১৬ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাদ্দাম হুসেনের উপমা টেনে বিবিসিকে তোপ ধনখরের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 173

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে মুখ খুললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর। বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর হানা চলছে তিন দিন ধরে। এই আবহে দেশবিদেশের মিডিয়া ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি সমালোচনার ঝড় তুলেছে। তবে তাতে দমে যাবার পাত্র নন ধনখর। উপরাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি তোপ দেগেছেন বিবিসির বিরুদ্ধে। আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি টেনে এনেছেন ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট  সাদ্দাম হুসেনের কথাও। এদিন উপরাষ্ট্রপতি বলেন, বিকৃত ও ভুয়ো  তথ্য প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে ভারতের অগ্রগতিকে খাটো করার চেষ্টা চলছে। বিবিসির নাম উল্লেখ না করেই তিনি আরও বলেন, গত শতাদ্বীতে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা  হয়েছিল, সাদ্দাম হুসেনের কাছে জনজীবন ধ্বংস করে ফেলার মতো অস্ত্র মজুদ আছে। এই সূত্র ধরেই ইরাক আক্রমণ করেছিল মার্কিন বাহিনী। ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল সাদ্দামকে। পরে অবশ্য প্রমাণিত হয়েছে, সংবাদমাদ্যমের দাবি ছিল মিথ্যা। এভাবেই সাদ্দামের প্রসঙ্গ টেনে বিকৃত তথ্য থেকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন ধনখর। তবে মোদিকে নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্রে কি বিকৃত তথ্য আছে, তা এদিনের ভাষণে উল্লেখ করেননি উপরাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, এই তথ্যচিত্রটিতে মোদিকে গুজরাত দাঙ্গার জন্য দায়ী করা হয়েছে। মোদির আমলে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে বলেও দাবি করা হয়েছে বিবিসির তথ্যচিত্রে।

আরও পড়ুন: মোদি তথ্যচিত্রে গুজরাতি সংস্থার মানহানি মামলায়  বিবিসিকে তলব দিল্লি হাইকোর্টের

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সাদ্দাম হুসেনের উপমা টেনে বিবিসিকে তোপ ধনখরের

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে মুখ খুললেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর। বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর হানা চলছে তিন দিন ধরে। এই আবহে দেশবিদেশের মিডিয়া ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি সমালোচনার ঝড় তুলেছে। তবে তাতে দমে যাবার পাত্র নন ধনখর। উপরাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি তোপ দেগেছেন বিবিসির বিরুদ্ধে। আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি টেনে এনেছেন ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট  সাদ্দাম হুসেনের কথাও। এদিন উপরাষ্ট্রপতি বলেন, বিকৃত ও ভুয়ো  তথ্য প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে ভারতের অগ্রগতিকে খাটো করার চেষ্টা চলছে। বিবিসির নাম উল্লেখ না করেই তিনি আরও বলেন, গত শতাদ্বীতে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা  হয়েছিল, সাদ্দাম হুসেনের কাছে জনজীবন ধ্বংস করে ফেলার মতো অস্ত্র মজুদ আছে। এই সূত্র ধরেই ইরাক আক্রমণ করেছিল মার্কিন বাহিনী। ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল সাদ্দামকে। পরে অবশ্য প্রমাণিত হয়েছে, সংবাদমাদ্যমের দাবি ছিল মিথ্যা। এভাবেই সাদ্দামের প্রসঙ্গ টেনে বিকৃত তথ্য থেকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন ধনখর। তবে মোদিকে নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্রে কি বিকৃত তথ্য আছে, তা এদিনের ভাষণে উল্লেখ করেননি উপরাষ্ট্রপতি। প্রসঙ্গত, এই তথ্যচিত্রটিতে মোদিকে গুজরাত দাঙ্গার জন্য দায়ী করা হয়েছে। মোদির আমলে দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে বলেও দাবি করা হয়েছে বিবিসির তথ্যচিত্রে।

আরও পড়ুন: মোদি তথ্যচিত্রে গুজরাতি সংস্থার মানহানি মামলায়  বিবিসিকে তলব দিল্লি হাইকোর্টের