী থেকে বড়বাজারের হোটেলে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড? যথাযথ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি? মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এমনই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গোটা ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, “খবর পেয়ে আমরা ওখানে গিয়েছিলাম। হোটেল কর্তৃপক্ষের অনেক গাফিলতি ছিল। ওদের সিস্টেম কোনও কাজ করেনি। তার সঙ্গে পুরো বিল্ডিংটা গ্লাস দিয়ে ঢাকা ছিল। আগুন বা ধোঁয়া বের হওয়ার কোনও সুযোগ ছিল না। সে কারণেই দমবন্ধ হয়ে লোকজন মারা গিয়েছে। আগুন নেভানোর সময় ভিতরে ঢুকে আমাদের লোকজনকে সেই কাচ ভাঙতে হয়েছে।” হোটেলের বিরুদ্ধে আইনের দিক থেকে যা যা অ্যাকশন নেওয়ার সবটাই নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়েছেন সুজিত বসু।