পুবের কলম প্রতিবেদক, মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘাতে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অতিথি হিসেবে স্ত্রী সহ হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। বিজেপি কর্মীদের চমকে দিয়ে তাঁর এই হাজির হয়ে যাওয়া বা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিনভর সময় কাটানো নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়ে যায় বুধবার দুপুর থেকে। বুধবার রাত দশটার পর মেদিনীপুর শহরে জেলা বিজেপির কার্যালয়ে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।

দিলীপ ঘোষ মুর্দাবাদ, দিলীপ ঘোষকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে-এমন স্লোগান উঠতে শুরু করল। বিজেপির জেলা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে গেটের ওপর দিলীপ ঘোষের ছবিতে জুতোর মালা টাঙালেন বিজেপি কর্মীরা। কেউ কেউ জুতো মারতে শুরু করলেন দিলীপ ঘোষের ছবিতে। চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হল পশ্চিম মেদিনীপুরে।

বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীদের দাবি, ‘দিলীপ ঘোষ ২০২১ সাল থেকেই তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং-এ ছিলেন। বিভিন্ন লোকের কাছে টাকা নিয়ে দিলীপ ঘোষ নেতা নিয়োগ করেছিলেন নির্বাচনের সময়। যে কারণে নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বার বার। দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের সঙ্গে আগে থেকেই সেটিং-এ ছিলেন। এ দিন যা হয়েছে তা লজ্জাজনক। আমরা দিলীপ ঘোষের বহিষ্কার চাই। দিলীপ ঘোষ যাদের নেতা হিসেবে জেলা সভাপতি করেছেন, তাদেরও বহিষ্কার চাই।’

এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন,‘বিজেপি কার্যালয়ে কী ঘটেছে পুরোটা আমার জানা নেই। দল তার স্ট্যান্ডপয়েন্ট পরিষ্কার করে দিয়েছে। তবে দিলীপ ঘোষ যা করেছেন এটা আমাদের কাছে প্রত্যাশিত নয়।’ তবে এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ‘দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই রাজ্যে বিজেপি স্থান পেয়েছিল। আসলে নব্য বিজেপি ও পুরোনো বিজেপি লড়াইয়ে এই সমস্যা হয়েছে। প্রকৃত যে বিজেপি কর্মীরা পুরোনো ছিল, তাদের ওপরে এই কাণ্ড করল নতুন বিজেপির কর্মীরা।’