ঐতিহ্যবাহী ইসলামিয়া হাসপাতালকে জমি দান

- আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৩, শনিবার
- / 13

সোয়েব তানবির, ইস্তিখাব হানিফ, তানবির হানিফ, সিকান্দার হানিফ, আমিরুদ্দিন ববি, মুস্তাক আহমেদ সিদ্দিকী, সাদেক আলি, পারভেজ রেজা ও নাসের আহমেদ।
পুবের কলম প্রতিবেদক: কলকাতা তথা রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ইসলামিয়া হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন হানিফ পরিবার। জানা গিয়েছে, এই পরিবার ইসলামিয়া হাসপাতালের জন্য জমি দান করেছেন। বৃহস্পতিবার হানিফ পরিবারের সদস্যরা ইসলামিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে দান করা জমির নথি তুলে দিয়েছেন। এ দিন জমির নথি হস্তান্তর কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিয়া হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক তথা কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়রপারিষদ আমিরুদ্দিন ববি, হাসপাতালের বিল্ডিং সাব-কমিটির চেয়ারম্যান সাদেক আলি, কমিটির আহ্বায়ক নাসের আহমেদ, হাসপাতাল পরিচালন সমিতির কোষাধ্যক্ষ তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী মুস্তাক সিদ্দিকী, ইস্তিয়াক আহমেদ রাজু।
উল্লেখ্য, হানিফ পরিবার ব্যবসার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। ইসলামিয়া হাসপাতাল দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই মানুষকে স্বাস্থ্য পরিসেবা দিয়ে আসছে। একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মুমূর্ষ মানুষের জন্য পরিসেবা অব্যাহত রেখেছে।
ইসলামিয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে জমি দানের নথি হস্তান্তরের যে ঘরোয়া অনুষ্ঠানটি হয়েছে, সেখানে জমিদাতা পরিবারের পক্ষ থেকে ছিলেন সোয়েব তানবির, ইন্তিখাব হানিফ, তারবির হানিফ, সিকান্দার হানিফ।
ইসলামিয়া হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইএম বাইপাস লাগোয়া পঞ্চান্নগ্রাম-চৌবাগা এলাকায় ১০ কাঠা জমি দিয়েছেন হানিফ পরিবার। দানে পাওয়া জমিতে ইসলামিয়া হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার-সহ বেশকিছু প্রকল্প চালু করবে জানা গিয়েছে। হানিফ পরিবার পশ্চিম পঞ্জাবের আদি বাসিন্দা। বর্তমানে তাঁরা কলকাতাতেই থাকেন। কলকাতার একটি নামী জুতো প্রস্তুতকারক সংস্থার তাঁরা কর্ণধার।
শতাব্দী প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল হিসেবে মানুষকে চিকিৎসা পরিসেবা প্রদান করছে। সমাজ কল্যাণের লক্ষ্য নিয়েই ১৯২৬ সালে ইসলামিয়া হাসপাতাল পথচলা শুরু করে। ওই সময় চ্যারিটেবল ইন্সটিটিউশন গঠন করে স্বাস্থ্য পরিসেবার কাজ শুরু করে ইসলামিয়া হাসপাতাল। পরবর্তীতে ১৯৪২ সালে কলকাতার ৭৩ নম্বর চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-এর একটি ভবনে চিকিৎসা পরিসেবা চালু হয়। বর্তমানে ইসলামিয়ায় আইসিইউ-সহ হার্টের নানান রোগের চিকিৎসা করা হয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিসেবা চালু করেছে ইসলামিয়া। যাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই, তাদের খুব সামান্য খরচে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়।