নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অমান্য, মুখ্যসচিবকে ফের চিঠি – ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা

- আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার
- / 29
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানা হয়নি – এই অভিযোগে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ফের চিঠি পাঠাল কমিশন। জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড না করায় আগামী ১১ অগস্ট (সোমবার) বিকেল ৩টার মধ্যে পদক্ষেপের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকা সংশোধনে অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু এবং এফআইআর দায়ের করাও বাধ্যতামূলক।
আদেশ অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকা সংশোধনের দায়িত্বে থাকা দু’জন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এইআরও)-কে সাসপেন্ড করার কথা বলা হয়। এঁরা প্রত্যেকেই WBCS (Executive) ক্যাডারের অফিসার।
এই প্রসঙ্গে গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নিতে দেবেন না। তাঁর কথায়,“আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট হতে দেব না।”
তিনি নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির ‘বন্ডেড লেবার’ বলে কটাক্ষ করেন এবং দাবি করেন, “নির্বাচনের এখনও অনেক দেরি। কমিশনের এই অতি সক্রিয়তা অপ্রয়োজনীয়। ভয় দেখিয়ে সরকারি কর্মীদের কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়, যদি নির্দেশ না মানা হয়, তাহলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। কমিশনের মতে,“ভোটার তালিকা সংশোধন নির্বাচন-নিরপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া। এটি সারা বছর ধরে চলতে পারে এবং সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী কমিশনের পূর্ণ অধিকার রয়েছে এই কাজে। রাজ্য সরকার বাধ্য এই কাজে সহযোগিতা করতে।”
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে হস্তক্ষেপ চেয়েছে। তাঁদের দাবি, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা ঠিক নয়, কারণ তা তাঁদের প্রোটোকল লঙ্ঘনের সামিল।