০১ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমলো আইসোলেশনের সময়, নয়া নির্দেশিকা আইসিএমআরের

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ৫ জানুয়ারী ২০২২, বুধবার
  • / 18

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে উত্তাল দেশ। করোনা পজিটিভ মানেই আইসোলেশন(ইসলাটিও)। তবে আগে আইসোলেশনের যে সময়সীমা ছিল এবার তা কমান হয়েছে।জানিয়েছে আইসিএমআর। এবার আইসোলেশনের সময়সীমা ৭ দিন।

নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে মৃদু উপসর্গ কিংবা উপসর্গহীন হলে ৭ দিন আইসোলেশনে থাকলেই হবে। সেই সঙ্গে দেখতে হবে পরপর ৩ দিন যেন জ্বর না আসে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকলে মাস্ক পরে থাকবে। এছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির এঁটো বাসন ইত্যাদি আলাদা করে রাখতে হবে। এই ধরনের উপসর্গহীনতা কিংবা মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে আইসোলেশনে থাকার পরে নতুন করে কোভিড পরীক্ষা করানো জরুরি নয়। তবে কেউ চাইলে করিয়ে নিতেই পারেন।

ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনা হচ্ছে। পরিত্রাণ কিসে তা জানে না কেউই। আগের মতই মাস্কের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বাড়ছে সংক্ৰমণ । তবে আসার কথা হলে এবার কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম। প্রথম সংক্রমণ হওয়ার পর ভারতের বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এর সঙ্গে ছিল ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ। ফলত সংক্রমিত হলেও আক্রন্ত ব্যক্তির শারীরিক উপসর্গ অনেকটাই কম।

আগেই আইসিএমআরের সহ অধিকর্তা ডা সমীরন পান্ডা জানিয়েছিলেন, “নিভৃতবাসের সময় ১০ দিন থেকে কমিয়ে এক সপ্তাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা ক্রমশ কমছে। বলা যায় মানব সভ্যতার কাছে ভাইরাস ক্রমশ পরাজিত হচ্ছে। তাই হোম আইসলেশন এক সপ্তাহের মধ্যে রেখে দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। তবে হাসপাতালে ভরতি বা কোমর্বিডিটি থাকলে এই নিয়ম খাটবে না তা বলাই বাহুল্য।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কমলো আইসোলেশনের সময়, নয়া নির্দেশিকা আইসিএমআরের

আপডেট : ৫ জানুয়ারী ২০২২, বুধবার

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে উত্তাল দেশ। করোনা পজিটিভ মানেই আইসোলেশন(ইসলাটিও)। তবে আগে আইসোলেশনের যে সময়সীমা ছিল এবার তা কমান হয়েছে।জানিয়েছে আইসিএমআর। এবার আইসোলেশনের সময়সীমা ৭ দিন।

নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে মৃদু উপসর্গ কিংবা উপসর্গহীন হলে ৭ দিন আইসোলেশনে থাকলেই হবে। সেই সঙ্গে দেখতে হবে পরপর ৩ দিন যেন জ্বর না আসে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকলে মাস্ক পরে থাকবে। এছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির এঁটো বাসন ইত্যাদি আলাদা করে রাখতে হবে। এই ধরনের উপসর্গহীনতা কিংবা মৃদু উপসর্গের ক্ষেত্রে আইসোলেশনে থাকার পরে নতুন করে কোভিড পরীক্ষা করানো জরুরি নয়। তবে কেউ চাইলে করিয়ে নিতেই পারেন।

ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও করোনা হচ্ছে। পরিত্রাণ কিসে তা জানে না কেউই। আগের মতই মাস্কের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। বাড়ছে সংক্ৰমণ । তবে আসার কথা হলে এবার কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম। প্রথম সংক্রমণ হওয়ার পর ভারতের বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। এর সঙ্গে ছিল ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ। ফলত সংক্রমিত হলেও আক্রন্ত ব্যক্তির শারীরিক উপসর্গ অনেকটাই কম।

আগেই আইসিএমআরের সহ অধিকর্তা ডা সমীরন পান্ডা জানিয়েছিলেন, “নিভৃতবাসের সময় ১০ দিন থেকে কমিয়ে এক সপ্তাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ সংক্রমণ দ্রুত ছড়ালেও ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা ক্রমশ কমছে। বলা যায় মানব সভ্যতার কাছে ভাইরাস ক্রমশ পরাজিত হচ্ছে। তাই হোম আইসলেশন এক সপ্তাহের মধ্যে রেখে দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। তবে হাসপাতালে ভরতি বা কোমর্বিডিটি থাকলে এই নিয়ম খাটবে না তা বলাই বাহুল্য।”