০৯ অগাস্ট ২০২৫, শনিবার, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দোলুয়াখাকি গ্রামে ঢুকতে বামেদের বাধা, পুলিশ সঙ্গে ধস্তাধস্তি

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার
  • / 69

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: আবার জয়নগরের দোলুয়াখাকি গ্রামে ঢুকতে বামেদের বাধা দিল পুলিশ। রবিবার এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় গুদামের হাট এলাকায়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে গ্রামে ঢুকতে গিয়ে প্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বাম প্রতিনিধিরা। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রা। অন্যদিকে পুলিশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শান্তি বজায় রাখার জন্য বহিরাগতদের তারা প্রবেশ করতে দেবেন না।

 

আরও পড়ুন: রূপনগরে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য সহ শতাধিক কর্মী সমর্থক তৃণমূলের যোগদান

উল্লেখ, গত সোমবার জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। মসজিদে যাওয়ার পথে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। ওই ঘটনার অব্যবহিত পরে দোলুয়াখাকি গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। জিনিসপত্র ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। এমনকি, মহিলাদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে যায় গ্রামের কয়েকটি বাড়ি। সিপিএমের দাবি, তাদের কর্মী এবং সমর্থকদের বাড়ি বেছে বেছে আগুন ধরানো হয়েছে। এর নেপথ্যে তৃণমূলকে দায়ী করেন তারা। আগুন লাগানোর ঘটনায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধীরে ধীরে ওই বাড়িগুলোর বাসিন্দাদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তার মধ্যে ত্রাণ দিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ প্রতিনিধিরা। রবিবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল সেখানে।

আরও পড়ুন: সম্প্রীতির বার্তা: ঈদ-উল-আযহা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পালনের আবেদন বামফ্রন্টের

পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ত্রাণ নিয়ে দোলুয়াখাকি গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেন কয়েক জন। কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগে গুদামের হাট মোড়ে তাঁদের আটকায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জী বলেন, ‘‘আমরা ত্রাণ নিয়ে এসে ছিলাম। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি নেই। কিন্তু তার পরেও আমাদের আটকাচ্ছে পুলিশ।’’

আরও পড়ুন: ‘আমি ট্র্যাপের শিকার’, বহিষ্কারের পর দলকে নিশানা প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপালের

মহিলা সমিতির নেত্রী মোনালিসা সিংহের অভিযোগ, দোলুয়াখাকি এলাকার মহিলারা খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের এবং শিশুদের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস শুধু পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তাতেও আপত্তি জানায় পুলিশ। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ শাসকদলের তাঁবেদারি করছে। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’’

যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামের লোক ছাড়া অন্য কোনও বহিরাগত এলাকায় ঢুকবে না। শুধুমাত্র পুলিশকর্মীরাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।’’

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দোলুয়াখাকি গ্রামে ঢুকতে বামেদের বাধা, পুলিশ সঙ্গে ধস্তাধস্তি

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: আবার জয়নগরের দোলুয়াখাকি গ্রামে ঢুকতে বামেদের বাধা দিল পুলিশ। রবিবার এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় গুদামের হাট এলাকায়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে গ্রামে ঢুকতে গিয়ে প্রায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বাম প্রতিনিধিরা। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিপিএম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রা। অন্যদিকে পুলিশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শান্তি বজায় রাখার জন্য বহিরাগতদের তারা প্রবেশ করতে দেবেন না।

 

আরও পড়ুন: রূপনগরে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য সহ শতাধিক কর্মী সমর্থক তৃণমূলের যোগদান

উল্লেখ, গত সোমবার জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। মসজিদে যাওয়ার পথে আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। ওই ঘটনার অব্যবহিত পরে দোলুয়াখাকি গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। জিনিসপত্র ভাঙচুর, লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। এমনকি, মহিলাদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে যায় গ্রামের কয়েকটি বাড়ি। সিপিএমের দাবি, তাদের কর্মী এবং সমর্থকদের বাড়ি বেছে বেছে আগুন ধরানো হয়েছে। এর নেপথ্যে তৃণমূলকে দায়ী করেন তারা। আগুন লাগানোর ঘটনায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধীরে ধীরে ওই বাড়িগুলোর বাসিন্দাদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। তার মধ্যে ত্রাণ দিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন বাম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ প্রতিনিধিরা। রবিবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল সেখানে।

আরও পড়ুন: সম্প্রীতির বার্তা: ঈদ-উল-আযহা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পালনের আবেদন বামফ্রন্টের

পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে ত্রাণ নিয়ে দোলুয়াখাকি গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করেন কয়েক জন। কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগে গুদামের হাট মোড়ে তাঁদের আটকায় পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বামকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী সায়ন ব্যানার্জী বলেন, ‘‘আমরা ত্রাণ নিয়ে এসে ছিলাম। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি নেই। কিন্তু তার পরেও আমাদের আটকাচ্ছে পুলিশ।’’

আরও পড়ুন: ‘আমি ট্র্যাপের শিকার’, বহিষ্কারের পর দলকে নিশানা প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপালের

মহিলা সমিতির নেত্রী মোনালিসা সিংহের অভিযোগ, দোলুয়াখাকি এলাকার মহিলারা খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের এবং শিশুদের জন্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস শুধু পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু তাতেও আপত্তি জানায় পুলিশ। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ শাসকদলের তাঁবেদারি করছে। সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’’

যদিও পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বারুইপুর এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামের লোক ছাড়া অন্য কোনও বহিরাগত এলাকায় ঢুকবে না। শুধুমাত্র পুলিশকর্মীরাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।’’