০৮ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার ‘দুয়ারে শিক্ষক’

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার
  • / 3075

রতুয়া-১-এ স্কুলছুটদের বিদ্যালয়মুখী করতে নয়া উদ্যোগ

 

মুশারফ হোসেন, চাঁচল: স্কুলছুটদের স্কুলমুখী করে তুলতে অভিনব উদ্যোগ নিল রতুয়া-১ ব্লকের ভাদো বিএসবি হাইস্কুল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলেমেয়েদের খোঁজ নিলেন স্বয়ং বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সরিফুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন সহকারি শিক্ষক নাজিমুদ্দিন, মনিরুজ্জামান, সেতাবুর রহমান, হারুন শেখ, ফজলুল হক প্রমুখ। ছাত্রছাত্রীদের এত সুযোগসুবিধা দেওয়ার পরেও কী কারণে দিনের পর দিন তারা বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে না, তার কারণ অনুসন্ধান করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। রীতিমতো টোটোয় ফ্লেক্স টাঙিয়ে মাইক বাজিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্প করে অভিভাবকদের অনুরোধ করলেন শিক্ষকেরা। ছেলে মেয়েদের স্কুল পাঠানোর জন্য অনুরোধ করার পাশাপাশি প্রচার করলেন সরকারি নানা প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার কথাও।

আরও পড়ুন: বাংলার হজ আবেদনকারীদের সংখ্যা ২০২৬-এ আরও কমে যাচ্ছে

আরও পড়ুন: Eid al-Fitr: ৮ দিন বন্ধ থাকবে সীমান্ত বাণিজ্য

আরও পড়ুন: এমএসএমই-তে মহিলাদের নেতৃত্বদানে এক নম্বরে বাংলা

ভাদো বিএসবি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমান সমাজে মূল্যবোধের বড়ই অভাব। ছেলে মেয়েদের প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি নীতি শিক্ষার প্রয়োজন আছে। দিন দিন শিক্ষার্থীরা স্কুল বিমুখ হচ্ছে। পড়ুয়াদের স্কুলবিমুখ হওয়ার কারন জানতেই তাদের বাড়ি আসা। আমরা যে অভিভাবক সভা করি তাতে অধিকাংশ অভিভাবকই অনুপস্থিত থাকেন। সকল অভিভাবকের সঙ্গে যাতে কথা বলতে পারি, তাই এই উদ্যোগ। যদিও স্কুল বিমুখ প্রবণতার কারন হিসাবে আর্থসামাজিক অবস্থাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় কলেজ শিক্ষক ড. হারুন অল রশিদ। তিনি জানান, অধিকাংশ পড়ুয়া নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাই সুযোগ পেলেই তারা সংসারের হাল ধরার জন্য মজুরদারি করেন। ফলে দিনের পর দিন বাড়তে থাকে স্কুলছুটের সংখ্যা।

আরও পড়ুন: মুরগির মাংসের দাম নিম্নমুখী, চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এবার ‘দুয়ারে শিক্ষক’

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, সোমবার

রতুয়া-১-এ স্কুলছুটদের বিদ্যালয়মুখী করতে নয়া উদ্যোগ

 

মুশারফ হোসেন, চাঁচল: স্কুলছুটদের স্কুলমুখী করে তুলতে অভিনব উদ্যোগ নিল রতুয়া-১ ব্লকের ভাদো বিএসবি হাইস্কুল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছেলেমেয়েদের খোঁজ নিলেন স্বয়ং বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সরিফুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন সহকারি শিক্ষক নাজিমুদ্দিন, মনিরুজ্জামান, সেতাবুর রহমান, হারুন শেখ, ফজলুল হক প্রমুখ। ছাত্রছাত্রীদের এত সুযোগসুবিধা দেওয়ার পরেও কী কারণে দিনের পর দিন তারা বিদ্যালয়মুখী হচ্ছে না, তার কারণ অনুসন্ধান করলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। রীতিমতো টোটোয় ফ্লেক্স টাঙিয়ে মাইক বাজিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ক্যাম্প করে অভিভাবকদের অনুরোধ করলেন শিক্ষকেরা। ছেলে মেয়েদের স্কুল পাঠানোর জন্য অনুরোধ করার পাশাপাশি প্রচার করলেন সরকারি নানা প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার কথাও।

আরও পড়ুন: বাংলার হজ আবেদনকারীদের সংখ্যা ২০২৬-এ আরও কমে যাচ্ছে

আরও পড়ুন: Eid al-Fitr: ৮ দিন বন্ধ থাকবে সীমান্ত বাণিজ্য

আরও পড়ুন: এমএসএমই-তে মহিলাদের নেতৃত্বদানে এক নম্বরে বাংলা

ভাদো বিএসবি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমান সমাজে মূল্যবোধের বড়ই অভাব। ছেলে মেয়েদের প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি নীতি শিক্ষার প্রয়োজন আছে। দিন দিন শিক্ষার্থীরা স্কুল বিমুখ হচ্ছে। পড়ুয়াদের স্কুলবিমুখ হওয়ার কারন জানতেই তাদের বাড়ি আসা। আমরা যে অভিভাবক সভা করি তাতে অধিকাংশ অভিভাবকই অনুপস্থিত থাকেন। সকল অভিভাবকের সঙ্গে যাতে কথা বলতে পারি, তাই এই উদ্যোগ। যদিও স্কুল বিমুখ প্রবণতার কারন হিসাবে আর্থসামাজিক অবস্থাকেই দায়ী করেছেন স্থানীয় কলেজ শিক্ষক ড. হারুন অল রশিদ। তিনি জানান, অধিকাংশ পড়ুয়া নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাই সুযোগ পেলেই তারা সংসারের হাল ধরার জন্য মজুরদারি করেন। ফলে দিনের পর দিন বাড়তে থাকে স্কুলছুটের সংখ্যা।

আরও পড়ুন: মুরগির মাংসের দাম নিম্নমুখী, চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ীদের