ওবিসি নিয়ে আদালত অবমাননা মামলায় হস্তক্ষেপ করলো না ডিভিশন বেঞ্চ

- আপডেট : ২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 225
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় হস্তক্ষেপ করল না । আপাতত হস্তক্ষেপ না করলেও রাজ্যকে এই বিষয়ে হলফনামা দিতে বলেছে । ২০১০ সালে ওবিসি তালিকাভুক্তদের অধিকার বজায় থাকার কথা হলফনামায় জানাতে বলা হয়েছে রাজ্যকে।পরের সপ্তাহে এই মামলার শুনানি রয়েছে।কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় নিয়ম না মেনে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। মামলাকারীদের অভিযোগ, “ওবিসি-এ এবং ওবিসি -বি ভাগ করে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। চলতি মাসেই ওবিসির সাম্প্রতিক তালিকার উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। তারপরেও কলেজে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে’। আদালতের নির্দেশের পরে শ্রেণিবিন্যাস স্থগিত রাখার হয়েছে। এই মামলায় রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে আছে। বৃহস্পতিবার এই মামলা আদালতে উঠলে রাজ্য জানায়, “হাইকোর্ট (১৭ জুন ওবিসির নতুন বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্র্বতী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে’। আদালত এই নির্দেশ দেওয়ার পরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ভর্তি এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে ওবিসির শ্রেণিবিন্যাস করা হবে না। আগের নিয়মেই ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে’।তবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আবেদনপত্রে ‘ক্যাটেগরি’ উল্লেখ করা যাবে না।আবেদনকারীরা জানান, “ ১৭ জুন হাইকোর্ট পাঁচটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্র্বতী স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। কিন্তু ৭০ হাজারের বেশি আবেদন ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে, এমনকি রাজ্য সরকারি পোর্টালে ওবিসি ক্যাটেগরি অনুযায়ী আবেদন নেওয়া হয়েছে। ৬৬টি গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি। নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি’। তাঁদের অভিযোগ, এতে আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘিত হয়েছে।তবে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ জানায়, “আপাতত কোনও ক্যাটেগরি ধরে আবেদন গৃহীত হবে না’। বিচারপতি মান্থা জানান, ‘আবেদন চলুক। যদি সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করে, তখন সেই অনুযায়ী দেখা হবে। পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা যুক্তিযুক্ত নয়।’ বিচারপতিদের এও জানান, “ যারা আবেদন করছেন তাদের আবেদন করতে দিন। এখনই তাঁরা কোনও নির্দেশ দেবেন না, কেন সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করতে পারে। তাঁদের নির্দেশ খারিজ করে দিতে পারে’।রাজ্যের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান,”রাজ্য ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে এসএলপি দায়ের করেছে। ২৪ জুন উচ্চ শিক্ষা দফতরের পোর্টালে আপডেট আপলোড করা হয়েছে। এখনই ভর্তি হয়নি, ফলে কারও অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়নি।এদিকে আবেদনকারীদের যুক্তি, “ক্যাটেগরি উল্লেখ থাকলে ভবিষ্যতে আসন সংরক্ষণে জটিলতা তৈরি হবে। তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, মেরিট লিস্ট প্রকাশের (৫ জুলাই) সময় বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে’।সব বক্তব্য শুনে ডিভিশন বেঞ্চ জানায় , “আপাতত সমস্ত ক্যাটেগরি আবেদন করতে পারবে, তবে কোনও ক্যাটেগরি উল্লেখ করা যাবে না। আদালত এই পর্যায়ে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করছে না’। অবমাননার অভিযোগে জবাবদিহি করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে। আগামী ৪ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ।