১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৬ দিনে নির্মাণ দুধিয়া ব্রিজ, জুড়ে গেল মিরিক-শিলিগুড়ি, পূর্ত দফতরকে ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীর

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গকে ছন্দে ফেরাতে বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ধস বিধ্বস্ত রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। কাজকর্ম তদারকি করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্যোগের পরে নিজে দু’বার গিয়েছে উত্তরবঙ্গে।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পূর্ত দফতরের উদ্যোগে মাত্র ১৬ দিনের মধ্যেই তৈরি হল দুধিয়ার ওপর হিউম পাইপ ব্রিজ। যার ফলে আজ সোমবার থেকেই মিরিকের সঙ্গে শিলিগুড়ির যানচলাচলের সংযোগ ব্যবস্থা চালু হল। দুর্যোগে ব্রিজ ভেঙে পড়ায় যে রাস্তায় যানবাহনের চলাফেরা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তবে মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য একটা বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা অবশ্য আগেই করা হয়েছিল। এই হিউম পাইপ ব্রিজ তৈরির জন্য পূর্ত দফতরকে ধন্যবাদ দিয়ে রবিবার পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে।

আরও পড়ুন: লালগোলার আর্থ ও সামাজিক বিকাশে মুখ্যমন্ত্রীকে তিন আবেদন সাংসদ খলিলুরের

গত ১০ অক্টোবর থেকে এই হিউম পাইপ ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ৪৬৮ মিটার লম্বা, ৮ মিটার চওড়া ব্রিজটি তৈরি করতে ১২০০ মিলিমিটার ব্যাসের ১৩২ টি হিউম পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। এই হিউম পাইপের ব্রিজটি তৈরি করতে চব্বিশ ঘন্টা কাজ করেছে পূর্ত দফতর।

আরও পড়ুন: SIR শুরু হওয়ার পর ২৮ জনের মৃত্যু! নির্বাচন কমিশনের ‘অপরিকল্পিত’ সিদ্ধান্তকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

অল্প সময়ে এই ব্রিজটির নির্মাণ রাজ্য সরকারের একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশেষ করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করা খুব সহজ কাজ ছিল না। এছাড়া একটি পাকা ব্রিজ তৈরির কাজ চলছে। ১৯৬৫ সালে তৈরি পুরনো ব্রিজটি যথেষ্ট বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল আগেই।

আরও পড়ুন: SIR নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির পরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা তৃণমূলের

সেজন্য একটি স্থায়ী ব্রিজ তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেটির নির্মাণ কাজও পুরোদমে চলছে। তার আগে বিকল্প হিসেবে এই হিউম পাইপ ব্রিজ তৈরি করা হল। মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগে এরকম একটি হিউম পাইপ ব্রিজ তৈরি উত্তরবঙ্গের স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে সহায়ক হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.
সর্বধিক পাঠিত

যুবভারতী স্টেডিয়ামে অশান্তি, কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১৬ দিনে নির্মাণ দুধিয়া ব্রিজ, জুড়ে গেল মিরিক-শিলিগুড়ি, পূর্ত দফতরকে ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীর

আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গকে ছন্দে ফেরাতে বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ধস বিধ্বস্ত রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। কাজকর্ম তদারকি করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্যোগের পরে নিজে দু’বার গিয়েছে উত্তরবঙ্গে।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পূর্ত দফতরের উদ্যোগে মাত্র ১৬ দিনের মধ্যেই তৈরি হল দুধিয়ার ওপর হিউম পাইপ ব্রিজ। যার ফলে আজ সোমবার থেকেই মিরিকের সঙ্গে শিলিগুড়ির যানচলাচলের সংযোগ ব্যবস্থা চালু হল। দুর্যোগে ব্রিজ ভেঙে পড়ায় যে রাস্তায় যানবাহনের চলাফেরা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। তবে মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য একটা বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা অবশ্য আগেই করা হয়েছিল। এই হিউম পাইপ ব্রিজ তৈরির জন্য পূর্ত দফতরকে ধন্যবাদ দিয়ে রবিবার পোস্ট করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে।

আরও পড়ুন: লালগোলার আর্থ ও সামাজিক বিকাশে মুখ্যমন্ত্রীকে তিন আবেদন সাংসদ খলিলুরের

গত ১০ অক্টোবর থেকে এই হিউম পাইপ ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ৪৬৮ মিটার লম্বা, ৮ মিটার চওড়া ব্রিজটি তৈরি করতে ১২০০ মিলিমিটার ব্যাসের ১৩২ টি হিউম পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে। এই হিউম পাইপের ব্রিজটি তৈরি করতে চব্বিশ ঘন্টা কাজ করেছে পূর্ত দফতর।

আরও পড়ুন: SIR শুরু হওয়ার পর ২৮ জনের মৃত্যু! নির্বাচন কমিশনের ‘অপরিকল্পিত’ সিদ্ধান্তকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

অল্প সময়ে এই ব্রিজটির নির্মাণ রাজ্য সরকারের একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশেষ করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে নির্মাণ কাজ পরিচালনা করা খুব সহজ কাজ ছিল না। এছাড়া একটি পাকা ব্রিজ তৈরির কাজ চলছে। ১৯৬৫ সালে তৈরি পুরনো ব্রিজটি যথেষ্ট বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল আগেই।

আরও পড়ুন: SIR নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির পরই সুপ্রিম কোর্টে মামলা তৃণমূলের

সেজন্য একটি স্থায়ী ব্রিজ তৈরির জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেটির নির্মাণ কাজও পুরোদমে চলছে। তার আগে বিকল্প হিসেবে এই হিউম পাইপ ব্রিজ তৈরি করা হল। মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগে এরকম একটি হিউম পাইপ ব্রিজ তৈরি উত্তরবঙ্গের স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে সহায়ক হবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।